বিষয়বস্তুতে চলুন

আনন্দ ব্রহ্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আনন্দ ব্রহ্ম
থিয়েটারে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকমাহি ভি রাঘব
রচয়িতামাহি ভি রাঘব
শ্রেষ্ঠাংশেতাপসী পন্নু
শ্রীনিবাস রেড্ডি
ভেনেলা কিশোর
শাকালকা শঙ্কর
রাজীব কানাকলা
সুরকারকে
চিত্রগ্রাহকআনিস থারুন কুমার
সম্পাদকশ্রাবণ কাটিকেনেনি
প্রযোজনা
কোম্পানি
মুক্তি১৮ আগস্ট ২০১৭
স্থিতিকাল১২৩ মিনিট
দেশভারত
ভাষাতেলুগু
নির্মাণব্যয়₹৩ কোটি[১]
আয়প্রা. ₹৬ কোটি[১]

আনন্দ ব্রহ্ম তেলুগু-ভাষায় নির্মিত একটি ভারতীয় কমেডি হরর চলচ্চিত্র। মাহি ভি রাঘব রচিত ও পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয়াংশে আছেন তাপসী পন্নু, শ্রীনিবাস রেড্ডি, শাকালকা শঙ্কর, এবং ভেনেলা কিশোর[২][৩] বিজয় চিল্লা এবং শশী দেবীরেড্ডি প্রযোজিত ছবিটিতে সংগীতায়োজন করেছেন কে

ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা ইতিবাচক সাড়া পায় এবং ১৮ আগস্ট ২০১৭ সালে মুক্তি পায়।[৪] চলচ্চিত্রটি তামিলপেট্রোম্যাক্স (২০১৯), বাংলা ভাষায় ভুতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড (২০১৯) এবং কন্নড় ভাষায় মানে মারাতাক্কিদে (২০১৯) নামে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।[৫] অন্য আর একটি কন্নড় চলচ্চিত্র দময়ন্তী (২০১৯) ছবিটিও এর অনুপ্রেরণায় নির্মিত হয়েছে।[৬]

পটভূমি[সম্পাদনা]

দীপা, তাপসি, বিজয়চন্দর এবং রঘু তাদের পৈতৃক বাড়িতে রয়েছে। তারা ভূত। তারা বিজয়চন্দের স্ত্রীর ঘরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। কীভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছিল তা তারা জানে না। একটি পরিবার ভাড়া নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। তবে তারা পরিবারটিকে ভয় দেখিয়ে দূরে হটিয়ে দেয়। যে দালাল এই বাড়ির সাথে জড়িত সেও তাপসীর ভূত দেখে ভয় পেয়ে বাড়ির মালিক রামুকে (রাজীব কানাকলা) জানিয়ে দেয়। সে একজন এনআরআই এবং তার পুলিশ বন্ধু বংশী (রাজা রবীন্দ্র) এর কাছে এই ভূতের উপস্থিতি অবহিত করে। বাস্তবে এই বংশী যাদগিরির সাথে জড়িত হয়ে রামুকে অসার নকল ভূতের ভয় দেখিয়ে তার বাড়িটি সল্পমূল্যে বিক্রি করাতে বাধ্য করছিল। সিধু (শ্রীনিবাস রেড্ডি) তাদের কথোপকথন শুনে রামুর সাথে একটি চুক্তি করে যে সে তার তিন বন্ধুকে এক রাত ঐ বাড়িতে থাকার জন্য প্রেরণ করবে এবং তারা যদি বেঁচে থাকে তবে রামু কমিশন হিসাবে সিধুকে বিক্রয়মূল্যের কিছু অংশ প্রদান করবে। কিন্তু তার তিন বন্ধুই সেই রাতে ভূতের মুখোমুখি হয়। তাদের একজন (সুপারির্থ) বাথরুমে তালাবন্ধ হয়ে যায়, তার বন্ধু (জীভা) অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং অন্যজন ভয় পেয়ে যায়। রামু দৃঢ় প্রত্যয়ী যে সেখানে ভূত রয়েছে এবং যাদগিরির যে দাম দাবি করেছে তাতেই সে বিক্রি করতে রাজি হয়। কিন্তু সিধুর অনুরোধে রামু তাকে সেটি হানা বাড়ি নয় বলে প্রমাণ করার জন্য একটি শেষ সুযোগ দেয়। সিন্ধু এবং তার বন্ধু তুলসী (থগুবথু রমেশ) এর সাথে কাকতালীয়ভাবে দেখা হয়ে যায় বাবু (শাকালকা শঙ্কর) এবং রাজু (ভেনেলা কিশোর) নামে আরও দুজনের সাথে। দেখা যায় তারা সকলেই সেই অর্থের জন্য একেবারে মরিয়া। সিধুর অ্যামনেসিয়াক মায়ের হৃৎপিন্ডে একটি ফুটো রয়েছে। সে সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে হার্টের সার্জারি করা উচিত। বাবু এমন এক ব্যক্তি যে সিনেমা দেখতে এমন মত্ত থাকে যে সে যে ভূমিকাটি দেখছে তাতেই সে অভিনয় শুরু করে দেয়। ভরণী নামে এক ব্যক্তি তাকে টালিউডের বিখ্যাত সিনেমা প্রযোজকদের এজেন্ট হিসাবে উপস্থাপন করে তাকে ঠকায়। তুলসী এক জন মাতাল ব্যক্তি যে ঘড়ি ধরে কেবলমাত্র রাত্রি ৯ টার পরে মদ্যপান করে এবং একটি ক্রিকেট ম্যাচে প্রমত্ত অবস্থায় বাজি ধরে তার ছেলের অস্ত্রোপচারের জন্য সঞ্চিত অর্থ খোয়ায়। রাজু বধির এবং রাতকানা। যে প্রায়ই ভয় পেয়ে তার বাঁশি ব্যবহার করে। গার্ড হিসাবে তার প্রহরাকালে একটি এটিএম লুট হওয়ার পরে সে সিসিটিভির দৌলতে ছিনতাই মামলায় জড়িয়ে পড়ে। যে সিকিউরিটি এজেন্সি তাকে নিয়োগ করেছিল তারা নিষিদ্ধ হওয়াতে ক্ষতিপূরণের জন্য তারা তার কাছে অর্থ দাবী করেছে।

