| এই নিবন্ধটি উইকিপ্রকল্প বাংলাদেশের অংশ, যা উইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয়ের উন্নতির একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনি যদি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে প্রকল্প পৃষ্ঠায় যান, যেখানে আপনি প্রকল্পের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং করণীয় কাজসমূহের একটি তালিকা দেখতে পাবেন। | |
প্রাথমিক |
এই নিবন্ধটি প্রকল্পের মানের মাপনী অনুযায়ী start-শ্রেণী হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
|
উচ্চ |
এই নিবন্ধটি গুরুত্বের মাপনী অনুযায়ী High-গুরুত্ব হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
|
| |
|
বর্ধিত অংশ
|
সিলেটের ইতিহাস সম্পর্কে যেসব বই থেকে উদ্ধৃতি দেয়া হচ্ছে, সেগুলো কতোটা নির্ভরযোগ্য বা গ্রহনযোগ্য? যেমন, একটা বই থেকে বলা হয়েছে, কুমিল্লা এক সময় সিলেটের অংশ ছিলো। এই কথাটি আদৌ সত্যি কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। লেখক ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ কি ঐতিহাসিক হিসাবে খ্যাতনামা? কিংবা অচ্যুতচরণ চৌধুরী? কারণ এরা দুজনে যে দাবিগুলো করছেন, প্রতিষ্ঠিত ইতিহাসে তার সমর্থন পাওয়া যায় না। এরকম অনির্ভরযোগ্য অংশ এই নিবন্ধ থেকে সরানোর প্রস্তাব দিচ্ছি। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৯:১৯, ৮ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
অবিশ্বকোষীয় প্রশস্তি এই নিবন্ধে যোগ না করার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করছি। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০১:৫২, ৯ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
বর্ধিত অংশ
|
১৯১০ সালে শ্রীহট্রের ইতিবৃত্ত নামের এক দুর্লভ গ্রন্থের রচয়িতা অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্বনিধী। যার জন্ম ১৮৬৫ ইংরেজী সনে করিমগঞ্জের জাফরগড় পরগনায়। দুই বাংলার প্রায় সকল ইতিহাসবিদদের কাছ সুপরিচিত সাহিত্যিক বক্তিত্ব অচ্যুতচ্রণ চৌধুরী তত্বনিধী।
শ্রীহট্রের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ ও উত্তরাংশ, গ্রন্থখানার প্রথম প্রকাশ ১৯১০ ইংরেজী, দ্বিতীয় প্রকাশ ১৯১৭ইংরেজী সনে কলিকাতা থেকে প্রকাশক শ্রীউপেন্দ্রনাথ পাল চৌধুরী কতৃক প্রাকাশিত হয় । ৯২ বছর পর ভাষা বিজ্ঞানী মরহুম ডঃ হুমায়ুন আজাদের মতামত অনুসারে উক্ত বইয়ের ভাষারিতি ঠিক রেখে মোস্তফা সেলিম কতৃক পূর্ণ প্রকাশ ২০০২ ইংরেজী উৎস প্রাকাশন ঢাকা হইতে । শ্রীহট্রের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্বনিধী জীবনী দ্রঃ
ডঃ আবুল ফাত্তাহ ফাত্তাহ সংস্কৃত বিষয়ের একজন গবেষক । তিনি জাহাঙ্গির নগর বিশ্ব্বিদ্যালয়ে সংস্কৃত গবেষনায় পি এইচ ডি অর্জন করেন । তিনিও একজন খ্যাতনামা ব্যক্তি । নবীগঞ্জ কলেজের প্রতিষ্টাতা অধ্যক্ষ ১৯৮৪ । ১৯৮৬ সাল থেকে মদন মোহন কলেজে অধ্যাপনায় যুক্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব । সিলেট গীতিকা ও সংস্কৃতি গ্রন্থের ভূমিকা ও লিখক পরিচিতি দ্রঃ
আসা রাখি রাগিব ভাই কতৃক উত্তাপিত সন্দেহের খন্ডন হবে । ধন্যবাদ
- একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত গ্রন্থটির সকল সংস্করণ (পূর্বাংশ, উত্তরাংশ ইত্যাদি) সিলেটের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে ধর্তব্য হয়। সিলেট বিষয়ক অনেক ঐতিহাসিক অচ্যুতচরণ তত্ত্বনিধি'র এই বইকে প্রামাণ্য হিসেবে ধরে থাকেন। আমার কাছে এরকম বেশ কিছু বই আছে যেগুলো শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত থেকে উদারভাবে তথ্য ধার করেছে, অথচ সেগুলোও বেশ উচ্চমানের ইতিহাস বই। সৈয়দ মুর্তাজা আলী সিলেটের এরকম একজন গবেষক, যিনি সিলেটের অনেক ঐতিহাসিক গবেষণা করে তা আমাদের জন্য রেকর্ড হিসেবে ধরে রেখে গেছেন ঠিক যেমনটা এখন ঢাকার উপর জনাব মুনতাসির মামুন করছেন। তবে জনাব আবুল ফাত্তাহ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। ...কুমিল্লা কখনও সিলেটের অংশ ছিলো কিনা, তা জানতে হলে ব্রিটিশ শাসনের মানচিত্র দেখলে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে হয়তো- আমিও আসলে ব্যাপারটা জানি না। তবে সিলেট এবং কুমিল্লা উভয়ই একসময় চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনে ছিল এটা জানি। আমার পরীক্ষা পরে আমার বইগুলো একটু ঘেঁটে দেখতে পারি কুমিল্লা-সিলেট তত্ত্বের কতটা সত্যি (ইনশাল্লাহ)। তবে শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত এখনও আমি কিনতে পারিনি। আগামী বইমেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে হয়তো।
- ইউসুফ ভাইকে অনুরোধ করবো তথ্যসূত্রগুলোকে একটু বিস্তারিত করতে। এব্যাপারে তাঁর আলাপ পাতায় সব বলেছি, আর বলার কিছুই নেই। আপনার তথ্যসূত্র থেকে শ্রেফ বইয়ের নাম আর লেখকের নাম ছাড়া কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। নিবন্ধে এতো এতো পরিশ্রম যেন ভুল পথে না যায়। কোনো দাবিকে প্রতিষ্ঠিত একাধিক তথ্যসূত্র দিয়ে উপস্থাপন করুন, তাহলে সেটাতে আর সন্দেহ থাকে না। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:৩৫, ১১ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
মইনুল ভাইকে আলাপ পাতায় ভুমীকা রাখার জন্য অজস্র ধন্যবাদ । আপনার অনুরুধ অবশ্যই রাখার চেষ্টা করব । Mdyusufmiah (আলাপ) ০২:২৮, ১২ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
মইনুল ভাই তথ্যসূত্রগুলোকে একটু বিস্তারিত দেখুন। ধন্যবাদ Mdyusufmiah (আলাপ) ০৩:২২, ১২ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
বর্ধিত অংশ
|
(১) নিবন্ধের ভাষা অত্যন্ত দূর্বল। অশুদ্ধ বাংলায় পুরা নিবন্ধটি ভর্তি। এরকম নিবন্ধ বাংলা উইকিতে রাখাটা এই উইকির মানের জন্যই লজ্জাজনক। কয়েক সপ্তাহ ধরে একই অবস্থা রয়ে গেছে, ভাষার সমস্যাগুলো আদৌ ঠিক হয়নি।
(২) নিবন্ধে রেফারেন্স টানা অনেকগুলো সূত্র বা "ইতিহাস গ্রন্থ" কতটুকু ইতিহাস, আর কতটুকু রূপকথা, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। অচ্যুৎচরণের প্রতি যথাযথ সম্মানপূর্বক বলতে চাই, তাঁর লেখা ইতিহাস অনেক জায়গাতেই লোককথার সাথে জড়িয়ে গেছে।
(৩) নিবন্ধটি গুরুচণ্ডালি দোষে দূষ্ট। বহু জায়গাতেই "ইহা" ব্যবহার করা হয়েছে।
(৪) নিবন্ধটি বহু জায়গাতে অবিশ্বকোষীয়। যেমন, অনেক জায়গাতেই বলা হয়েছে, "ইতিহাসে প্রমাণিত", ইত্যাদি ইত্যাদি। এভাবে লেখাটা NPOV নয়। তদুপরি অপেশাদার ও আঞ্চলিক ইতিহাসবিদদের অনুল্লেখ্য ইতিহাস গ্রন্থকে এখানে প্রামাণ্য বলে ধরা হচ্ছে, অথচ সেখানে দাবি করা "ইতিহাস" কে অতি প্রশস্তিমূলক লোককাহিনী ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। যেমন, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ এসব এলাকা সিলেটের অংশ ছিলো, এমন দাবিটা সিলেটের আঞ্চলিক লেখকেরা ছাড়া আর কোনো খানে লেখা আছে কি? এই বিষয়ে সন্দেহ জাগছে।
(৫) অনেক জায়গাতেই single source সমস্যা রয়েছে। একাধিক উল্লেখযোগ্য ইতিহাস বই থেকে রেফারেন্স যোগ করা আবশ্যক। তদুপরি সিলেটের স্থানীয় লেখকদের লেখা অতিপ্রশস্তিমূলক ইতিহাস ঠিক বিশ্বাসযোগ্য নয়, প্রতিষ্ঠিত ইতিহাসবিদদের লেখা ইতিহাস থেকে রেফারেন্স টানতে হবে। আর সেই রেফারেন্সকে নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করতে হবে। উইকির নিবন্ধের লক্ষ্য হলো তথ্য উপস্থাপন করা। কোনো এলাকার গৌরব প্রতিষ্ঠা করা না। কাজেই সেসব দিকে নজর রাখতে হবে।
এই নিবন্ধে জরুরি ভিত্তিতে উপরের ব্যাপারগুলোর নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নিবন্ধটা রীতিমতো গালগল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪১, ১৬ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- রাগিব ভাইয়ের সাথে আমি অনেকগুলো ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত।
- ১. বানান প্রচুর ভুল, কিছু নাকি টাইপিং মিসটেক, কিন্তু তা ঠিক করার প্রবণতা দেখা যায়নি। উইকিপিডিয়ার স্বার্থে আমি কিছু সংশোধন করে দিলাম।
- ২. এই পয়েন্টে আমি সামান্য আপত্তি জানাচ্ছি। কারণ অচ্যুতচরণ চৌধুরির বক্তব্যকে এই নিবন্ধের প্রণেতা এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, যা হয়তো তাঁকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু বানিয়ে দিয়েছে। বস্তুত নিবন্ধের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কুমিল্লা সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তা কিন্তু তিনি বলেননি, তিনি বলেছেন "বিস্তৃত ছিল"। ইতিহাস অংশটির ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইনা, কারণ ঐ অংশটি রিভিউ করার ধৈর্য্য আমার হচ্ছে না। রূপকথার সাথে ইতিহাস জড়িয়ে গেলে তা অন্যায় হলেও ইতিহাসের একটা মূল অংশ কিন্তু লোককথা, লোককৃতি, ফোকলোর। তাই রূপকথা হিসেবে যে অংশটুকু রয়েছে (কোন অংশটুকু?) সে অংশটুকু বাদে লোককথা হিসেবে যে অংশটুকু রয়েছে, তার জন্য আমার কোনো বক্তব্য নেই, কারণ তা ইতিহাসের প্রাথমিক উৎস। অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি অনেক আগে এই বইগুলো লিখেছেন, যার অনেক কথাই হয়তো বর্তমান ঐতিহাসিকগণ খণ্ডণ করেছেন (আমি জানিনা আসলে), উৎস প্রকাশন আসলে রিপ্রিন্ট করেছে সেই প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। তাই অচ্যুতচরণ চৌধূরীর দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারী বক্তব্যগুলো আধুনিক ঐতিহাসিকদের বক্তব্য দিয়ে খণ্ডানোর প্রস্তাবে আমি সায় জানাচ্ছি।
- ৩. যতটুকু ঠিক করেছি, ততটুকুতে যথাসম্ভব গুরুচণ্ডালি দোষ মুক্ত করা হয়েছে, তারপরও পড়ার সময় অনেক সময়ই বক্তব্যের প্রতি নজর চলে যায় বলে ভাষাগত দোষ থাকলে সংশোধন করার অনুরোধ থাকলো।
- চিত্র:Ochethon 12.gif
- ৪. আঞ্চলিক ইতিহাসবিদদের ব্যাপারটি একেবারে সত্যি। (এপ্রসঙ্গে আমার একটি অচেথন আছে, উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারলাম না) যে বইয়ের নাম "Probashi Bactitto", সে বইয়ের বক্তব্য যে ঐতিহাসিক প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে কতটা শুদ্ধ তার প্রশ্ন উঠতেই পারে। কুমিল্লা প্রসঙ্গটিতে মাত্র একটি তথ্যসূত্র ব্যবহৃত হয়েছে, তাই তথ্যসূত্রের আবেদন করেছি। তাও, যে তথ্যসূত্রের উল্লেখ করা হয়েছে, তাও সম্পূর্ণ নয়, কোন প্রকাশনী ইত্যাদির উল্লেখ নেই। কুমিল্লা'র সিলেট অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক এবং যুক্তিসঙ্গত। যদি এবিষয়ে সমাধানে যাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে একেবারে অপসারণ না করে প্রসঙ্গটিকে আলাপ পাতায় রেখে দেয়ার অনুরোধ থাকলো। হয়তো কোনো এক উইকিপিডিয়ান এই সূত্র ধরে আমাদেরকে সত্যটা বেরও করে দিতে পারেন।
- ৫. একেবারে একমত। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:৫৯, ১৬ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
কুমিল্লা'র সিলেট অন্তর্ভুক্তি
বর্ধিত অংশ
|
গালগল্পের আরেকটি উদাহরণ দেই। নিবন্ধের ভৌগলিক বিস্তার অংশে বলা আছে। "অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি, প্রত্নতাত্ত্বিক রমেশ চন্দ্র দত্তের বরাত দিয়ে লিখেছেন: ব্রহ্মপুত্র নদীর পরবর্তী কামরূপ রাজ্যের বিস্তৃতি প্রায় দুইহাজার মাইল"। আমার প্রশ্ন হল, ২ হাজার মাইল কতটুকু হয়, তা কি অচ্যুৎচরণের মাথায় এসেছে কখনো? ব্রহ্মপূত্র নদীর পূর্বের দিকে ২ হাজার মাইল ধরলে সেটা জাপানের টোকিও পর্যন্ত চলে যায়। পশ্চিম দিকে ধরলে প্রায় সৌদি আরব পর্যন্ত গেলে ২০০০ মাইল হয়। কাজেই প্রাচীন কালেও এসব এলাকা সিলেটের বা কামরূপের অংশ ছিল এমন দাবী যেখানে করা হয়, তাকে গালগল্প বললেও বেশি বলা হয়। এরকম বইকে কোনো অবস্থাতেই প্রামাণ্য বলা চলে না। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৬:২৩, ১৬ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- রাগিব ভাই, ক্ষমা করবেন। ভুলটা কি আমার হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না। Distance হিসেবে 2000 মাইল = 3218.688 কিলোমিটার; Area হিসেবে 2000 বর্গমাইল (miles2) = 5179.976 বর্গকিলোমিটার (kilometers2)। যেখানে সিলেট বিভাগের বর্তমান আয়তন 4912 বর্গমাইল (miles2) সেখানে প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের বিস্তৃতি সৌদি আরব কিংবা জাপান যাবার প্রশ্ন আসছে কেন? বরং দেখা যাচ্ছে, তা বর্তমান সিলেট বিভাগ থেকে সামান্য বড় ছিল যদি "বিস্তৃতি প্রায় দুইহাজার মাইল" কথাটিকে আমরা বর্গমাইল হিসাব করি। ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তিস্থল যদি হিমালয় হয়, সেখান থেকে হিসাব করলেওতো আমার মনে হয় না, এর বিস্তৃতি নেপাল আর তিব্বতের বাইরে যাবে। তবে বাক্যের "ব্রহ্মপুত্র নদীর পরবর্তী কামরূপ" কথাটি সমস্যাজনক। এই পরবর্তি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে বুঝিনি। এব্যাপারে ইউসুফ ভাইয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আর, রাগিব ভাই, ব্যাপারটি দয়া করে পরিষ্কার করুন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৮:১১, ১৬ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- সমস্যা হলো, এখানে তো আর বর্গমাইল লেখা হয়নি, লেখা হয়েছে মাইল। (উদ্ধৃত অংশ দ্রষ্টব্য)। ঐ বইতে যদি বর্গমাইল লেখা হতো, তাহলে সেটা এলাকা বোঝাচ্ছে সেটা বলা যেতো। কিন্তু তা তো বলা হয়নি। একটা সম্ভাবনা আছে, অচ্যুৎচরণ এখানে বর্গমাইল আর মাইল গুলিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ১০০ বছর আগেও বর্গমাইল কথাটা ভালো করেই ব্যবহার করা হতো। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৮:২২, ১৬ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
প্রথমে; মইনুল ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে; রাগিব ভাই-এর উত্তাপিত প্রশ্ন গুলোর জবাব দেয়া আসলে আমার ঠিক হবে কি না জানিনা । তবে রাগিব ভাইর কাছে জানতে ছেয়ে লিখছি; রাগিব ভাই কি আমাকে জানাবেন; ভারত ও বাংলাদেশের লিখকগণ কি এমন কোন গ্রন্থ লিখেছেন যেখানে কোন গল্প-কাহীনির গ্রন্থের বরাত নাই ? এতদ্ব অঞ্চলের মানব সভ্যতার ইতিহাসগুলো কি গল্প ছাড়া রচিত হয়েছে ? আমরা মুক্ত বিশ্বকোশ বা উইকিপিডিয়া যাহাকে বলি; সেখানেও দেখি বিভিন্ন প্রবন্ধে তথ্য দিতে গিয়ে অনেক জায়গায় বেদ, পুরাণ ও মহাভারত লিখে পাশে কল্পকাহীনি উল্লেখিত আছে । তা দেখে কি আমরা যারা উইপিডিয়ায় প্রবন্ধ পাঠ করি, এতে দেয়া তথ্য সঠিক নয় মেনে নেব । না, কি করব ?
