বিষয়বস্তুতে চলুন

মুস্তাফা নূরউল ইসলাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মুস্তফা নুরুল ইসলাম থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, হোটের সোনারগাঁও, ঢাকা, ২০১০
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, হোটের সোনারগাঁও, ঢাকা, ২০১০
জন্ম(১৯২৭-০৫-০১)১ মে ১৯২৭
বগুড়া
মৃত্যু৯ মে ২০১৮(2018-05-09) (বয়স ৯১)
ঢাকা
পেশাশিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারএকুশে পদক
স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১০)

মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (১ মে, ১৯২৭ - ৯ মে, ২০১৮) হলেন বাংলাদেশী লেখক, গবেষক, ভাষাসৈনিক ও বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক। তিনি সুন্দরম সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক।[১] তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকবাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য ও শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার  অর্জন করেন। ২০১১ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। [২]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ১৯২৭ সালের ১ মে বগুড়ার মহাস্থানগড় সংলগ্ন চিঙ্গাশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। [৩] তার বাবার নাম সা’দত আলি আখন্দ, তিনি স্বনামখ্যাত লেখক ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন। তিনি ছিলেন মা-বাবার জ্যেষ্ঠ সন্তান। [৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

নূরউল ইসলাম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে স্নাতকোত্তর ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। শৈশব থেকেই সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ, ছাত্রজীবনে বাম ধারার রাজনীতির সঙ্গে সংযোগ ও ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ তাঁর চিন্তা ও কর্মে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রেখেছে। তাঁর কর্মজীবন বিচিত্র, বর্ণাঢ্য। সাংবাদিকতা করেছেন। দৈনিক সংবাদ-এর প্রথম সংখ্যা থেকে যুক্ত ছিলেন সহকারী সম্পাদক হিসেবে। কাজ করেছেন মিল্লাত-এ। শিক্ষকতা করেছেন সেন্ট গ্রেগরিজ কলেজ, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে (খণ্ডকালীন)। দায়িত্ব পালন করেছেন শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি হিসেবে। ১৯৫১ সালে সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। ১৯৫৩-৫৪ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত হন তিনি। [৩]

প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, অনুবাদ, সম্পাদনা মিলিয়ে মুস্তাফা নূরুউল ইসলামের প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় অর্ধশত। সম্পাদনায় যুক্ত থেকেছেন পূর্বমেঘ, অগত্যা, সুন্দরম নামের তিনটি বিখ্যাত পত্রিকার। ১৯৫০-এর দশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় আলাউদ্দিন আল আজাদের সঙ্গে যৌথভাবে সম্পাদিত দাঙ্গার পাঁচটি গল্প তাঁর একটি সাড়া জাগানো প্রকাশনা। অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনাতেও বিশেষ মাত্রা যোগ করেছেন তিনি। দেশ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য নিয়ে বিচিত্র বিষয়ে তিনি দীর্ঘকাল ধরে মুক্তধারা, কথামালা, বাঙালির বাংলা নামে অনুষ্ঠান করে আসছেন।[৫]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

সাহিত্য ও শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে।[৬] এছাড়াও তিনি একুশে পদকও লাভ করেছেন। [৭]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০১৮ সালের ৯ মে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. দৈনিক প্রথম আলো[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "চলে গেলেন জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১০ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৬ 
  4. "বিশিষ্ট-লেখক-গবেষক-ভাষাসৈনিক-ও-জাতীয়-অধ্যাপক-ড-মুস্তাফা-নূরউল-ইসলামের-মৃত্যুতে-মন্"www.cabinet.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-০৩ 
  5. "সময়ের মুখ তিনি"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১০ 
  6. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  7. "জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম আর নেই | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০১৮-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-১০ 
  8. "জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম নেই"bangla.bdnews24.com। ২০১৮-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]