তারা বাড়িতে থাকতে শুরু করার সাথে সাথে সমস্ত ভূত তাদেরকে ভয় দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে চার বন্ধু তাদের অদ্ভুত অভ্যাসের কারণে ভয় পায় না এবং পরিবর্তে ভূতদের ভয় দেখানো শুরু করে। প্রথম দিনের পরে রামু ভূতের উপস্থিতির বিষয়ে সিধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অবশেষে বাড়িটি বিক্রি করার জন্য তাকে আরও দুটি দিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সিধু এবং তার দলটিকে ঘরের ভিতরে থাকতে দিতে বংশী পছন্দ করে না এবং তাদের ভয় দেখানোর জন্য নকল ভূত প্রেরণ করে। যাইহোক নকল ভূতগুলি প্রকৃত ভূত দেখে ভয় পেয়ে যায়। দ্বিতীয় রাতেও সিধু এবং তার দল নিরুপদ্রবে কাটিয়ে দেয় এবং ভূতেদের ভয় দেখানোর ব্যবস্থা করে। তৃতীয় রাতে ভূতেরা দলটিকে ভয় দেখাতে সক্ষম হয় এবং সিধুর মা তাকে খুঁজতে সেই বাড়িতে এলে ভূতেরা তাদের হত্যা করতে উদ্যত হয়। ফ্ল্যাশব্যাক প্রকাশ করে যে সে-ই বিজয়চন্দরের স্ত্রী এবং রামু তাদের ছেলে। তাপসি এবং দীপাকে ঐ দম্পতি দত্তক গ্রহণ করেছিল। রামু ব্যবসায় ক্ষতি করে লোকসান মেটাতে বাড়িটি বিক্রি করতে চায়। বিজয়চন্দর বাড়ি বিক্রি করতে রাজি হয়নি। ফলে ক্ষিপ্ত রামু তার মা ছাড়া পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করে। ভূতেরা তাদের মৃত্যুর কারণ উপলব্ধি করে এবং রামুকে হত্যা করে তাদের প্রতিশোধ গ্রহণ করে। বাড়ি থেকে বেরোনোর ​​সময় সিধু এবং তার গোষ্ঠী রামুর গাড়িতে নগদ টাকা ভরা ব্যাগটির হদিশ পায় এবং সেটি তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। তারা সেই বাড়িটিকে বৃদ্ধাশ্রমে রূপান্তরিত করে এবং তাপসির মা এবং সন্তানদের দ্বারা পরিত্যক্ত কিছু অন্যান্য বৃদ্ধ সদস্যের সাথে এখন সেখানে সুখে বসবাস করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'Anando Brahma' Box Office collections Day 24: Taapsee Pannu starrer becomes the biggest hit of small budget films released in 2017? - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৪ 
  2. "Taapsee Pannu all set for a Tollywood comeback with 'Anando Brahma' - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১১ 
  3. "Anando Brahma first look: Taapsee Pannu returns to Telugu cinema with a horror-comedy"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৫-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১১ 
  4. "Rearing to go: Mahi V Raghav"Deccan Chronicle। ২০১৯-০৮-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৬ 
  5. "'Mane Marattakide' review: This horror-comedy is one laughter ride"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৪ 
  6. "Damayanthi is inspired by Anando Brahma"Bangalore Mirror। ২০১৯-১১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]