২ . কুমিল্লা জেলা প্রশ্নে শুধু এতটুকু জানা যায় যে, ইংরেজরা যখন (১৭৯০) কুমিল্লাকে জেলাতে উন্নত করে, তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোন জেলা হয় নাই । ইহা কুমিল্লা জেলার অধিন ছিল, আর তখকার ইতিহাসে পাওয়া যায় ইংরেজরা এদেশে আসার অনেক অনেক পূর্বে অত্র এলাকার "সরাইল" অঞ্চল "সিলেটের" পরগনা হিসেবে গণ্য হতো । সে হিসাবে কুমিল্লাকে সিলেটের অন্তর্ভূক্ত করাটা কোন লিখক দ্বারা ভুল হয়েছে বলাটা সঠিক নয় । আপনি যদি ইতিহাস বিষয়ে দহ্ম হন তাহলে 'আঈনে আকব্রী' গ্রন্থ দেখার অনুরুধ রইল ।
৩. খ্রিস্টীয় সালের ২-৩ শ বছর পূর্বে গেলেই দেখা যায় বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রামের নিম্নাঅঞ্চল গুলো সাগর গর্বে নিমজ্জিত ছিল । সেই সময়ে কামরুপ রাজ্য দুই হাজার মাইল বিস্তৃতি কথাটি অশুদ্ধ হবে মনে করাটা কি সঠিক ? রমেশ চন্দ্র দত্তের (civilization in ancient india) গ্রন্থখানা অনলাইনে পাঠ কারা যায়, আপনি ছাইলে পাঠ করে দেখতে পারেন যে, ভারতের গঙ্গা নদী, সরশ্বতি ইত্যাদি একেকটি নদীকে তিনি (রমেশদত্ত) ১৫০০ -১০০০- ৫০০ মাইল বলে উল্লেখ করেছেন । এটা তিনি (রমেশদত্ত) কল্প-গপ্লের বেদ, পুরাণ ইত্যাদি থেকে তথ্য যোগিয়ে বলেছেন । আমি উইকিপিডিয়া হতে একটি পুরাতন মানচিত্র এখানে লিংক করে দিলাম, আপনি দেখবেন যে, বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র সুন্দর বনও এক কালে সাগর-গর্বে ছিল । [১]
সর্বশেষে আমার প্রবন্ধে রমেশ চন্দ্র দত্তের বারাতে লিখা কথার তথ্য তুলে দিলাম-
শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত গ্রন্থে রমেশ চন্দ্র দত্তের (civilization in ancient india) গ্রন্থের বরাত দিয়ে যাহা লিখা হয়েছে তার জন্য একটি পাদ টিকায় উল্লেখিত রবাতের কথা ইংরেজিতে ধরে তুলা হয়েছ ; যেহেতু রমেশ চন্দ্র দত্তের বই খানা ইংরেজিতে লিখা, হয়ত সেই জন্য পাদ-টিকা অংশটুকুও ইংরেজীতে লিখা হয়েছে; To the east and beyond river. was the powerth kingdom of kamrupa 2000 miles in circuit. it apparently included in those time modern Assam, Manipur, and kachar, Mymensingh and sylhet. R dutt's Civilization in ancient india . "সিলেট বিভাগ প্রবন্ধ উইকি ব্যবহারকারীদের বিবেচনায় রইল । রাগিব ভাই ও মইনুল ভাইকে আমি নগণ্য লিখকের পক্ষথেকে ধন্যবাদ । আমার ভুল মার্জনার চোখে দেখবেন ।
উইকিপিডিয়া ব্যবহারকারী গণের কাছে অনুরুধ - আমার এই প্রবন্ধটির মানোনয় করতে সাহায্য করুন । ধন্যবাদ
|
বর্ধিত অংশ
|
- ↑ [১]
- ধন্যবাদ, ইউসুফ, রমেশ দত্তের মূল লেখাটি উদ্ধৃতি দেয়ার জন্য। আমি গুগল বুক্সে মূল বইটির ঐ জায়গাটা পড়লাম। প্রথমতঃ ইংরেজি লেখাটআ পড়ে ২০০০ মাইলের ব্যাপারটার দিশা পাওয়া গেলো। এখানে circuit শব্দটি আপনি বা অচ্যুৎচরণ ভুল ভাবে অনুবাদ করেছেন। রমেশ দত্ত বলতে চেয়েছিলেন পরিসীমার কথা। কাজেই ২০০০ মাইল পরিসীমা হতে পারে বৈকি। কিন্তু রমেশ দত্তের বই পড়ে আরো একটা ব্যাপার বোঝা গেলো - ২০০০ মাইল পরিসীমার এই তথ্যটি কামরূপ রাজ্যের কথা। আর সিলেট, ময়মনসিংহ, এবং কুমিল্লা ইত্যাদি এলাকা ছিল কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত। তার মানে কিন্তু এই না যে কুমিল্লা ছিলো সিলেটের অংশ!! (উপরে শ্রীলংকা বিষয়ে মন্তব্য দেখুন)।
- পুরাণ থাকুক পুরাণের জায়গায়, ইতিহাস ইতিহাসের জায়গায়। নানা ধর্মগ্রন্থে যে ইতিহাস বলা হয়, তা সংশ্লিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইতিহাসের মর্যাদা পেতে পারে। কিন্তু সার্বজনীনতা পায় না।
- মোগল আমলে সিলেট এলাকাটি সুবা বাংলার অংশ ছিলো। কিন্তু কুমিল্লা ছিলো ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ। মোগল সেনাপতি ইব্রাহিম খাঁ ১৬৯৮ সালে ত্রিপুরা জয় করেন বটে, কিন্তু সেটা মোগল সাম্রাজ্যের সরাসরি অংশ না হয়ে করদ রাজ্যে পরিণত হয়। (কাজেই আকবরের আমলে এই এলাকা মোগল সাম্রাজ্যের অংশ হয়নি মোটেও)। মুর্শিদ কুলি খাঁর আমলে কুমিল্লা ছিলো পরগনা রওশনাবাদের অংশ। এই প্রশাসনিক এলাকায় কুমিল্লা ছাড়াও ছিলো হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এবং ফেনী। কাজেই ১৭৯০ সালে আলাদা জেলা হওয়ার আগেও কিন্তু বৃহত্তর সিলেটের অংশ ছিলোনা কুমিল্লা বা ময়মনসিংহ।
- উপরের তথ্যগুলোর আলোকে অচ্যুৎচরণের লেখা ইতিহাস বইটির প্রামাণ্যতা নিয়ে সন্দেহ আরো পাকাপোক্ত হচ্ছে। কারণ তাতে সিলেট জেলার বিজয়গাঁথা ও গৌরবময় ইতিহাস লিখতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা যদি শ্রীলংকা কিংবা অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের অংশ বলে দাবি না করি, তাহলে একই ভাবে কুমিল্লা কিংবা ময়মনসিংহকে "সিলেটের অংশ" বলে দাবি করার উপায় নাই। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:৫০, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
মইনুল ভাই, কুমিল্লাজেলা সম্পর্কে ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহর লিখা ছাড়া আরও একটি তথ্য পাওয়া গিয়েছে যাহা টিকা নং ১৩ তে রয়েছে । আমি বুঝে উঠতে পারিনাই কি ভাবে তথটি সংযোক্ত করি, তাই উক্ত টিকাতে রেখে দিয়েছি । আপনি একটু দেখে সম্ব্ভ হলে, প্রবন্ধের কোথায় লিখে বাধিত করবেন । ধন্যবাদ Mdyusufmiah (আলাপ) ২২:৪৭, ১৬ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ঐ টীকার তথ্যটি ব্রিটিশ আমলের। তখন বরং কুমিল্লা সিলেটের অধীনে থাকার বদলে উল্টাটা, অর্থাৎ সিলেট স্বয়ং ময়মনসিংহের স্কুল এলাকার অধীনে থাকার সম্ভাবনা আছে। কাজেই ঐ টীকাটি কুমিল্লা সিলেটের অংশ থাকার প্রমাণ নয়। বাংলাপিডিয়াতে কুমিল্লার ইতিহাসে বলা হয়েছে সেটা অষ্টাদশ শতাব্দীতে ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিলো। গুগল বুক্স ঘেঁটে উনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ ও এশিয়াটিক সোসাইটির যা বই পত্র পেলাম, তাতে সিলেট ও কুমিল্লা সুস্পষ্টভাবে আলাদা জেলা বলে উল্লেখ করা আছে। এখন সম্ভাবনা একটাই -- কোনোভাবে যদি দেখানো চলে যে, প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিলো কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ। তাতেও প্রশ্ন থাকবে, এই এলাকাগুলোকে সিলেটের অংশ ছিল তা বলা চলে কি না। কারণ, একই যুক্তিতে শ্রীলংকা বাংলাদেশের অংশ বলে দাবী করে ফেলা সম্ভব, যেহেতু দুইটাই ব্রিটিশ রাজের অংশ ছিল। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০০:০৬, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
টেবিলের অভ্যন্তরীণ অংশটি আমার আলাপ পাতা থেকে এখানে আনা হলো, কারণ তা এই নিবন্ধের জন্য প্রাসঙ্গিক। আর বর্তমান আলোচনা এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে, যাতে মন্তব্য করার জন্য ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ হাতে রাখা উচিত। দুঃখ আমার কাছে তা খুব কম। তাই আলোচনাকে আপাতত আপনাদের পারস্পরিক প্রাসঙ্গিক তথ্য চালাচালিতে দেখতেই পছন্দ করবো। আমি কিছু পেলে জানাবো। ধন্যবাদ। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৭:৪৬, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আর, সত্যি কথা বলতে কি, ১৩ নম্বর টীকা 'কুমিল্লা সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল' কথাটিকে সমর্থন করে না। তবে একটা ব্যাপার এখানে আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে, রাগিব ভাই, ক্ষমা করবেন: বারবার অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধিকে নিয়ে টানাপোড়েন হচ্ছে কেন? তাঁর কোনো তথ্যই এখনও পর্যন্ত এককভাবে দাবি করেনি যে, কুমিল্লা সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি উদ্ধৃতি দিয়েছেন circuit, তিনি বলেছেন স্কুলগুলো ডেপুটি ইন্সপেক্টরের অধীনে ছিল, তার পরও রাগিব ভাই বারবার একজন ঐতিহাসিকের নামোচ্চারণ এমনভাবে করছেন, যেন সব দোষ ঐ ব্যক্তির। কেন তবে শিষ্টাচার বহির্ভুতভাবে একজন সম্মনিত ব্যক্তি সম্পর্কে এরকম মন্তব্য চালাচালি হচ্ছে? আমি তো কখনো মুনতাসির মামুনের নামোচ্চারণে "মামুনের লেখা"- এইজাতীয় বক্তব্য বলবো না; হয় বলবো "মামুন সাহেবের লেখা", নয়তো "মুনতাসির মামুনের লেখা"। অনুগ্রহ করে অচ্যুতচরণ তত্ত্বনিধির অপমান করবেন না। একজন ঐতিহাসিককে ১০০ ভাগ সঠিক হতে হবে এমন কথা কোথাও নেই। ইতিহাস কালের আবর্তে পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারে উল্টে যাবারও অনেক নজির আছে পৃথিবীতে। ...আসলে এরকম কথাবার্তা আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগছে না। সেটা হয়তো আমার সমস্যা, আমি সেজন্য ক্ষমা চাচ্ছি। তবে এব্যাপারে আলাদা আলোচনা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা চলতে থাকুক। ধন্যবাদ। রাগিব ভাইকে অনুরোধ করবো সব সময় contradict approach-এ অগ্রসর না হতে। Contradist approach হলো তর্কের সবচেয়ে সুন্দর সমাধান। আপনার থিওরি একটু বেশি কড়াকড়ি। :) —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৮:০৬, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- আচ্ছা মাঈনুল, অফ টপিক হলেও আপনাকে প্রশ্ন করি, ম্যারাডোনাকে কি আপনি ম্যারাডোনা সাহেব বলেন? কিংবা আইনস্টাইনকে আইনস্টাইন সাহেব, বা জনাব আইনস্টাইন? শেক্সপিয়ারকে পুরা নাম ধরে বলেন? নিঃসন্দেহে এর কোনোটাই করেন না, তাই না? তাহলে প্রশ্ন হলো অচ্যুৎচরণ তত্ত্বনিধির নামকে সংক্ষেপে অচ্যুৎচরণ লেখাতে কেনো আপনার মনে হচ্ছে সেটা ব্যাঙ্গাত্মক? আপনার যদি আমার এই রকম সংক্ষেপণে আপত্তি থাকে, তাহলে আমি এখন থেকে পুরো নামটাই লিখবো :)। আর আরেকটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দেই একটু -- সিলেট বা অন্য কোনো এলাকার প্রতি আমার কোনো রকমের অ্যালার্জি নাই। এই নিবন্ধটা আপনি দয়া করে আরেকবার পড়ে দেখুন। তার পরে বলুন, এই রকম দুর্বল সূত্রনির্ভর লোককাহিনীতে ভরপুর নিবন্ধকে বাংলা উইকিতে রাখাটা উচিৎ কি উচিৎ না? নিবন্ধটা সিলেট না হয়ে ধরুন হলো নাইজেরিয়া, তখনো কি আপনি একই মত পোষণ করবেন? মানের ব্যাপারে কড়াকড়িটাকে ব্যক্তিগতভাবে না নেয়ার জন্য আপনি ও ইউসুফ, দুইজনকেই অনুরোধ করছি। বাকি আলোচনাটুকু অন টপিক করা যাক। ধন্যবাদ। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৯:৩৩, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- রাগিব ভাই, কথাটাতো সত্যি, আমি তো ম্যারাডোনাকে ম্যারাডোনাই বলি। এব্যাপারে আমার দৃষ্টিকোণ আসলে সীমাবদ্ধ ছিল। আপনি সংক্ষিপ্ত নামটিই লিখতে পারেন... ;)। সিলেটের প্রতি আপনার এ্যালার্জি আছে এমন কথা কি আমি কখনও বলেছি? সিলেট বিভাগ নিবন্ধের কোনো অসত্য কিংবা ভুলের প্রতি আমি কি কখনও সমর্থন জানিয়েছি? আপনি পুরো ব্যাপারটিকেই ব্যক্তি আক্রমণ হিসেবে নিয়েছেন। ইতিহাস বিষয়ে আপনার সজ্ঞানতা এতটুকু ছিল বলেই আপনি প্রশ্নটি তুলতে পেরেছেন, এ ব্যাপারে হয়তো আপনাকে অভিনন্দন জানানো হয়নি, তবে আপনার প্রশ্ন উত্থাপনের যথার্থতায় আমি কখনও প্রশ্নও তুলিনি। প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক, যৌক্তিক এবং মীমাংসার দাবিদার। উইকিপিডিয়ার যেকোনো নিবন্ধ বিষয়ে কী দৃষ্টিকোণ দিতে হবে তা সেই 'ইনাম আল হক' থেকেই শিখে গিয়েছিলাম, তারপর তা আরো পোক্ত হয় সপ্তর্ষিদার মাধ্যমে। আমার দাবিটা শুধু এতটুকু ছিল যে, যে তথ্যটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, সেই তথ্যটার একক এবং একমাত্র তথ্যসূত্র হচ্ছে, "সিলেট গীতিকাঃ সমাজ ও সংস্কৃতি, ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, প্রস্তাবনা ২, পৃষ্ঠা ১৫-১৬; প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০০৫।" আবুল ফাত্তাহ সাহেবের প্রসঙ্গ না টেনে বারবার অচ্যুতচরণের প্রসঙ্গ টানাটা আমি ঠিক মানতে পারছিলাম না। এ ব্যাপারে ইউসুফ ভাইয়ের পক্ষ থেকেও উপযুক্ত আচরণ পাইনি। আমি-আপনি যে যেই এলাকারই হই না কেন, যখন এই প্লাটফর্মে কথা বলছি, তখন আমরা উইকিপিডিয়ান হিসেবেই বলি। আর তখন আমাদেরকে উইকিপিডিয়ার নিয়ম-নীতিকে মানতেই হয়। মানের প্রসঙ্গে আপনার কড়াকড়ির প্রশ্ন আমি তুলিনি, অনুরোধ করেছি, কথার ধরণে কড়াকড়ি না করতে। আমি আসলে আপনার কথাগুলোকে বড় ভয় পাই, সেজন্যই। আমরা বরং মূল আলোচনায় ফিরে যাই:
- আমার কাছে একমাত্র বিশদ যে বইটি আছে, তা সৈয়দ মুর্তাজা আলী'র হজরত শাহ্ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস (১৯৮৮ সংস্করণ), এতে সিলেটের ইতিহাস অংশে এই অঞ্চল কামরূপের অধীনে ছিল এমন কথার উল্লেখ থাকলেও প্রাচীন কোনো মানচিত্র নেই, আর কুমিল্লা পর্যন্ত বিস্তৃতির কথা উল্লেখ নাই। বরং সিলেটের বস্তৃতি উত্তরের দিকে যে ছিল এব্যাপারে কোনো দ্বিমত পাইনি। দক্ষিণে বিস্তৃতির কোনো প্রমাণ পাইনি।
- যে ব্যাপারটা বই ঘাঁটতে গিয়ে আমি এখন ধরতে পারছি, তা হলো: প্রথমত, যেসকল শাসনাধীনে সিলেট ছিল, সেসকল শাসনকেন্দ্রের বিস্তৃতি কতটুকু ছিল, তা জানা আমাদের দরকার। হয়তো কখনও কোনো শাসনামলের শাসন-বিস্তৃতি ছিল সিলেট-কুমিল্লা পরিব্যপ্ত। যদি সেরকম কোনো শাসনামল পাওয়া যায়, তবে দ্বিতীয়ত, জানতে হবে ঐ যে বিস্তৃত অঞ্চলটি ছিল, তার নাম কী ছিল, যদি তার নাম "সিলেট" বা সিলেটের কোনো প্রাচীন নাম না হয় তাহলে তা কখনোই সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিলো এমনটা বলা যাবে না। শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত বলা যাবে না, কারণ তা ব্রিটিশের অধীনে থাকলেও আলাদা নাম ছিল (সম্ভবত সিংহল), কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল বা পশ্চিমবঙ্গব্যাপী বাংলা বিস্তৃত ছিল এমন দাবি করা যাবে কারণ পশ্চিমবঙ্গের পরিচিতি তখন ছিল 'বাংলা' নামে। তাই এই দুটো ব্যাপারে নিষ্পত্তি না হওয়া প্রয়োজন। (১) কুমিল্লা পর্যন্ত বিস্তৃত অতীত সিলেট কেন্দ্রীক শাসনামল আবিষ্কার, (২) সেই শাসনালয়ের নাম "সিলেট"-এর কাছাকাছি কিছু আবিষ্কার। অন্যথায় এই আলোচনাকে টানা অবান্তর। এব্যাপারে আমি ইউসুফ ভাইয়ের দায়িত্বই বেশি বলে মনে করি।
- উল্লেখ্য আইন-ই-আকবরীতে সিলেটের যে আটটি মহালের নাম পাওয়া যায়, তা হলো: প্রতাপগড়, বানিয়াচুঙ্গ, বাজুয়া, জয়ন্তীয়া, হাবেলি সিলেট, সতর খণ্ডল (সরাইল), লাউড় ও হরিনগর। এখানে কোথাও কুমিল্লার নাম পাওয়া যায় না।
- জয়ন্তীয় রাজ্যের মধ্যে নওঁগা জেলার সমভূমির অন্তর্ভুক্তির উল্লেখ পেয়েছি বইয়ের ১০৬ পৃষ্ঠায়। কিন্তু কুমিল্লার উল্লেখ পাইনি।
- পুরো আলোচনাটা আরো পিনপয়েন্ট হবে যদি ইউসুফ ভাই আবুল ফাত্তাহ সাহেবের বইয়ের মূল লেখাটিকে উদ্ধৃত করেন। কারণ "সিলেটের আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ অনুসারে এই অঞ্চলের প্রাচীন সীমানার যে উল্লেখ পাওয়া যায় সে অনুসারে তৎকালীন শ্রীহট্টমণ্ডল..." কথাটি তিনি নিজে তৈরি করে লিখেছেন এবং কথাটিতে অনেক খাঁদ আছে, যেমন "সিলেটের আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ অনুসারে"- কোন গ্রন্থ? "তৎকালীন শ্রীহট্টমণ্ডল"- কোন কালীন? "বর্তমান কুমিল্লা জেলা, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অনেকাংশ শ্রীহট্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল।"- হয়তো আসল কথাটি বলছে কুমিল্লা পর্যন্ত বিস্তৃতির কথা, কুমিল্লায় বিস্তৃতির কথা বলেনি। এই সব প্রশ্নের মীমাংসা ঘটবে যদি মূল চরণগুলোর উদ্ধৃতি তিনি করেন। আমি তাঁকে তা করার অনুরোধ করছি।
- আর দুজনকেই অনুরোধ: ভাই, আমার নাম মইনুল কিংবা মাঈনুল কোনোটাই নয়, বরং মঈনুল ইসলাম, সংক্ষেপে মঈন ডাকতে পারেন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১১:৫১, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- সুপ্রিয় মঈন, নামের বানান ভুল লেখার জন্য শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি নিজে এই ব্যাপারে আজীবন ভুক্তভোগী :(। যাহোক, এর সাথে সাথে আমার কোনো কথায় যদি আহত হন, তার জন্যও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার বার্তায় যদি কারো ভয় লাগে, তার মানে আমার কথার ভঙ্গীতেই সমস্যা আছে, আপনার এই ফিডব্যাকটি আমার এই ত্রুটিটুকু শুধরে নিতে সাহায্য করবে।
- অচ্যুৎচরণ তত্ত্বনিধির বদলে যদি ডঃ ফাত্তাহের বই থেকেই ঐ কথাটির রেফারেন্স দেয়া হয়, তাহলে জনাব অচ্যুৎচরণের নাম বার বার উল্লেখ করাটা ভুল বটে। তবে কার বই থেকে বলা হচ্ছে, সেটা আমার মূল কথা ছিলো না। যে ধরণের রেফারেন্স দেয়া হচ্ছে, তার সীমাবদ্ধতাগুলো উল্লেখ করতে চেয়েছি। এই নিবন্ধের ইতিহাসটাকে আরো পাকাপোক্ত করা সম্ভব। কামরূপ, মোগল আমল, এসব সময়ে বিশাল ইতিহাস থাকার কথা। গুগল বুকে ব্রিটিশ আমলেরও অনেক তথ্য আছে। কাজেই যথাযথ রেফারেন্স দিয়ে নিবন্ধটিকে পাকাপোক্ত করা দরকার, আর এখনকার সমস্যাগুলো দূর করা দরকার। আশা করি এই প্রয়োজনগুলোর ব্যাপারে কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না। আসুন নিবন্ধটিকে সমৃদ্ধ করি। ভালো থাকুন। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৯:২৬, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
সিলেট<কুমিল্লা (বিস্তারণ)
বর্ধিত অংশ
|
কুমিল্লা নিয়ে যে বির্তকে আমরা জড়িয়ে পরেছি ।
- আমার মনে হয় "সিলেট বিভাগ" প্রবন্ধে আমার উপস্তাপনায় ""সিলেটের আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ অনুসারে এই অঞ্চলের প্রাচীন সীমানার যে উল্লেখ পাওয়া যায় সে অনুসারে তৎকালীন শ্রীহট্টমণ্ডল বর্তমান সিলেট বিভাগের চেয়ে আয়তনে অনেক বড় ছিল, এমনকি বাংলাদেশের বর্তমান কুমিল্লা জেলা, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অনেকাংশ শ্রীহট্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল"" এই অংশ টুকু ভাল করে আবার পড়ার প্রয়োজন অনেক ।
- কারণ এই জায়গাতে তিনটি কথা বিশেষ ভাবে লক্ষনিয়, যেমনঃ- *""অঞ্চলের প্রাচীন সীমানা"", * ""বর্তমান ও অনেকাংশ'
- এই কথা গুলো বিবেচনায় রাখা হলে, আমার মনে হয় রাগিব ভাই-এর 'ভ্রম' আর থাকবেনা ।
- এছাড়া উইকিপিডিয়া কুমিল্লার ইতিহাসে রয়েছে ""কুমিল্লা অঞ্চলটি"' একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। * ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। *"১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়"। *""১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়।
- ""১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ""ব্রাহ্মণবাড়িয়া' মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়। (উইকিপিডিয়া কুমিল্লার ইতিহাস হতে কপি-পেইসস্ট) ।
এখন রাগিব ভাই যদি এই কথাটি > * ""১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়"" মেনে নেন, তাহলে আমার মনে হয় ""কুমিল্লা সিলেটের অন্তর্ভূক্ত ছিল"" কথাটির মিমাংসায় পৌছা যাবে ।
- এরপরেও আমার দেয়া তথ্যের বিত্তিগুলো কি হবে ? প্রশ্নটিরও মিমাংসা করা অবশ্যই প্রয়োজন । তাই লিখছি; রাগিব ভাইকে আমি পূর্বে লিখেছি * ""অত্র এলাকার "সরাইল" অঞ্চল "সিলেটের" পরগনা হিসেবে গণ্য হতো"" ।
- আবার রাগিব ভাই-এর কাছে প্রশ্ন,
- 'অনেকাংশ' কথাটি কি এর ভেতরে পরেনা ? কি "সরাইল" অঞ্চল "সিলেটের" পরগনা হিসেবে গণ্য, অনেকাংশের ""অংশ নয় ?
- আমি রাগিব ভাই-এর আরেকটি কথা প্রতিবাদ করছি । জানিনা 'প্রতিবাদ' শব্দটি উইকিপিডিয়ার কোন শর্ত বিরুধ কি না ।শব্দটি যদি শর্ত বিলঙ্ঘন সুচক হয়, আমি আগেই হ্মমা চেয়ে নিচ্ছি । আমার মন্তবটি প্রতিবাদ করছি সেটা হলো-
- আমি তথ্য দিয়েছি ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহর গ্রন্থ হতে ।
- রাগিব ভাই সবসময় অচ্যুত চরণ চৌধুরী কে নিয়ে টানা-ছেরা করছেন । এটা কি সঠিক হচ্ছে ? অচ্যুত চরণ চৌধুরীর সম্পর্কে আগেও আমি এই আলাপ পাতায় লিখেছি, আজ আরো একটু আপনার জ্ঞাতার্তে লিখছি ।
- অচ্যুত চরণ চৌধুরী উনবিংশ শতাব্দির বাংলা সাহিত্যের একজন প্রাণ পুরুষ ছিলেন । সাহিত্য, দর্শন, বিশেষ করে বৈঞ্চব-দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল , ভাষা ও সংস্কৃত সম্বন্ধে তাঁর অগাদ পাণ্ডিত্য অর্জন ছিল বলে সর্বজনিন ভাবে স্বীকৃত ।
- বৈঞ্চবী পণ্ডিতগণ তাঁকে বৈঞ্চবী গুরু , তত্বনিধি বলে ভূসিত করেন,
- শুধু তাহাই নহে, তাঁর সময়ে সাহিত্যিকগণ তাঁকে গৌড় ভূষন উপাদি ও দিয়েছেন । ধর্মীয় ভাবে তিনি যে কেহই হোন না কেন, মানব সমাজে কিন্তু তিনি একজন নিষ্ঠাবান সাধু পুরুষ ছিলেন বলে জ্ঞানিজনেরা বলেন । তিনি ধর্ম নিতির চেয়ে মানব নিতিকে প্রধান্য দিতেন বলেও বিজ্ঞজনেরা অভিমত ব্যাক্ত করেন।
- বিশেষ করে তিনি একজন নিষ্ঠাবান লিখক ছিলে বলে সর্ব মহলে তাঁর কলমের মুল্যায়ন করা হতো ।
- তার একটি উদাহরণ মরহুম হুমায়ূন আজাদ সাহেব থেকে জানুন । "শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত গ্রন্থটি যাকে আপনি (রাগিব ভাই) গাল-গল্প বলে ব্যাং করছেন । এই পুস্তিকাটির নতুন সংস্করণ ছানোর পূর্বে যখন মরহুম হুমায়ুন আজাদ সাহেব কে দেখানু হয় । তিনি তাঁর (হুমায়ূন আজাদ) মত ব্যক্ত করে বই-এর প্রকাশকদের বলে ছেন 'এই বইটি যে ভাবে আছে সেই ভাবে ছাপানোই উত্তম' (প্রকাশকের কথা দ্রঃ) ।
- আমি অচ্যুত চরণ চৌধুরীর গুন-গান নয়, আপনার অবগতির জন্য লিখছি, যাহাতে আপনার মনের ক্ষেদ দুরিভূত হয় । যে 'শ্রীহ্ট্টের ইতিবৃত্ত' বর্তমানে গবেষনার কাজে ব্যবরিত হয়, এই বই নিয়ে অমুলক মন্তব্য কতটুকু সঠিক তা আপনি বিবেচনা করবেন । আমার কথার কথা যাচাইয়ের জন্য সিলেটের 'মুসলিম সাহিত্য পাঠাগারে' খুজ নিতে পারেন ।
- আরেকটি কথা আমি আমার প্রবন্ধে যাহা লিখছি পুরোদ্বায়ীযত্ব সহকারে লিখছি, এতে উইকিপিডিয়ার কোন ক্ষতি হবে বলে বিশ্বাষ নয় । হতে পারে আমার লিখার গঠন অনুন্নত বা তথসুত্র পরিস্কার নয়, তা শুধু আমার প্রাজুয্য, যাহারা ইতিহাস লিখেছেন তাদের বেলা কেন ? মঈনুল ইসলাম (মঈন) ভাই-এর কথার সাথে আমি একমত যে, উনি লিখেছেন আমার উপস্থাপনা ভুল হতে পারে । তাহা আমিও মানি । আমার লিখাগুলোর গঠন নিয়ে প্রশ্ন আসলে সঠিক । আমি আসলে কোন লিখক নই, আমি একজন পাঠক । তাই হয়ত আমার লিখা গুরুচণ্ডালি দোষ হতে মুক্ত নয় ।
- মঈনুল ইসলাম (মঈন) ভাই-এর কথামত আবুল ফাত্তাহ সাহেবের লিখা টুকু হুবহু তুলে দিলাম, ডঃ আবুল ফাত্তাহ সাহেব সিলেটের ঐ সময়কার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ভৌগলিক তথ্যে মতে প্রত্নত্বাতিক কমল্কান্তের একঠি লম্বা মন্তব্যের শেষে লিখেছেন *""শ্রীহট্ট মণ্ডল বর্তমান সিলেট বিভাগের চেয়ে আয়তনে অনেক বড় ছিল । বর্তমান কুমিল্লা (ত্রিপুরা),ত্রিপুরা রাজ্যের (ভারত) বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিছু অংশ শ্রীহট্ট মণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত ছিল"।
ঁ এই লিখে একটি টীকায় তথ্যসুত্রে উল্লেখ করেছেন "মোঃ হাফিজুর রহমান ভুঞাঃ সিলেট বিভাগের প্রশাসন ও ভূমি ব্যবস্থা, প্রথম প্রকাশ, সিলেট ১৯৯৮, পৃঃ ৫২। এর পরের অংশে লিখেছেন শ্রীহট্টের সীমা বর্তমান কালাপেক্ষা বহুদুরে ছিল । * তখন ত্রিপুরার সরাইল ও ময়মনসিংহের জোয়ানশাহী প্রভৃতি সমস্তই শ্রীহট্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল ।
উপরের লিখাগুলো হুবহু তুলে দিলাম; এরপরে (আবুল ফতেহ ফাত্তাহ) লিখেছেন ১৭২২ সরাইল ও জোয়ানশাহী সিলেটের ভেতর ছিল । সরাইল, জোয়ানশাহী ও তরফ পরগনা ১৭৬২ সালে খারিজ হয়ে ঢাকা নেযাবতের অধীনে আসে । প্রতীয়মান হয় যে, দশম শতাব্দী থেকে অষ্ঠাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে (১৭৬২ সালের পূর্ব) পর্যন্ত সরাইল ও জোয়ানশাহী প্রভৃতি পরগ্ণা সিলেটের সাথে যুক্তছিল । ("সিলেট গীতিকাঃ সমাজ ও সংস্কৃতি, ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, প্রস্তাবনা ২, পৃষ্ঠা ১৫-১৬; প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০০৫।")
মঈনুল ইসলাম (মঈন) ভাই সিলেটের পরগনা বা মহালের যে উল্লেখ করেছেন; তার পেক্ষিতে 'অচ্যুত চরণ চৌধুরীর' শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পুর্বাংশ থেকে কিছু তথ্য দিচ্ছি; '(মহলের নাম) সতের খণ্ডল (সরাইল) ইহা এহ্মনে (সম্বত ১৯০৯ সাল, কারণ অচ্যুত চরণ চৌধুরীর এই সালে উল্লেখিত পুস্তক রচনা করেন ) খারিজা মহালে পরিণত হইয়াছে । সম্রাট আকব্রের পূর্ব হইতে সরাইল শ্রীহট্টের অন্তর্ভূক্ত ছিল । শ্রীযুক্ত কৈলাসচন্দ্র সিংহ ত্রিপুরার ইতিহাসে লিখিয়াছেন সরাইলের অধিকারী 'দেওয়ানগণ তাহাদের রাজস্ব শ্রীহট্টের আমিলের নিকট প্রেরণ করিতেন । সম্রাট আরঙ্গবেজের শাসন কালে সরাইল, জোয়ানশাহী ও তরফ পরগনা খারিজ হয়ে ঢাকা নেযাবতের অধীনে আসে '।
- অচ্যুত চরণ চৌধুরীর উক্ত পুস্তিকার 'ত্রিপুর বংশীয় রাজগণ' অধ্যায়ে লিখেছেন; শ্রীহট্ট বর্তমানে যতদুর বিস্তৃত, পূর্বকালে ভূপরিমাণ ততদুর ছিলনা । পূর্বে ও উত্তরে এবং উত্তর পূর্ব ব্যাতিত ও পশ্চিম দিক ও দক্ষিণ পশ্চিমদিগস্থ ভূভাগ সগরগর্ভে ছিল । শ্রীহট্টের দক্ষিণাংশ বরবক্র নদের সীমা পর্যন্ত বহুকাল ত্রৈপুর রাজবংশীয়ের শাস্নাধিন ছিল । রঘুবংশের কালিদাস এই দেশকে তালাবিন' শ্যাম উপকন্ঠ' বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন । ইহাও সমুদ্রের উপকন্ঠে ছিল এবং শ্রীহ্ট্টের পাশেই ইহার অবস্থান নির্ণীত হইয়াছে। এই দেশ (উল্লেখিত 'তালাবিন')বহুকালাবধি ত্রৈপুর রাজবংশের শাসনে ছিল। পরে ইহাদের বংশের রাজগণের রাজ্যবৃদ্ধির সহিত সেই রাজ্যই ত্রিপুরা নামে খ্যাত হয় । কিন্তু প্রাচীন কালে ত্রিপুর বংশীয় রাজগণের রাজ্য বর্তমান ত্রিপুরায় ছিল না । খ্রিস্টিয় সপ্তম শতাব্দীতে হিউয়েং সাং বর্তমান ত্রিপুরার অন্তর্ভূক্ত কুমিল্লাহকে "কমরাঙ্ক"" নামে রাজ্য বর্ণনা করেছেন । হিউয়েং সাং এর বর্ণনানুসারে উক্ত কমরাঙ্ক রাজ্যের ত্রৈপুর রাজগণের সাথে কোন ভাবে সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায় না । তবে লাউড় রাজ্যের সাথে পরিচিত হওয়াটা অযৌতিক নহে । (শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ' অচ্যুত চরণ চৌধুরী দ্রঃ)
- আমার মনে হয়, রাগিব ভাই ও মঈন ভাই 'সিলেট বিভাগ' প্রবন্ধের ইতিহাস যতটুকু হোক ও ভুল শুদ্ধ হোক পড়েন তাহলে আরও কিছু জানতে পারেন । এই পর্যন্ত আজকের মত শেষ করলাম । ""আশা করি আপনারা বিজ্ঞজন হিসেবে"" আমার লিখা শব্দে বা লিখার গঠনের কারণ ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন । (বিঃদ্রঃ যদি প্রয়োজন হয় আরও লিখে জানাবো )
আপনারা দুই জনকেই অন্তর থেকে ধন্যবাদ
- ইউসুফ ভাই, আপনাকে ক্ষমা করতে পারছি না। ভুল হলে তা কীবোর্ডে তিন-চারবার চেষ্টা করে শুদ্ধ করা যায় না- এমন কথা আমি বিশ্বাস করি না। আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন, কিন্তু সেগুলোর মর্মোদ্ধার করা রীতিমতো দুর্বোধ্য ঠেকছে। আপনি লেখা শেষে প্রাকদর্শন ব্যবহার করুন, তারপর যতগুলো জায়গায় ভুল হয়েছে, দয়া করে সংশোধন করে তবেই সংরক্ষণ করুন। আর একটা তথ্যকে আরেকটা তথ্য থেকে আলাদা করে লিখুন, যাতে মূল বক্তব্য আমাদের বোধগম্য হয়।
- এতো এতো তথ্যকে যাচাই করার জন্য যে ঐতিহাসিক জ্ঞান ও মাথা খাটানো দরকার এই মুহূর্তে আমার তা করার মানসিকতা হচ্ছে না। তবে আপাতত কয়েকটা কথা বলি:
- রাগিব ভাই যেখানে অচ্যুতচরণ তত্ত্বনিধির প্রসঙ্গ নিয়ে আসার ভুল স্বীকার করেছেন, সেখানে আবার তা উত্থাপন করাটা ঠিক হয়নি।
- "অচ্যুত চরণ চৌধুরীর উক্ত পুস্তিকার 'ত্রিপুর বংশীয় রাজগণ' অধ্যায়ে লিখেছেন; শ্রীহট্ট বর্তমানে যতদুর বিস্তৃত, পূর্বকালে ভূপরিমাণ ততদুর ছিলনা । পূর্বে ও উত্তরে এবং উত্তর পূর্ব ব্যাতিত ও পশ্চিম দিক ও দক্ষিণ পশ্চিমদিগস্থ ভূভাগ সগরগর্ভে ছিল।" - বলে যে বক্তব্যটি দিয়েছেন, তা আরো বেশি রহস্যমণ্ডিত। কারণ আমার ধারণা কিংবা জানামতে, সিলেট থাকাকালীন সময় চট্টগ্রামও ছিল। সিলেটের মতোই কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে চট্টগ্রাম আরো বেশি প্রাচীণ হবার সম্ভাবনা প্রকট। সেক্ষেত্রে সিলেটের দক্ষিণাংশে একসময় সমুদ্রতট ছিল, কেমন বেখাপ্পা লাগছে। যে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা আমি দিতে পারি, তা হলো সিলেট অঞ্চলে হাওর নামের উৎপত্তি সাগর থেকে হয়েছে। সেরকম কোনো হাওরের তট বোঝাতে গিয়ে কি অচ্যুতচরণ তত্ত্বনিধি "সাগরগর্ভে" বলতে চাচ্ছেন?
- আবুল ফাত্তাহ সাহেবের বইটির প্রকাশক আর প্রকাশের স্থান উল্লেখ করলে বাধিত হব।
- আবুল ফাত্তাহ সাহেবের যে উদ্ধৃতি আপনি দিয়েছেন: "বর্তমান কুমিল্লা (ত্রিপুরা),ত্রিপুরা রাজ্যের (ভারত) বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিছু অংশ", সেখানে লক্ষ্য করুন কথাটা কেমন যেন। বুঝলাম কুমিল্লা, আর বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিছু অংশ সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু কুমিল্লা লিখে বন্ধনীতে ত্রিপুরা, আবার ত্রিপুরা রাজ্য লিখে বন্ধনীতে ভারত লেখার মর্মার্থ বুঝলাম না। কথাটাকি এভাবে বলা যেত না: ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত কুমিল্লা, এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিছু অংশ...। কথাটার মধ্যেই কেমন জানি একটা খাদ আছে। যাহোক এটা হয়তো কিছু না। আমি রাগিব ভাইকে বিষয়টা দেখার অনুরোধ করছি। যেহেতু তিনি চট্টগ্রাম ও তার আশেপাশের বিষয়ে জানেন।
- আর কুমিল্লার নাম পরবর্তিতে দেয়া হয়েছে- এ থেকে আসলে প্রমাণ হয় না কুমিল্লা সিলেট নামক একটা অঞ্চলের অন্তর্গত ছিল। যা ছিল বলে আমরা সবাই জানি, তা হলো কুমিল্লা ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিল। সিলেটও হয়তো ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ ছিল। আমাদের দেখার বিষয় দুটো অঞ্চলই ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হলেও কোন অঞ্চলের কী নাম ছিল। ঢাকা, রাজশাহী দুটোই বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু একটা ঢাকা, অন্যটা রাজশাহী। আশা করি ব্যাপারটা বোঝাতে পেরেছি।
—মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ২২:০১, ১৭ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- ""রাগিব ভাই-এর উদ্দেশ্যে বলছি ;"" আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত"" যে, আপনার লিখা টুকু না পড়েই আমি আমার পহ্মথেকে অনেক কিছু লিখে দিয়েছি । আসলে ব্যপারটা এরকম হয়েছে যে, আমি যখন আলাপ পাতায় লিখতেছি এমনি এক সময় আপনার লিখাটি এই পাতায় সংরহ্মন হয়ে যায় । যার ফলে আমি আর দেখতে বা পড়তে পারিনি । এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে ""ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন"" ।
- ""মঈনুল ইসলাম ভাই যা জানতে ছেয়েছেনঃ"" সিলেট গীতিকাঃ সমাজ ও সংস্কৃতি, ডঃ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, প্রস্তাবনা ২, পৃষ্ঠা ১৫-১৬; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ঢাকা, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০০৫।
আবার লিখছি ' প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ঢাকা'
অবশেষে রাগিব ভাইর মতে আমিও একমত যে, এই নিবন্ধের ইতিহাসটাকে আরো পাকাপোক্ত করা । এই ব্যপারে আমি আগ্রহী লিখদের আমন্ত্রন জানাচ্ছি এবং এ ও বলছি যে, আমার পহ্মথেকে ""রেফরেন্স গুলো আরও বিস্তার করব" (ইনশাআল্লাহ) হয়তো এতে কিছু সময় লাগতে পারে । অবশেষে সবাইকে ধনবাদ । Mdyusufmiah (আলাপ) ০২:০২, ১৮ মে ২০১১ (ইউটিসি)Mdyusufmiah (আলাপ) ০২:০৬, ১৮ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
বর্ধিত অংশ
|
- কুমিল্লা সিলেটের অন্তর্ভূক্তির আরেকটি তথ্য > সিলেট বিভাগের প্রাচীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কে বৈদিক গ্রন্থাদি, লোকগাঁথা, প্রাচীন রেকর্ড পত্র ছাড়াও এ অঞ্চলে প্রাপ্ত তাম্রলিপি ইহার বিশেষ নিদর্শন হিসেবে ঐতিহাসিকদের কাছে ধর্তব্য । ইংরেজদের শাসনের শেষ আমল থেকে ধরে এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক গুলো তাম্রলিপি প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে বলে ঐতিহাসিক বর্ণনায় এসেছে । ১৯৬১ সালে মৌলভীবাজার জেলার নিধনপুর উপজেলা হতে একটি তাম্র ফলক উদ্ধার হলে; নৃতাত্বিক গবেষক কমলাকান্ত গুপ্ত ইহা পাঠ করেন । কিংবদন্তী ইতিহাস ব্রেতা মোহাম্মদ মুমিনুল হক তাঁর স্বরচিত গ্রন্থ "সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্তে" গবেষক কমলাকান্ত গুপ্তের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন; গবেষক কমলাকান্ত গুপ্ত বলেন, তাম্র ফলকে উৎকির্ণ লিপিতে বিক্রমপুরের চন্দ্রবংশীয় মহারাজা শ্রী চন্দ্রের রাজত্বকালে পৌণ্ড্রবর্ধন প্রদেশের অন্তর্গত শ্রীহট্ট মণ্ডল নামে একটি মণ্ডলের উল্লেখ পাওয়া যায় । উক্ত শ্রীহট্ট মণ্ডল বর্তমান সিলেট বিভাগের চেয়ে আয়তনে অনেক বড় ছিল । প্রাচীন কালে একটি মণ্ডল কয়েটি খণ্ডলে বিভক্ত হতো এবং ""কুমিল্লা,"" ত্রিপুরা ও ময়মনসিংহের কিছু অংশ শ্রীহট্ট মণ্ডলের অন্তর্ভূক্ত ছিল ।
- উল্লেখিত যে, মণ্ডল অনেক ক্ষেত্রে খণ্ডলে বিভক্ত না হয়ে "বিষয়ে" বিভক্ত হতো । সিলেটের পশ্চিম ভাগ তাম্র শাসন শ্রীহট্ট মণ্ডলের অধীনে বিষয়ের উল্লেখ আছে যেমন; চন্দ্রপুর, গরলা, পোগার । বিষয় কতগুলো চতুরে বিভক্ত হত । পরগণা সৃষ্টির পূর্বে; ইটা, সাতগাও, চোয়াল্লিশ, তরফ, দুলালী, পঞ্চখণ্ড, সরাইল নামে ৭০/৭৫ বর্গমাইল নিয়ে চতুরকের অবস্থিতি ছিল ।
- মুমিনুল হক উক্ত গ্রন্থে আইন-ই- আকবরীর উদ্ধৃতি দিয়ে আরও লিখেছেন; সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালে সিলেটে অন্তর্ভূক্ত কুমিল্লার ""সতর খণ্ডল"" মহলের উল্লেখ আছে । উক্ত সতর খণ্ডল বর্তমানে "সরাইল" নামে পরিচিত ।
- মোগলদের শাসনামলে সুবে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) কে ১৯ টি সরকারে (জিলায়) ভাগ করা হয় । সিলেট তখনও একটি সরকার (জিলা) ছিল। আই-ই-আকবরী গ্রন্থ উল্লেখিত আছে, ষোড়শ শতাব্দীতে শ্রীহট্টের সরকার (জিলা) প্রশাসনকে আটটি মহালে ভাগ করেন । উক্ত আটটি মাহলের মধ্যে একটি মহাল ""সরাইল"" বা সতর খণ্ডল, যাহা কুমিল্লার অন্তর্ভূক্ত ছিল ।
- সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে শ্রীহট্টের জয়ন্তীয়া মহাল ছাড়া বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরাইল ও ময়মনসিংহের জোয়ানশাহী পরগণা গুলোও শ্রীহট্টের অধীন ছিল । >সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্তে, "প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সিলেট বিভাগ", মোহাম্মদ মুমিনুল হক<
- এছাড়া অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি লিখিত; শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, দ্বিতীয় ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড, তৃতীয় অধ্যায়, "নবাবি আমল অনুচ্ছেদে "আইন-ই-আকবরী" ও "Hanter's Statistical Accoun of assam VOLL.ll . (sylhet) p.92 উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখিত বিষয়ে প্রায় একই ভাবে লিখ রয়েছে । তবে মণ্ডল বা খণ্ডল শব্দগুলো "শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত" গ্রন্থে উল্লেখ হয়নি । Mdyusufmiah (আলাপ) ১৯:৪০, ২৪ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- ঘটনা ঘুরেফিরে কিন্তু এক জায়গায় পাক খাচ্ছে। আমরা জনাব মুমিনুল হক-এর সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত বইটি ছাড়া আর কোনো গ্রন্থের উদ্ধৃতি পাচ্ছি না। আইন-ই-আকবরীর যে উদ্ধৃতি আসছে, সেটাও ঐ একই বই থেকে। একটা বইয়ের তথ্যসূত্র দিয়ে আমরা সরাসরি কথাটার প্রমাণ হয়েছে বলতে পারি না। খুব ভালো হয়, যদি আইন-ই-আকবরী হাতে নিয়ে তা থেকে সরাসরি উদ্ধৃত করা যায়। অচ্যুতচরণ চৌধুরীর বইয়ের যে কথাটি সব শেষে বলা হয়েছে, সেটাও কিন্তু উদ্ধৃত করা হয়নি মূল কখাটি কী। একই রকম কথা, আর একই কথা'র মধ্যে যে পার্থক্য আছে, তাতে মূল সত্যটা হারিয়ে যেতে পারে। যদি সম্ভব হয়, তাহলে অচ্যুতচরণ তত্ত্বনিধি'র বক্তব্যটুকু উদ্ধৃত করার অনুরোধ করছি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, এই আলোচনার মানে এই নয় যে, আমরা আপনাকে অবিশ্বাস করছি। বরং এটা যে, আমরা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সত্যটা উপস্থাপন করছি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ প্রশ্ন তুললে আমরা প্রমাণগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবো। আর এখন যদি দায়সারাভাবে তথ্যটা রেখে দিই, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো না কোনো সময় ঠিকই প্রশ্নটা উঠবেই। সময় থাকতেই তার মীমাংসা সুন্দর। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ২০:৩৮, ২৪ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আমি বুঝতে পারলামনা এখানে নতুন কী বলা হচ্ছে। কুমিল্লা (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া?) এর কিছু অংশ এক কালে প্রশাসনিকভাবে সিলেট নামের এলাকার অংশ হবার মানে কি কুমিল্লা সিলেটের অংশ বলে "প্রমাণিত" হয়ে যাওয়া? এটা কুযুক্তি।
আর আরেকটা কথা না বলে পারছিনা। কুমিল্লা সিলেটের অংশ ছিলো এরকম দুর্বলভাবে লেখা এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রবিহীন একটা দাবি নিয়ে আপনি কিছুটা অবসেস্ড হয়ে পড়েছেন। এতে করে নিবন্ধের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবহেলিত হচ্ছে। কাজেই যথাযথ তথ্য একাধিক নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক দ্বারা স্বীকৃত ব থেকে দিন, নতুবা এটার পেছনে অহেতুক সময় ব্যয় করা বাদ দিন। নিবন্ধটাকে ভালো অবস্থায় নিতে আপনি যেমন চান, আমিও চাই, কিন্তু কুমিল্লাকে সিলেটের অংশ বানিয়ে সেই কাজটার কিছুই হচ্ছে না। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৪:৫৮, ২৫ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- আইন-ই- আকবরী থেকে যা পাওয়া গিয়াছে
- Sarkár of Sylhet.
8 maḥals. Rev. 6,681,308.
Castes, various. Cavalry, 1,100. Elephants, 190. Infantry, 42,920.
Partábgaṛh, called also, Panjkhanḍ,
Banián* Chang,
Bajwa Biyáju,
Jesa (Jaintiya ?)
Subarban district of Sylhet,
Sarkhanḍal, বিতর্ক বিষয়ের মহাল বা পরগণা, সতর খণ্ডল,
Ládú,
Harnagar, raiyati and sáir,।
আমি দুঃখিত যে, বিতর্কিত বিষয়ে যে স্থানে "কুমিল্লা" লিখা সেখানে একটু পরিবর্তন আনা বিষয়ে >সতর খণ্ড (কুমিল্লা)<না লিখে, (ব্রাহ্মনবাড়ীয়া) এভাবে লিখাটা ভাল । Mdyusufmiah (আলাপ) ১৪:৫৭, ২৫ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
নিবন্ধ সংশোধন করে সংরক্ষ করলে লগ ইন ছাড়া পরিবর্তন গুলো দেখা যায় না । এর ভাটাতে কোন সমস্যা আছে কি না বুঝে উঠতে পারি না ।
Mdyusufmiah (আলাপ) ০৪:১৯, ২৪ মে ২০১১ (ইউটিসি) Mdyusufmiah (আলাপ) ০৪:২৬, ২৪ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- কথাটি পরিষ্কার বুঝলাম না। আপনি লগ-ইন করেই সব সময় কাজ করতে পারেন, যদি আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে আপনি উইকিপিডিয়ায় প্রবেশ করে থাকেন। এজন্য লগ-ইন করার সময় "আমায় মনে রাখো" টাইপের একটা লেখা দেখবেন, ওই চেকবক্সে ক্লিক করে লগ-ইন করলে বারবার আপনাকে লগ-ইন করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। ধন্যবাদ। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:১৯, ২৪ মে ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
বর্ধিত অংশ
|
সিলেট বিভাগ নিবন্ধটি লিখতে গিয়ে বার বার রাগিব ভাইর অসংখ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুল লিখাটাকে এগিয়ে নিতে সময়ের ঘাটতি পুহাতে হল অনেক ! এর পরেও রাগিব ভাইর মনশ্চাঞ্চল্যতা রয়েই গেল । *প্রথমাবস্থায় যখন এই নিবন্ধটি লিখতে শুরু করি তিনি (রাগিব ভাই) প্রশাসনিক কাঁচি দিয়ে ওঠাকে বার বার কেঁটে যান । আর আমি বার বার নতুন করে সাজিয়ে যাই । যার সামান্য উধাহরণ নিম্ন তারিখে রাগিব ভাই কর্তৃক কাঁটা সম্পাদনা গুলোঃ-
- ০২
- ৩০, ৭ মে ২০১১ (→সিলেট বিভাগের ইতিহাস: no copy paste please)
- ০২
- ৩০, ৭ মে ২০১১ । নিবন্ধ ক্লিনাপ দরকার।)
- ০১
- ৪৪, ৭ মে ২০১১ (→'প্রাচিন লাউড় রাজ্য')
- ০০
- ২৭, ৭ মে ২০১১ (→'প্রাচিন লাউড় রাজ্য')
- ১৫
- ১৪, ৬ মে ২০১১ (→'প্রাচিন লাউড় রাজ্য')
- ১৪
- ০৭, ৬ মে ২০১১ (আলোচনা | অবদান)
- ১৪
- ০০, ৬ মে ২০১১ (আলোচনা | অবদান)
- ১১
- ৫১, ৬ মে ২০১১ (আলোচনা | অবদান) (→'প্রাচিন লাউড় রাজ্য')
- ০১
- ২৫, ৬ মে ২০১১ (আলোচনা | অবদান) ০০:১৬, ৬ মে ২০১১ (→কামরুপ হতে বিভক্ত প্রাচিন রাজ্য সমুহ)
- পরে আমি যখন উনার আলাপ পাতায় "প্রশাসক হলে কি বিবেচনা ছাড়াই যে কোন নিবন্ধ কেটে ফেলা যায় । তাই যদি হয় তা হলে আপনাকে ধন্যবান" । এই লিখে রাখি । এর পর প্রশাসকি কাঁচিতো সরিয়ে নিয়েছেন ঠিক । কিন্তু নতুন অবতারনায় প্রশ্ন রাখলেন সিলেটের ঐতিহাসিকগণ (যারা সিলেটের ইতিহাস লিখেন) তারা কি প্রতিষ্টিত ? এই বলে অবেহেলিত করলেন সিলেটবাসী শ্রদ্ধয় ঐতিহাসিকদের ।
- আলাপ পাতায় ভূমিকা রাখেন মঈনুল ইসলাম ভাই । দেয়া হল উনার (রাগিব ভাইর) অহেতুক অসংখ প্রশ্নের জবাব ।
- এক পর্যায়ে মঈনুল ইসলাম ভাই রাগিব ভাইর উদ্দেশ্য :চিত্র:Ochethon 12.gif
এই দিলেন ।
তবেও কি উনার (রাগিব ভাইর) প্রশ্নের অবসান হল ? না ।
- এর পর কুমিল্লার অনেকাংশ সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিল । এর উপর অনেক লিখা-লিখি এই আলাপ পাতায় রয়েছে । কিন্তু রাগিব ভাইর ইর্ষা আর গেলনা । ফলে আমি বাধ্য হলাম পরিবর্তন আনতে ।
- গেল কিছু দিন ।
- ১৯:৩২, ৬ জুন ২০১১ এই তারিখের পরিবর্তনে দেখলাম রাগিব ভাই একজায়গায় ইতিহাসবিদরা লিখেছেন এখানে [কে? প্রশ্নটি যোগ করেছেন ।
- আবার একটু পরে
মিশে যায়।
উল্লেখিত
- এই ভাবে একটি লাইন অন্য লাইন থেকে পৃতক করে আবার প্রশ্ন এনেছেন [কে? । অতচ এই একই লাইনের মধ্যখানে "প্রাচীন জনপদ ([১৩],[২২][৭]} এভাবে তিনটি তথ্য সুত্র দেয়া রয়েছে ।
- রাগিব ভাইর এই সব আচরণ অবশ্যই কাম্য নয় । তিনি সিলেট সম্পর্কে না জেনে মনের খুবে যা করছেন - - - - -- । তার পেক্ষিতে জাতীয় সংসদের একটি কাহীনি না বলে আর লোভ সামাল দিতে পারছি না ।
বিগত বি এন পি সরকার আমলে কোন এক সংসদ অধিবেশনে শ্রদ্ধয় মরহুম অর্থ মন্ত্রী সাইফুর রহমান সিলেট উন্নয় নিয়ে কিছু প্রস্তাব এনে ছিলেন । যার পেক্ষিতে একজন নন সিলেটি এম পি সাহেব বলেছিলেন সিলেট নিয়ে এত টানা-পুড়া, সিলেট এমন কি ? ঐ এম পি সাহেবের জবাবে মরহুম শ্রদ্ধয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন সিলেট নিয়ে টানা-পুড়ার এখানে কিছুই নয় । তবে সিলেট বাংলাদেশের অংশ, সিলেটে বাঙালিরাই বাস করে । আর সিলেটের এই বাঙালিরাই বিদেশ থেকে প্রতি বছর রেমিটেন্স পাঠিয়ে এই দেশের সরকারকে উৎসাহ দিতেছে । বাকি রইল সিলেটের উন্নয়ন, এতে যদি সিলেটিরা চায়, তাহলে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে সিলেটিদের যত টাকা রয়েছে সিলেটিরা চাইলে ঐ টাকা উঠিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের চেয়ে ও চারগুন বেশী উন্নয় সিলেটে করতে পারবে । এছাড়া সিলেটিদের বাংলাদেশ ও বাঙালির প্রতি অবদান ভুলে গিয়ে সিলেটকে অবহেলা করাটা এম পি বা নাগরিক কাউরও অনুচিত ।
- কিংবদন্তী লিখক শ্রদ্ধয় আব্দুল গফফার চৌধুরির সিলেট সম্পর্কে অভিমত দিয়ে আজকের মত শেষ করছি; শ্রীহট্ট প্রাচীন কাল থেকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে সমৃদ্ধ। সিলেটের প্রাচীনত্ব সুবিদিত। এর সঠিক ইতিহাস উদ্ধার করা গেলে প্রাচীন রোম ও গ্রীক সভ্যতার সমতুল্য সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যাবে ।
- আমি আশা করি রাগিব ভাইর ভুল সন্দেহ দুরিভুত হবে ১৮:৩২, ৭ জুন ২০১১ (ইউটিসি)।
- জনাব ইউসুফ মিয়া। দয়া করে ব্য্ক্তিগত আক্রমণ না করলে বাধিত হবো। উইকিপিডিয়ার কোনো নিবন্ধে নিম্নমানের এবং পক্ষপাতদূষ্ট তথ্য যোগ করলে সে যেই নিবন্ধই হোক না কেনো আমি সেই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলবার অধিকার রাখি। এই কাজ বাংলা উইকির শুরু থেকেই করে আসছি এবং উইকিপিডিয়ার মূলনীতিই এটি - প্রশ্ন তোলা, রেফারেন্স চাওয়া। আপনিই এখানে আঞ্চলিকতা নিয়ে আসছেন বারে বারে।
- এখন পর্যন্ত ভদ্রতা করে অনেকগুলো কথা বলিনি। যেহেতু আপনি আমার সম্পাদনা নিয়ে অযাচিত রকমের প্রশ্ন তুলছেন, সেজন্য ভদ্রতা বাদ দিয়ে সরাসরিই বলতে বাধ্য হচ্ছি। আপনি উইকিপিডিয়ার নিয়মকানুনগুলো আদৌ খেয়াল করছেন না, বা করতে চাচ্ছেন না। তদুপরি জ্ঞানের রেফারেন্সযুক্ত ভাণ্ডার গড়ার বদলে সিলেটের গৌরবময় ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্থানীয় লেখকদের লেখা নানা দাবী নিয়ে হাজির হচ্ছেন। কুমিল্লা বিষয়ে আপনাকে বেশ কয়েকবার সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কুমিল্লা ও সিলেট, দুইটিই একই রাজ্যের অংশ থাকার মানে এই নয় যে কুমিল্লা সিলেটের অংশ ছিলো। কিন্তু আপনি শালিশ মানেন, কিন্তু তালগাছ আর ছাড়তে চান না। তার উপরে কয়েকমাস ধরে যেরকম ভুলভাল বানান ও ব্য্করণে ভরা লেখা যোগ করে চলেছেন, সেই মানের লেখা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রদেরও লেখার কথা না। (আমি খুবই দুঃখিত এই রূঢ় কথাটি বলতে বাধ্য হলাম, কিন্তু কেউ এতোদিন ধরে বলেনি বলেই আপনি নিবন্ধের বানানের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর করে চলেছেন। কারো বাক্যে একটা দুইটা ভুল বানান থাকলে সেটা ঠিক করা যায়, কিন্তু কারো প্রতি বাক্যে ৫/১০টি ভুল বানান বা ভুল ব্যকরণ থাকলে সেটা ঠিক করার দায় অন্যদের ঘাড়ে বর্তায় না। )।
- আমি সিলেটের প্রতি ক্ষোভ ("খুব" নয়) পোষণ করছি, এই ধারণা আপনার মাথায় থাকলে আমার কিছু করার নেই। আমি কোন অঞ্চলের বলে আপনি মনে করেন? আমার দেশ একটিই, সেটা বাংলাদেশ। কাজেই সিলেটের প্রতি ক্ষোভ কথাটি শুনে হাসি ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছে না।
- সময়াভাবে আপনার সাম্প্রতিক যোগ করা অংশগুলোর সমস্যার কথা আলাপ করতে পারিনি। তার মানে এই নয় যে আপনি কুমিল্লা বিষয়ে আপনার অবসেশনকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। কয়েক্দিন পরে সময় পেলে এই বিষয়ে লিখবো।
- তবে "কে" ট্যাগ যোগ করায় সমস্যাটা কোথায়? উইকির এই ট্যাগের উদ্দেশ্যই হলো ধোঁয়াটে কথাকে পরিষ্কার করার অনুরোধ। "ইতিহাসবিদেরা বলেছেন" এর মানে কি আদৌ স্পষ্ট? কোন ইতিহাসবিদ বলেছেন? সবাই? তা তো না? কে ট্যাগ দেয়ার উদ্দেশ্য হলো আপনাকে অনুরোধ করা, যাতে স্পষ্ট করে লেখেন কোন কোন ইতিহাসবিদ লিখেছেন। নতুবা বাক্য্টি নিরপেক্ষ হয় না।
- সিলেটের ইতিহাসবিদ যেই কয়েকজনের কথা উল্লেখ করেছেন, তারা কেউই প্রখ্যাত ও একাডেমিকভাবে স্বীকৃত ইতিহাসবিদ নন। আপনি যেরকম বইকে ইতিহাস বলে দাবী করছেন, সব এলাকার সম্পর্কেই ওরকম বই দেখানো সম্ভব। ইতিহাস কিন্তু গল্প নয়। ভালো ইতিহাস সেটাই, যেটাতে নানা সূত্র থেকে ক্রস রেফারেন্স টেনে সব লোককথার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আলাপ করা হয়। স্যার যদুনাথ সরকারের লেখার সাথে আপনার এই ইতিহাসবিদদের লেখার পার্থক্যটা দেখুন। যেকোনো এলাকার স্থানীয় লোকদের একটা প্রবণতা থাকে, ঐ এলাকার সম্পর্কে নানা লোককথাকে প্রামাণ্য ইতিহাস হিসাবে মনে করা। আপনার উল্লেখ করা বেশ কিছু বইয়ের দাবীগুলো শুনে তাইই মনে হচ্ছে। আর সিলেট এমন কোনো দুর্গম দুর্লভ স্থান না যে, প্রতিষ্ঠিত ইতিহাসবিদদের লেখা ইতিহাসে সেটার নামও থাকবে না। খেয়াল করুন, আর সি মজুমদারের ইতিহাস নিয়ে কিন্তু আমি প্রশ্ন তুলিনি। কিন্তু বাকি কিছু শখের ইতিহাসবিদদের লেখা বইকে প্রামাণ্য ইতিহাস বলতে আমি আগে এবং এখন নারাজ।
- সবশেষে বলি, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রখ্যাত লেখক ও কলামিস্ট বটে। কিন্তু উনি ইতিহাসবিদ নন। তিনি কোনো কথা বললে সেটা ইতিহাসের সত্য হয়ে যায় না। কিছুটা স্থুল হলেও বলি, আদার ব্যাপারি জাহাজের ব্যাপারে তত্ত্ব দিলে সেটা জাহাজের প্রমাণিত তথ্য হয়ে যায় না। আপনি বাংলার অধ্যাপক, কিংবা সাংবাদিক/লেখকদের ইতিহাসবিদ বলে ধরে নিয়েছেন। সেটা একটা মৌলিক ভুল।
- সিলেটি-অসিলেটি এইরকম মানসিকতার উর্ধ্বে উঠুন। আপনার প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ এটাই। আপনি নিবেদিতপ্রাণভাবে এই নিবন্ধে কাজ করার সময় ও ধৈর্য দুটিরই অধিকারী, রেফারেন্স ও সূত্রের ব্যাপারে একটু সতর্ক ও সচেতন হলে, এবং দুর্বলসূত্রের তথ্যের ব্যাপারে অবসেশন কমাতে পারলে এই নিবন্ধের অনেক উন্নতি করা সম্ভব। ব্য্ক্তিগতভাবে এটাই আমার কাম্য। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৬:৪৮, ৮ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
বর্ধিত অংশ
|
এই নিবন্ধের "ইতিহাস" অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আমার মত হলো: এখনও এটা এমন বড় কিছু হয়নি যে, আলাদা করা খুব দরকার। তবে, আলাদা যদি করতেই হয়, তবে কালের ভিত্তিতে আলাদা করা যেতে পারে। ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে প্রথমে আর্য কিংবা আর্যপূর্ববর্তি ও আর্য পরবর্তি যুগ, তারপর বৌদ্ধযুগ, তারপর হিন্দুযুগ এবং তারপর ব্রিটিশ শাসন, তারপর পাকিস্তানী শাসন ও পরে বাংলাদেশের স্বাধীন ভুখণ্ড হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনে এঅঞ্চল ও পরে স্বতন্ত্র সিলেট বিভাগ। এই ধারাবাহিকতা অনুসারে অনুচ্ছেদকে আলাদা করতেই হবে বলছি না, বরং সাজানোর ক্ষেত্রেও এভাবে ধারাবাহিকভাবে সাজালে ভালো। ধন্যবাদ। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৭:৪৫, ১৫ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ইতিহাস অনুচ্ছেদটা সিলেটের ইতিহাসের বদলে কামরূপের ইতিহাসে পরিণত হয়েছ। সিলেট কামরূপের একটি অংশ ছিলো মাত্র। কাজেই কামরূপের সামগ্রিক ইতিহাস এখানে তুলে ধরলে সেটা বিভ্রান্তিকর হবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৫:০১, ১৬ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- এই মন্তব্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:০৪, ১৯ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
মাঝে মাঝে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা উচিত হলেও আমার এই নিবন্ধে কী কারণে জানি আসা হয় না। আজকে ইতিহাস অংশে সামান্য পরিমার্জনা করতে গিয়ে একটা অনুভূতি হলো, সেটা জানানো জরুরি মনে করলাম:
- আমার কাছে মনে হলো কোনো সিদ্ধান্তে আসার জন্য যে প্রাক-আলোচনার প্রয়োজন হয়, সেই আলোচনাটিও এই নিবন্ধেই সেরে নেয়া হচ্ছে। একাধিক ঐতিহাসিকের বিভিন্ন রকম বক্তব্য উল্লেখ করে তারপর সেগুলোকে একত্র করে একটা সিদ্ধান্ত দেয়া হচ্ছে, যার সবই করা হচ্ছে নিবন্ধের ভিতরেই। মনে রাখতে হবে, এটা একটা বিশ্বকোষ, কোনো ইতিহাস গ্রন্থ নয়। তাই এখানে বিশাল ইতিহাস যথাসম্ভব precise করে লিখতে হবে, মূলকথাগুলো একত্র করতে হবে। সেজন্য অনেক পরস্পরবিরোধী কিংবা পরস্পর সংযুক্ত আলোচনাকে একত্র করে অনেক সময় মাত্র এক বাক্যে গুছিয়ে ফেলতে হবে। একটা উদাহরণ দিই: "মা বলেছেন: রহিম আজকে ভাত খেয়েছে"। "মাসি বলেছেন: রহিমকে দেখলাম দুপুরের খাবারের পরে কোথায় যেন গেল"। "পিসি বলেছেন: রহিম কাজের সন্ধানে বেরিয়ে গেছে"। -এখানে রহিম সম্পর্কে তিনটা আলাদা আলাদা স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়, যা রহিমের আলোচনায় অত্যন্তু যৌক্তিক। কিন্তু এই তিনটা বক্তব্যই যখন একটা বিশ্বকোষে স্থান দেয়া হবে, তখন এই তিনটা স্টেটমেন্টের একটাকেও নিবন্ধে যোগ করা হবে না বরং তিনটা স্টেটমেন্টকে একত্র করে একটা সাধারণ স্টেটমেন্টে রূপ দিতে হবে। তখন বক্তব্যটা হবে এরকম: "রহিম দুপুরে ভাত খাওয়া হলে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে যান"। এই উদাহরণটা যদি বোঝাতে পারি, তাহলে পরিষ্কার যে, নিবন্ধে একজন ঐতিহাসিক ওমুক বলেছেন, আরেকজন ঐতিহাসিক তমুক বলেছেন বলে যে ইতিহাস রচনার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। বরং যিনি নিবন্ধটি লিখছেন, তিনি নিজে সবগুলো স্টেটমেন্ট পড়ে নিয়ে সেখান থেকে একটা সারমর্ম তুলে দিবেন, যেখানে এক বা একাধিক তথ্য-উৎসের উল্লেখ করে দিবেন। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
- নিবন্ধে বিভিন্ন জায়গায় প্রথম বন্ধনীর ভিতরে See also লিখে যেভাবে তথ্য-উৎসের বরাত দেয়া হচ্ছে, তা উইকিপিডিয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নয়। আপনি যে তথ্যই প্রকাশ করছেন, তার তথ্যসূত্র সরাসরি Ref ট্যাগ দিয়ে উল্লেখ করুন। যদি মনে হয়, এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পড়ার পরও আরো অনেক তথ্য পাঠকের অজানা থেকে যাবে, তাহলে সেরকম তথ্যসমৃদ্ধ কোনো বইয়ের নাম বিস্তারিত আপনি নিবন্ধের শেষাংশে "Further Reading" (বাংলাটা কী হবে মনে পড়ছে না) উপশিরোনামে উল্লেখ করে দিতে পারেন। বাংলাটা মনে হয় হবে "অতিরিক্ত পঠন" বা "বাড়তি পঠন"। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:২১, ১৯ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- পুরো নিবন্ধের সিংহভাগ জুড়ে শুধু ইতিহাসই দেখতে পাচ্ছি। এর মূল কারণ হলো আপনার হাতে অনেকগুলো ইতিহাস বই রয়েছে, আপনি সেগুলোর দ্বারস্ত হচ্ছেন বারবার। ভূপ্রকৃতি আলোচনায় শ্রেফ এতটুকুর জন্য ইতিহাস দরকার যে, সিলেটের ভূপ্রকৃতি একসময় ওরকম ছিল, ব্যস। তারপরই বর্তমানে সিলেটের ভূপ্রকৃতি কেমন, তার ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ আসবে, আর সেখানে যদি কখনও অতীতের ভূপ্রকৃতির সাথে তুলনার দরকার পড়ে, তাহলে সেখানে সামান্য একটু অতীতের রেফারেন্স টানতে হবে, ব্যস। এতো ইতিহাসের কোনোই দরকার নেই।
- আপনি যদি একবার Sylhet Division নিবন্ধটি দেখেন, তাহলেই বুঝবেন, ইতিহাস কতটা সংক্ষিপ্ত করে লেখা যায়, আর বর্তমান সেখানে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য একটু ইতিহাস উল্লেখ করেই এই নিবন্ধে আরো যা যা যুক্ত হতে পারে (এখনও সেগুলোর কিছুই হয়নি) তা হলো: অর্থনীতি, সংস্কৃতি, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যটন আকর্ষণ, প্রশাসনিক এলাকাসমূহ, কৃতী ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ, উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ইত্যাদি বহুকিছু। কিন্তু যেভাবে বৃহৎ কলেবরে ইতিহাস আলোচনা হচ্ছে, তাতে বর্তমান স্থান করে নেবার সুযোগ পাবে বলে বুঝতে পারছি না। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:৩৯, ১৯ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এই নিবন্ধে হাত দিতে গেলে মনে হয় দেয়ালে মাথা ঠুকছি। কারণ নিবন্ধের অবস্থা সম্পর্কে কোনো গঠনমূলক মন্তব্য করা মানা!! মন্তব্য করলেই "সিলেটি-বিদ্বেষী" খেতাব পেতে হয়। কাজেই মানে মানে চুপ করে ছিলাম। কিন্তু নিবন্ধের অবস্থা ভয়াবহ থেকে ভয়াবহতর হতে থাকায় আর চুপ থাকতে পারছি না।
- নিবন্ধটি কি সিলেট বিভাগের উপরে নাকি পুরোটাই সিলেটের ইতিহাসের উপরে? পুরা নিবন্ধ জুড়ে সিলেটের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে লোককথা, ধর্মীয় পুরাণ ইত্যাদির আলোচনা জমানো হয়েছে। এরকম নানা জায়গার লেখা ডাম্প করার ফলে এটা জগাখিচুড়ি হয়েছে, নিবন্ধ হয়নি। ইতিহাসের অংশ সিলেটের ইতিহাস নিবন্ধে নিয়ে গিয়ে পুরো ইতিহাসের সারাংশ এখানে রাখতে হবে। একজন পাঠকের পক্ষে এই নিবন্ধে তাল রাখা দায়। এক লাইনে জনাব অচ্যুৎচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধির লেখা থেকে সরাসরি উদ্বৃতি দেয়া হচ্ছে, পরক্ষণেই আরেকজনের লেখা থেকে উদ্বৃতি, আবার তার পরেই বিদেশী কোনো ট্রাভেল গাইডের লেখা অনুবাদ করে জুড়ে দেয়া হচ্ছে। আগা মাথা কিছুই বোঝা যায় না। ইতিহাস অনুচ্ছেদের কথাই দেখা যাক। প্রথম ৪ প্যারাগ্রাফ জুড়ে ইনিয়ে বিনিয়ে যা লেখা হয়েছে, তা দুই বাক্যে প্রকাশ করা যায় - সিলেট বিভাগের অধীন এলাকায় প্রাচীন কালে আদি অস্ট্রালেরা বাস করতো। নানা সময়ে মঙ্গোলীয় ও আর্যরা এখানে আসে ইত্যাদি ইত্যাদি। ইতিহাস অনুচ্ছেদের পরবর্তী প্যারাগ্রাফ ও উপঅনুচ্ছেদে রামায়ণ ও মহাভারতকে রেফারেন্স টানা হয়েছে। ইতিহাস ও ধর্মীয় পুরাণকে আলাদা রাখতে হবে।
- নিবন্ধের অধিকাংশ জায়গাতে তথ্যের বদলে দেয়া হয়েছে উদ্ধৃতি। বিশ্ব্কোষে উদ্ধৃতির চাইতে তথ্যই থাকা বেশি দরকার।
- ইতিহাস অংশের বাকিটুকু পড়ার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু নানা রাজ্যের বিশাল উদ্ধৃতিময় আলোচনায় আগামাথা সবই হারিয়ে ফেললাম। এই একবার কামরূপের ইতিহাসে চলে যাওয়া হচ্ছে, আবার কখনো ভাগলপুর, তা থেকে রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি ইত্যাদি। কেউ এই সব কিছু পড়ে মর্মোদ্ধার করতে পারলে জানাবেন। অসিলেটিদের কাছে এই নিবন্ধটিকে পাঠযোগ্য করার ব্যাপারে তা কাজ দেবে।
- এটা ট্রাভেল গাইড না, কাজেই "সৌন্দর্যের লীলাভূমি", "প্রকৃতি কণ্যা" "অপরূপ" ইত্যাদি কাব্যিক ভাষা বাদ দিতে হবে। তাছাড়া চরম POV লেখার উদাহরণ দেই, "বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ট্র পর্যটন 'সিলটের জাফলং'।" এহেন লেখা বিশ্বকোষের যোগ্য না।
- নিবন্ধে অজস্র বানান ভুল, সাধু-চলিতের মিশ্রণ অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ঠেকছে। ২/৩ মাস ধরে খুব বাজে রকমের ভুল বানান এই নিবন্ধে রয়ে গেছে, যা ঠিক করার ব্যাপারে কারো মাথা ব্যথা নেই। জনাব ইউসুফ মিয়া সব বানানের ব্যাপারে সম্যক ধারণা না রাখলে মঈনুল ইসলামকে এই ব্যাপারে যত্নবান হতে অনুরোধ করছি। এটাকে "সিলেট" হিসাবে কেবল না দেখে উইকির একটি নিবন্ধ হিসাবে দেখুন, আবেগের উর্ধ্বে উঠে নিবন্ধকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করুন।
--রাগিব (আলাপ | অবদান) ২১:৪৬, ২৫ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
বর্ধিত অংশ
|
ভূপ্রকৃতি অংশে ইতিহাসবিদদের উদ্ধৃতি দেয়ার কারণ বুঝলাম না। এখানে সিলেটের Geography নিয়ে আলোচনা করা দরকার, সেইখানে জনাব অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধির লেখার চাইতে ভুতত্ত্ববিদ কারো লেখা থেকে রেফারেন্স দেয়াই প্রাসঙ্গিক হবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:০৩, ১৯ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- রাগিব ভাইয়ের সাথে একমত। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৪:১৭, ১৯ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
সুন্দর মন্তব্য রাখার জন্য আপনারা দু-জনকেই ধন্যবাদ, 'রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছ দেখে নিন'।
- ভূপ্রকৃতি অংশটি দেখে মনে হচ্ছে নদী বিষয়ক নিবন্ধ। এই অংশটি থেকে সব লেখা মুছে ফেলে শুধুমাত্র ভূপ্রাকৃতিক বর্ণনার স্থান দেয়া উচিত অত্যন্ত সংক্ষেপে। এখানে ঐতিহাসিক গ্রন্থের বরাত দেয়া যাবে না। লেখার ধরণটা হবে এরকম: সিলেটের ভূপ্রকৃতি পাহাড়ী, এরকম, ওরকম, সেরকম।[ভূতাত্ত্বিকের রেফারেন্স] তবে অতীতে এটা এরকম ছিল না, এটা ছিল ওরকম, কিংবা সেরকম।[ঐতিহাসিক/ভূতাত্ত্বিকের রেফারেন্স] নদী বিষয়ে বিস্তারিত লেখার কোনোই দরকার নেই। নদীর উৎপত্তি, গতিপথ, ঐ নদী বিষয়ক আলাদা নিবন্ধে স্থানান্তর করতে পারেন। এখানে সিলেট বিভাগের ভূপ্রকৃতির আলোচনা হচ্ছে, তাতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন, নদীর শাখা নদীর বর্ণনা অমূলক। বরং কোন কোন নদী পাশ দিয়ে কিংবা মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে শুধুমাত্র তার নামোল্লেখ করা যেতে পারে। নিবন্ধের লেখার মধ্যে সাধু ও চলিত ভাষা মিশছে কেন, বুঝতে পারছি না। ঐতিহাসিক বইয়ের রেফারেন্স দিলেও ঐতিহাসিক বইয়ের ভাষা হুবহু তুলে দিতে হবে না। অবশ্যই নিজের ভাষায় বদলে সেটার সারমর্ম উল্লেখ করতে হবে। নাহলে কপিরাইট লঙ্ঘিত হবে। দয়া করে, যতটুকু বলা হলো, তার প্রতিফলন দেখান। আপনাকে বলাসত্ত্বেয় বইয়ের নামগুলো বন্ধনী থেকে বেরিয়ে বাড়তি পঠন শিরোনামে স্থানান্তরিত হয়নি। আপনি দয়া করে ভালো দুয়েকটা নিবন্ধ দেখুন: চর্যাপদ, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, বাংলাদেশ ইত্যাদি। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৬:১৯, ২১ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ভুপ্রকৃতি অনুচ্ছেদের অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে দেখতে পাচ্ছি। এভাবে লেখার ব্যাপারেই বলছিলাম। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৩:৫৮, ২৭ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
|
৪৭ বছরকে ৩৭ বানানোর কারণ
বর্ধিত অংশ
|
বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা বাযস্তবায়ন কালে প্রায় ১০ বছর পূর্ববঙ্গে অবস্থান করে এবং উক্ত পরিকল্পনা রদ হলে আবার আসাম প্রদেশে যুক্ত করা হয়
|
ভুল সবারই হতে পারে
বর্ধিত অংশ
|
- (৩৭>৪৭ (টাইপিং মিসটেক ছিল) <মঈনুল ইসলাম
- যুক্তিটি দুর্বল। আর এই আলোচনা পাতার মধ্যে না করে আলাপ পাতায় নিতে অনুরোধ কর <রাগিব
|
This article has a lot of confusing statements. For example the use of গৌড় রাজ্য made me think of en:Gauḍa region or things listed in en:Gauda_(disambiguation) .. If you believe there is another use of the name "Gauda" please give some references with some more elaboration somewhere in the footnote. --user:Dr.saptarshi
The information does sound somewhat genuine, though the names are somewhat misleading. I wonder if this Gauda is yet another disambiguation of the word Gauda or has anything to do at all with Gauda of en:Shashanka. But somebody needs to find out some more about what has been deciphered from epigraphic referenvces eg Bhatera Copperplace from 1049 AD, from the time of King Govinda Kesava Dev. (per google book ref given here: http://books.google.com/books?id=8EJw6O4VFFsC&pg=PA124&lpg=PA124&dq=Govinda+Kesava++history+assam&source=bl&ots=MmmQnJEmJM&sig=6c6Ie0X4k4hEfvzWxGJdk1Zgs4c&hl=en&ei=XNkSTqzrB46AsgL9jtnUDw&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=2&ved=0CB8Q6AEwAQ#v=onepage&q=Govinda%20Kesava%20%20history%20assam&f=false
Some details are here:
http://sylhetinfo.com/history/2-history/5-ancient-sylhet?tmpl=component&print=1&page=
http://sylhetinfo.com/history?start=9
Many websites also copies the few lines given at this nic.in (govt of india) website:
http://karimganj.nic.in/history.htm
--user:Dr.saptarshi
- সপ্তর্ষিদা গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসঙ্গ তুলেছেন। আমি ইউসুফ ভাইকে অনুরোধ করবো ব্যাপারটা খুঁজে দেখার জন্য। আর, এই পাতায় অনেক বেশি আলোচনা হয়ে গেছে, অন্তত আমার জন্য। সেক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে এই পাতার উপরের লেখাগুলো আপাতত হলেও কিছুদিনের জন্য আর্কাইভ করার অনুরোধ করছি। তাহলে বর্তমান আলোচনাগুলো সহজে করা যেত। তাছাড়া আলাপ পাতার এতো এতো লেখা থাকায় আমি আলোচনা ঠিক না, লুকিয়ে রাখার কাজটি নিবন্ধে করেছিলাম। পাতা ছোট হয়ে এলে এখানে সরিয়ে এনে প্রতিটা শব্দের আলোচনা করা যেত। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৬:৩০, ৫ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- জনাব রাগিব সাহেব, মন থেকে প্রশ্ন নামের চিহ্নটি কিছু সময়ের জন্য একটু দুরে রেখে বইখানার উল্লেখিত কয়টি পৃষ্ঠা দেখুন পেয়ে যাবেন। আপনার উত্তাপিত প্রায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পূর্বে অনেক জায়গায় আমি দিয়েছি, কিন্তু কখনো কোন লিংক দেয়া হয় নাই। এখন যখন একটি লিংক সংগ্রহ হয়েছে তাই অনুরুধ ভাল করে দেখুন সব ক'টি না হলেও কিছুটা প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই মিলবে।
- আপনি দেখবেন এই বইয়ের ৬২ পৃষ্ঠার শেষে রয়েছে যে (১) বরাক উপত্যকা বাংলার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এক্সটেনশন, ইন্দো আর্য উপনিবেশ এই উপত্যকা থেকে সম্প্রসারিত
অন্য পৃষ্ঠায় - (২) বরাক উপত্যকার আদিবাসী বাঙালি মাইগ্রেশন এর ঐতিহ্য। (৩) চন্দ্র রাজ্য (প্রদেশ) হিসাবে srihatta উল্লিখিত. (৪) the paschimbhag cooper-plate of srichandra of east bengal mentioned srihatta as a mandala । (৫) sovereign srihatta-rajya' which covered the entire geographical length and breadth of the barak--surma valley. the history of the valley in this period represented the pan-indian culture continuum. the political organisations were in brahmanical model of state (৬) the western portion of the valley witnessed the rise of three local kingdom gaur laur and jayantia (৭) On the page 70 Gaur- the most famous of all the local states in western part of the barak valley or srihatta. etc- etc etc. উপরে যা লিখা হলো তা কিন্তু শুধু বুঝানোর জন্য । যা সুচিপত্রের মতো - পুরো বিষয় বইয়ের ভেতরে দেখুন। ধন্যবাদ
- সমতট আর পশ্চিমবঙ্গের গৌড় এক নয় । বরং কুমিল্লা হতে পারে। --user:Dr.saptarshi
- a good descripion of gauda esp the loose use in 13th c AD during sultanate is found in the lats para of the banglapedia article:
http://www.banglapedia.org/httpdocs/HT/G_0047.HTM
- I am not sio sure about archival.. the page is long true.. There were some apparent frictions initially.. but I think it has already come to a amicable end. If archival is done at all I will request to use topic names in the archival. Alternatively:
it can be made into
- collapsible threads under subheading (is it possible, eg the way templates are collapsed)or
- spilt into subpages instead of subsections..
In any case There should be some topic names for future browsability, just archival page#1, 2 etc make it difficult to track old discussions.. The last topic I guess (withiout reading the whole of it, correct me if I am wrong) was about debates about notability of references and wikifiability in general.. despite initial doubts, though somewhat obscure the references seems to have found some acceptance.. but we do need to get more references for those parts, especially some more hardcore historic references. As long as facts and fictions are clearly demarcated, wikipedia does allow to describe both within certain limits that does not make the article just a list of trivial quotations.. I must comment on Moin's teeka about Gotra.. Wikipedia is written for the whole world and not just for onees own gotra.. so it about the skill to marke the information of ones own gotra in a wise way that would sound informative and useful to other gotras and rest of the world! and not something that will be tsaty only to ones own gotra.. --user:Dr.saptarshi
- সমতট" আর পশ্চিমবঙ্গের গৌড় এক নয় ?
আপনার ধারনা সঠিক । ভুলের কারণ এমনটি হয়েছে, যা সংশোধন করে দিয়েছি। বিষটি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।Mdyusufmiah (আলাপ) ০২:২৮, ৬ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
জনাব ইউছুফের দেয়া বইয়ের লিংকের ৭০ নং পৃষ্ঠা অনুসারে মনে হচ্ছে, রাজ্যটির নাম গৌড় হবে না, বরং হবে গৌর। কারণটা দেখা যাক, ঐ পাতায় বেশ অনেকটা অংশ জুড়ে রাজা "গৌর গোবিন্দ" নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, আর তার সাথে রাজ্যটির নামের সম্পর্ক নিয়ে বলা হয়েছে। কোনো জায়গাতেই কি গৌর গোবিন্দকে গৌড় গোবিন্দ লেখা হয়? মনে হয় না। তাহলে সেখানে রাজ্যটির নামও কি গৌর হবে, তাই না? --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০২:২৫, ৭ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
গৌড় বা গৌড় গোবিন্দ বাংলায় বানানটি এভাবেই লিখা হয়েছে বা হচ্ছে। আমার কাছে যে কটি ইতিহাস গ্রন্থ বা অন্যান্য উত্স আছে সব ক'টিতে এভাবেই গৌড় গোবিন্দ লিখিত রয়েছে । তাই আমার মনে হয় এই বানাটিই সঠিক। মঈনুল ইসলাম ভাই যদি এবিষয়ে আর একটু ঘাটা-ঘাটি করে দেখেন মনে হয় ভাল তথ্য পাওয়া যাবে Mdyusufmiah (আলাপ) ০৪:২৮, ৭ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
নিবন্ধে ইতোমধ্যে যোগ করা হয়েছে, অথচ সন্দেহযুক্ত লেখা, যা নিবন্ধে স্থান দিতে হলে প্রমাণমূলক আলোচনা প্রয়োজন -এমন লেখাগুলো নিবন্ধ থেকে এখানে সরিয়ে আনা হলো। সংশ্লিষ্ট সকলকে এই তথ্যগুলোর সত্যতা নিশ্চিতপূর্বক নিবন্ধে স্থান দেয়ার যৌক্তিক কারণ উপস্থাপন করতে হবে।
ভূমিকাংশ থেকে অপসারিত
ঐতিহাসিক তথ্যমতে প্রাচীনকালে (কোন কালে? পুরা কালে) এই বিভাগের "লাউড়" পর্বতে তৎকালে (কোন কালে?মহাভারত বা পুরা কালে) রাজা ভগদত্তের শাখা রাজধানী ছিল [১]। প্রাগৈতিহাসিক কাল (<ভুল, (শুদ্ধ> ঐতিহাসিক) "প্রাগৈতিহাসিক" মানে হলো ডাইনোসরের যুগ, যেসময় মানুষই ছিল না) থেকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত ভগদত্ত বংশীয় (ভর্মন) রাজাদের দ্বারা এই অঞ্চল শাসিত হতে থাকে। তৎকালে সমস্ত ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ও সিলেট লয়ে বিস্তৃত ছিল কামরুপ রাজ্য।(On the 6th century A.D. Kamarupa became a powerful kingdom. It included the whole of the brahmaputra vally and sylhet)[২]। ষষ্ট শতকের পরে এর বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে বিভিন্ন খণ্ডরাজ্যের উল্লেখ ইতিহাসে মিলে[২][৩]। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য "প্রাচীন লাউড় রাজ্য", "জয়ন্তীয়া রাজ্য" ও "গৌড় রাজ্য" (সিলেট)[৪]। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বিভক্তির ঐ সময়কে বঙ্গ ভাষা অভুদ্যয়ের কাল হিসেবে ধরা হ্য়[৫]। উক্ত সময়ে বিভক্ত হয়েও আঞ্চলিক দিক দিয়ে বাঙ্গের স্বতন্ত্র ও বিশিষ্ট সাহিত্য, সংস্কৃতির লালনকারী হিসেবে টিকে রয়েছে যুগে যুগে। পরবর্তীকালে (দশম শতাব্দিতে) এ অঞ্চলের কিছু অংশ বিক্রমপুরের চন্দ্রবংশীয় রাজাদের দ্বারা শাসিত হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান থেকে অপসারিত
অতীতে ব্রহ্মপুত্র নদীর পরবর্তী কামরূপ রাজ্যের বিস্তৃতি (Circuit) প্রায় দুইহাজার মাইল ছিল। মহাভারত সময়কালে বর্তমান আসাম, মণিপুর, জয়ন্তীয়া, কাছার, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা, রংপুর, জলপাইগুড়ি এতদ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এই অঞ্চল ছিল কামরূপ রাজ্যের অধীনে রাজা ভগদত্তের শাসনাধীনে।[৬][৭][৮]।
তথ্যসূত্র:
- ↑ সিলেট বিভাগের ইতিবৃত্ত, মোহাম্মদ মুমিনুল হক, "কামরুপ রাজ্য" পৃঃ ১৯ - ২১, গ্রন্থ প্রকাশ কাল,সেপ্টম্বর ২০০১।
- ↑ ক খ "Ancient India" Ramesh Chandra Majumdar, Chapter 3, p267, Motilal Banarsidass Publishers, Eighth Edition: Delhi, 1977.
- ↑ (King Named "Harsha" conquered the Country--these successive foreing invasions brought -complete confusion--there was no central authority -and each lanlodr established indefendent. R.C Mojumder "Ancient india, p267).
- ↑ A Statistical Account of Sylhet, W. W. Hunter, p60.
- ↑ ভাষা-প্রকাশ ব্যাকরণ ও রচনা, নবম ও দশম শ্রেণী, ডঃ নাজাম জেসমিন চৌধুরী ও অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী,বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ পৃঃ ৬, প্রকাশকাল ১৯৯৩
- ↑ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, দ্বিতীয় ভাগ, প্রথম খণ্ড, প্রথম অধ্যায়, অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।
- ↑ Essays on north-east India, by V. Venkata Rao; North Eastern Hill University. Department of History, page 87; google book review on 26th May 2011.
- ↑ Civilization in Ancient India, Ramesh Chandra Majumdar, Chapter 3, p257, Motilal Banarsidass Publishers, Eighth Edition: Delhi, 1977
এখানে যা বলা হয়েছে, তাতে ঐ জায়গাগুলো কামরূপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, সিলেটের কোনো উল্লেখ নেই। কেন যোগ করতে হবে কারণ দর্শান। (মঈনুল ইসলাম)
- বলা হয় ভগদত্ত রাজার আমলে এই অঞ্চল শাসনের জন্য লাউড়ে উপ-রাজধানী ছিল এবং তিনি উক্ত রাজধানী হতে এদেশ শাসন করতেন । খ্রিস্টীয় সপ্তমশতাব্দী পর্যন্ত এরকম ছিল বলে অনুমান হয়। কারণ নিধনপুরে প্রাপ্ত তাম্র লিপি সপ্তম শতাব্দীর রাজা ভাস্করবর্মনের বলে ইতিহাসবিদেরা বলেন । তথ্যসুত্রে শ্রীহট্ট গ্রন্থে এভাবেই এর উল্লেখ রয়েছে। (ইউসুফ মিয়া)
- লাউড়ে উপরাজধানী তো ছিলো এই এলাকা (সিলেট) শাসনের সুবিধার্থে, তাহলে তার সাথে মূল রাজ্য কামরূপের ইতিহাসকে গুলিয়ে ফেলার মানে কী? চট্টগ্রাম শাসনের জন্য বিভাগীয় সদরদপ্তর চট্টগ্রামে, তাই বলে কি রাজশাহীর ইতিহাস হয়ে যাবে চট্টগ্রামের ইতিহাস? (রাগিব)
- মূল নিবন্ধ্য হতে সরিয়ে আনা এই একটু মাত্র অংশ নিয়ে আলোচনা অযৌতিক, কারণ মুল ছাড়া শাখা মুল্যহীন। আমি মনে করি এ নিয়ে আলোচনা করলে ভুল বোঝা বোঝি হতে পারে। ভুল বোঝা এড়ানোর লক্ষে বলি, মঈনুল ইসলাম ভাইর সংশোধিত বর্তমান '"নিবন্ধের ভেতর'" যত টুকু রয়েছে সেখান থেকে আজকের সিলেট বিভাগের ভৌগোলিক অবস্থানের বর্ণনা এনে নিবন্ধের কাজ এগিয়ে নেয়ার প্রয়োজন। Mdyusufmiah (আলাপ) ০২:০০, ৭ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
জানি এ টাগটি উইকিপেডিয়া ব্যবহারকারী যে কেহ লাগাতে পারে। কারণ এ বিষয়ে উপরে অনেকবার আলাপ হয়েছে। একন নতুন করে আলাপ করার কারণ হচ্ছে, পূর্বে {{cn}} এ হেন টাগ যে যে স্থানে লাগানো হয়েছিল, সে সব জায়গায় রেফরেন্স ও লিখকগণের উদ্ধৃতি দেয়ার পর উপদেশ আদেশ যা-ই পেয়েছি আলাপ পাতায় ঠিক ঠিক জাগায় সব রয়েছে। এখন আমার কথা হচ্ছে বিভিন্ন জনের লিখা উদ্ধৃতিগুলো একত্রে লিখে সব ক'টি তথসুত্র একসাথে উল্লেখ করলে কি হয় না? Mdyusufmiah (আলাপ) ০৪:১৬, ৭ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
- না তা হয় না, কারণ যেখানে উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে তার পাশেই তথ্যসূত্রটি দেওয়া নিয়ম। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই নিবন্ধ উদ্ধৃতির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হয়েছে। উদ্ধৃতি আরও কমানো দরকার। — তানভির • আলাপ • ০৬:৩৯, ৭ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
শিক্ষা অনুচ্ছেদে প্রায় শেষের দিগে যে স্থানে চারটি তথ্যসুত্র দেয়া হয়েছে, এর পূর্বে লিখিত সব ক'টি বিষয় উল্লেখিত তথ্যসুত্রের গ্রন্থগুলোতে রয়েছে বিধায় বার বার তথ্যসুত্রের উল্লেখ না করে সব ক'টি মিলিয়ে একজায়গায় দেয়া। এখন {{cn}} যুক্ত হয়েছে এখন প্রতিটি স্থানেই কি সুত্র উল্লেখ করবো?Mdyusufmiah (আলাপ) ১১:৪১, ৭ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন
সৈয়দ মুর্তাজা আলী'র হজরত শাহ্ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস গ্রন্থটি অনেকগুলো কারণে আমার কাছে প্রামাণ্য। ১. তিনি দুই মেয়াদে বাংলা একাডেমীর সভাপতি ছিলেন। ২. পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরষ্কার এবং মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক। তাছাড়া একমাত্র তিনিই অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি রচিত শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত গ্রন্থের ১০০ ভাগ যথার্থতা মানতে পারেননি এবং এর কিছু খাঁদ বিষয়ে সচেতন করে দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসার আগে বিপুল গবেষণা করতেন বলে তাঁর সুনাম আছে। তাঁর প্রসঙ্গে কথা নয়, বরং তাঁর লেখা বইটিতে আমি কিছু কনক্লুসিভ তথ্য পেয়েছি, যেগুলো আমাদেরকে এই নিবন্ধ তৈরিতে সহায়তা করতে পারে বলে আমি এখানে সেগুলো উল্লেখ করছি (হয়তো তা আপাত অপ্রাসঙ্গিক, তবুও):
- প্রাচীনকালে সিলেট জেলায় অস্ট্রিক জাতীয় লোক বাস করত। ...আজকাল অস্ট্রীকদের ভেড্ডী বলা হয়। (p64)
- অস্ট্রিকদের পরে এদেশে আসে মঙ্গোলীয় জাতির লোক। ...মঙ্গোলীয়দের প্যারোযাইন শাখার লোকই এদেশের বেশি দেখা যায়। এদের 'বড়' জাতের লোক প্রধানত আসামের কাছাড় জেলা ও ত্রিপুরা রাজ্যে বাস করে। এরা সিলেট জেলার পার্বত্য অঞ্চলেও বাস করে। (p64-65)
- এরপর পঞ্চম কি ষষ্ঠ শতাব্দিতে আসেন আর্যেরা। (p65)
- মুসলমানরা এদেশে আসেন ত্রয়োদশ শতাব্দির প্রথম ভাগে।
- ত্রয়োদশ-পঞ্চদশ শতাব্দিতে উচ্চবর্ণের হিন্দুরা রাঢ় থেকে পালিয়ে সিলেটে আসেন।
- হিউয়েন সাং-এর ভারত বিবরণীয়তে (৬২৯-৪৫ খ্রি.) আছে সমতট থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে সাগরের তীরভূমি বরাবর এগিয়ে পাহাড় ও উপত্যকা ডিঙিয়ে আমরা শিলিচটলে পৌঁছলাম। কেউ কেউ মনে করেন এই শিলিচটলই সিলেট। কিন্তু আধুনিক পণ্ডিতদের মতে শিলিচটল ব্রহ্মদেশের শ্রীক্ষেত্র বা প্রাচীন প্রোমনগরী। (Fiftienth Anniversary publication of Burma Research Society পৃ. ২৬২)
- ১৮৭২ সালে ভাটেরা পরগণায় দুখানা তাম্রশাসন পাওয়া যায়। ঐ তাম্রশাসনের নবনীর্বান, গণগুণ নারায়ন ও গোবিন্দকেশব দেব নামক রাজাদের উল্লেখ আছে। প্রত্নতাত্তিকরা মনে করে এই তাম্রশাসনদ্বয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীর। এই সকল তাম্র শাসন থেকে জানা যায় সপ্তম শতাব্দিতে সিলেট কামরূপের অধীন ছিল। অতঃপর সিলেট ত্রিপুরার শ্রীনাথের বংশধরদের অধীনে আসে। দশম শতাব্দিতে সিলেট বিক্রমপুরের চন্দ্রবংশীয় রাজাদের অধীনে ছিল। একাদশ দ্বাদশ শতাব্দিতে এই জেলা স্থানীয় সামন্ত নৃপতিদের অধিকারে ছিল। ...মুসলমানদের আগমনের পূর্বে সিলেট সমতট, হরিকেল, পটিকেরা ইত্যাদি রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। পাল বংশীয় রাজাদের এ জেলা অধিকার করার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না। (p65-66)
- তুর্কী আমল: হিজরি তৃতীয় শতাব্দির বিখ্যাত আরব পর্যটক সোলায়মান ছয়রাফী পারস্য সাগর হইতে বাহির হইয়া ভারত সাগর গমন করিয়া বঙ্গোপসাগর অতিক্রমকালে বাংলার বিখ্যাত বন্দর চট্টগ্রাম ও সিলহেটের উল্লেখ বারবার করিয়াছেন। সিলেট যে তৎকালে বিখ্যাত বন্দর ছিল প্রাচীন আরবি ইতিহাস হইতে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করিলে তাদের অবস্থান কেন্দ্র হইত সিলহেট -আরবদের ভাষায় সেরাহেট। (তথ্যউৎস: মোছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস -আকরম খাঁ ১৯৫৬ পৃ. ৬৯) (p66)
- ১৩০৩ সালে হযরত শাহ জালাল সিলেট জয় করেন। সিলেট বিজয়ের পর হযরত শাহ জালাল তাঁর সঙ্গী নুরূল হুদা আবুল কেরামত সাইদী হোসেনীর উপর এ জেলার শাসনভার অর্পণ করেন। নূরুল হুদা সিলেটে হায়দার গাজী নামে পরিচিত।
- সিলেট মোগল শাসনে আসে ১৬১২ সালে।
- সোনারগাঁওয়ে প্রাপ্ত ১৪৭৪ সালের এক শিলালিপি থেকে জানা যায় মবারকউদ্দৌলা মালিক উদ্দিন তখন ইকলিমে মোয়াজ্জমাবাদ ও লাউড়ের উজীর ছিলেন (Inscription of Bengal Vol IV p121)। ইকলিমে মোয়াজ্জমাবাদ পূর্ব ময়মনসিংহ ও পশ্চিম সিলেটের ভাটী অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃত ছিল। কাজেই দেখা যায় মালিক উদ্দীন ঐ সময়ে সিলেট জেলার পশ্চিম অংশের শাসক ছিলেন। (p66-67)
- আইন-ই-আকবরীতে জয়ন্তীয়ার রাজস্ব মাত্র ৬৮০ দাম নির্ধারিত হয়েছে। এতে মনে হয় জয়ন্তীয়ার একটি ক্ষুদ্র অংশ (উত্তর কাছ ও দক্ষিণ কাছ পরগণা) মোগল অধিকারে ছিল। সরাইল ব্রিটিশ আমলের প্রথম ভাগ পর্যন্ত সিলেট জেলার মধ্যে ছিল। (p68)
- [১৫৫৩ থেকে] ..১৫৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সুলতানেরা স্বাধীন ছিলেন। সিলেট মুসলমানদের অধিকারে আসার পূর্বে লাউড়, গৌড় ও জয়ন্তীয়া এই তিন রাজ্যে বিভিক্ত ছিল। শাহ্ জালালের সঙ্গে গৌড়ের রাজা গোবিন্দের যুদ্ধ হয়। গোবিন্দের আধিপত্য প্রধানত সিলেটের সদর ডিভিশন (জয়ন্তীয়া পরগণা ছাড়া) ব্যাপিয়া ছিল। (p80)
- ষোড়শ শতাব্দির শেষার্ধে লাউড়ের রাজা গোবিন্দ সিংহ মুসলমান ধর্ম অবলম্বন করে হবিব খাঁ নাম ধারণ করেন।
- মোগল শাসনামলে সিলেট প্রথম ঢাকাস্থ বাংলার সুবাদারের অধীন ছিল। পরে ১৭০৮ সালে রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত হলে সিলেটের রাজস্ব-সংক্রান্ত ব্যবস্থা ঢাকা নিয়বতের অধীনে আসে। সিলেট জেলা সীমান্তে অবস্থিত এই নিমিত্ত এ-জেলার ফৌজদারের পদ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলার সুবাদারের নিকট আত্মীয় বা সম্ভ্রান্ত বংশীয় ব্যক্তিদের হাতে সিলেটের শাসনভার অর্পিত হত। ...ত্রিপুরা, কাছাড় ও জয়ন্তীয়ার স্বাধীন রাজ্যসকল সিলেটের সীমান্তে ছিল।
- ...আকবরের সময় শ্রীহট্ট মোগলদের অধিকারে আসে নাই। (p82)
- তখনও আসাম প্রদেশ ব্রিটিশ অধিকারে আসেনি। সিলেট ছিল সীমান্ত জেলা। মোগল আমলেও খাসিয়ারা নানা অত্যাচার করতো। ১৭৭৯ সালে তারা আবার উত্তেজিত হয়ে নানা উৎপাত করে। (p94)
- সিলেট আসামে: ইংরাজ আমলের প্রথম থেকে ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলা বাংলাদেশের ঢাকা ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সিলেট সম্বন্ধে এসময়ের বিবরণ History and statistics of Dhaka Division (১৮৬৭) গ্রন্থে আছে। ১৮৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে (দু অঞ্চলের মানুষের আয় ও লোকসংখ্যার সামঞ্জস্য বিধানে) ...সিলেট জেলাকে আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। ...অতঃপর ১৮৭৪ সালে ১২ই সেপ্টেম্বর সিলেট জেলাকে নবগঠিত আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। (p99-100)
- ১৮৬৭ সালে সিলেট জেলাকে সদর সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও করিমগঞ্জ এই চার ডিভিশনে ভাগ করে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। ...(কিন্তু অর্থাভাবের কারণে বিলম্ব হয় বলে) ১৮৭৭ সালে সর্বপ্রথম সুনামগঞ্জ সাবডিভিশন খোলা হয়। ১৮৭৮ সালে করিমগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সাবডিভিশন খোলা হয়। ...১৮৮২ সালে দক্ষিণ শ্রীহট্ট বা মৌলভীবাজার সাবডিভিশন খোলা হয়। (p100)
- ১৯০৫ সালের অক্টোবর পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ গঠিত হলে সিলেট এই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। আবার ১৯১২ সালের ১লা এপ্রিল আসাম প্রদেশ পৃথক হলে সিলেট আসামে অন্তর্ভুক্ত হয়। (p101)
- ...প্রাচীনকালে সিলেট জেলার উত্তর-পশ্চিমাংশে লাউড় নামে একখণ্ড রাজ্য ছিল। ...জনশ্রুতি অনুসারে প্রাচীনকালে ভগদত্ত নাম এক রাজা এই অঞ্চলে বাস করতেন। ময়মনসিংহের অন্তর্গত মধুপুর জঙ্গলেও নাকি তার বাড়ির চিহ্ন আছে। এই ভগদত্ত মহাভারতে উক্ত ভগদত্ত থেকে ভিন্ন ও অনেক পরের লোক। (p104)
- প্রাচীনকালে সিলেট জেলা যে তিনটি স্বতন্ত্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল জয়ন্তীয়া তার অন্যতম। ...জয়ন্তীয় রাজ্য আদিমকালে তিনটি অংশে বিভক্ত ছিল; যথা- জয়ন্তীয় পরগণা, জয়ন্তীয়া পাহাড় (খাসিয়া ও জয়ন্তীয় পাহাড়ের অন্তর্গত জোয়াই সাবডিভিশন) ও নওগাঁ জেলার সমভূমি। (p106)
মোটামুটি এ-ই। এখানে উল্লেখ্য যে, তাঁর মূল গ্রন্থটি ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়, যার তৃতীয় সংস্করণ বেরোয় ১৯৮৮-তে। তাই বারবার "সিলেট জেলা" কথাটির উল্লেখ লক্ষণীয়। আপাতত এ-ই। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ২২:০৪, ৭ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন