বিষয়বস্তুতে চলুন

আলাপ:আমাজিগ জাতি

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: খাত্তাব হাসান কর্তৃক ২ বছর পূর্বে "আলোচনা ব্যতীত স্থানান্তর (!)" অনুচ্ছেদে

আলোচনা ব্যতীত স্থানান্তর (!)[সম্পাদনা]

কোনও আলোচনা ও সম্প্রদায়কে না জানিয়ে এই স্থানান্তরের হেতু কী? আর তারা বারবার বা বর্বর বা বরবর জাতিই। বারবার্স ইংরেজি বহুবচন হয়ে থাকবে। বাংলায় বর্বর জাতি নামেই তাদের চেনা হয়েছে। বেশির থেকে বেশি কোনও কোনও লেখক বর্বর (বিশেষণ) থেকে বর্বর (বিশেষ্য)-কে আলাদা করতে বারবার বা বরবর বানান ব্যবহার করেছেন। স্থানান্তরকারী @মজুমদার সাহেব:কে পিং করলাম। ~ খাত্তাব , , ... ০৪:৩৪, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

@খাত্তাব হাসান:: নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ, ঠিক করুন। নাম বার্বার বা বারবার ব্যবহার করুন ‌‌। কোথাওবা বর্বর বিশেষ্য পেলে তার এখানে সূত্র দিন‌, দেখি‌। বার্বার বা বারবার পক্ষে সূত্র: ) - মজুমদার সাহেব (আলাপ) ০৬:১২, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@মজুমদার সাহেব: এই প্রবন্ধে দেখুন। বাকি তারা এই অঞ্চলে খুব বেশি প্রসিদ্ধি পাবার কথা না। ইতিহাস বা ভূগোলের বইয়ে যদি আফ্রিকান নৃগোষ্ঠীর উল্লেখ পান, সেখানেও অনুসন্ধান করতে পারেন। আমি বইগুলোতে পড়েছি, তবে এখন অনুসন্ধান করে উদ্ধৃতি দেওয়া সম্ভব নয়। বাকি, বর্বর শব্দটা তাদের জন্য যদিও আক্রমণাত্মক, তবে বাংলায় তারা এই নামেই প্রসিদ্ধ। নতুন লিবিয়া প্রবাসী লেখক মোজাম্মেল তহা অবশ্য বর্বর নামটি পরিহার করে আমাজিগ গোষ্ঠী হিসেবে তাদের চিহ্নিত করেছেন। ~ খাত্তাব , , ... ০৮:৪২, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ইংরেজি উদ্ধৃতি কেন দিচ্ছেন? তদ্রুপ, নিবন্ধ অসম্পূর্ণ হওয়ার সাথে এই নামকরণের কী সম্পর্ক? ~ খাত্তাব , , ... ০৮:১১, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
 মন্তব্য যদিও বর্বর জাতির নামকরণের কারণ তাদেরকে বর্বর বলেই উদ্দিষ্ট করা। কারণ, ইউরোপীয়দের চোখে মরক্কো আর আফ্রিকার এই অঞ্চলের যাযাবর জাতিরা (অথবা অ-ইউরোপীয় জাতিগুলো) ছিল-অশিক্ষিত বা অশিষ্ট বা এই ধরণের রাগী/খুনী/ডাকাত/লুটেরা ইত্যাদি। তবে এই জাতির লোকেরা নিজেদের আমাজিগ বলে পরিচয় দেন। আধুনিক লেখকরা বার্বার বা বর্ব্বর বানান ব্যবহার করেও তাদের মর্যাদা ও প্রসিদ্ধ ব্যবহারের ভারসাম্য রক্ষা করতে চেয়েছেন।
যদিও এই জাতির লোকেরা হয়তো কখনোই বাংলা শিখবেনা বা জানবেনা। ইংরেজি আলাপ পাতায় তাদের বক্তব্য বিদ্যমান। আর সেই জাতির প্রতি সম্মান রেখে আমরা হয়ত নিবন্ধটি আমাজিগ/আমাজিঘ জাতি নামে স্থানান্তর করতে পারি। যেহেতু এই জাতিগোষ্ঠী বাংলায়ও ততটা প্রসিদ্ধ নয় এবং কদাচিৎ হলেও বাংলায় এর যথাবিহিত ব্যবহার হয়েছে।
অথবা, বার্বার ভাষার ন্যায় হয়ত বর্বরে পার্থক্য করে বার্বার জাতি নামে নেয়া যায়। ~ খাত্তাব , , ... ১০:৫৪, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
উপরিউক্ত আলোচনা অনুসারে আমাজিগ/আমাজিঘ জাতি নামে স্থানান্তরের প্রতি  সমর্থন। -- ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৫:১৪, ৩১ মার্চ ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আমাজিগও নয়, বর্বর নয় । বিতর্কিত হলে ইংরেজি বিশেষ্যটি রেখে দিবো এটাই সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বন। নিজেকে ঐ ইতিহাস বা প্রবন্ধ লেখক এর স্থানে ভাবুন। কেন আপনি বার্বার বিশেষ্যকে বর্বর বিশেষণে বা বিশেষ্যে লিখেছেন বলুন।ঐ নিবন্ধে লিখেছে তাই আমিও লিখবো এমন কেন? আপনার উচিত যাচাই-বাছাই করা, ব্যাকরণ অনুসরণ করা। আমরা ব্যাকরণ অনুসরণ করছি, ভুল করছিনা।পয়সা খরচ করে ঐ প্রবন্ধ গুলোয় কেন বর্বর লেখা হয়েছে তা তাঁরাই বের করুক বা ভাবুক ।-মজুমদার সাহেব (আলাপ) ০৩:৩৩, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@মজুমদার সাহেব: ইংরেজি বিশেষ্য কেন রেখে দিবেন? বাংলা উইকিপিডিয়ায় ইংরেজির উদ্ধৃতি দিচ্ছেন, যেখানে জাতিটা আরব-আফ্রিকান। ইংরেজিতে কেন রেখে দিবেন? আর বার্বার বা আমাজিগ ব্যবহার করলে ব্যকরণ বা অব্যকরণের কী রয়েছে? আপনার বক্তব্য অনেকটাই অস্পষ্ট। ~ খাত্তাব , , ... ০৪:৫৭, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
  • আপনি পূর্বোক্ত অনূদিত প্রবন্ধ রেফারেন্স করছেন ,এটি আমি কখনোই সমর্থন করিনা। আপনার উচিত যাচাই-বাছাই আরো ভালো ভাবে করা‌।
  • আপনি ব্যাকরণকে গৌণ করে ঐ সব প্রবন্ধকে মূখ্য করছেন , এটি ভাষা ব্যবহারে অনভিজ্ঞতার পরিচয়। আপনি যে ভাষ্যে বলছেন ঐ মোতাবেক ইউটিউব, ইন্টারনেট সর্বত্র বিরাজমান বার্বার বিশেষ্য , বাংলায় সার্চ করলেও ফলাফল একই। অতএব বার্বার এর জনশ্রুতি অধিক,যৌক্তিক। আমাজিগ বা বর্বর বিশেষ্যর মত।
  • বিতর্কিত হলে সবসময় বাংলায় অনুবাদ করে ইংরেজি বিশেষ্যটি বা শব্দটি রেখে দেওয়াটাই উত্তম‌। -মজুমদার সাহেব (আলাপ) ০৫:৪৫, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@মজুমদার সাহেব: আমি বর্বর জাতি নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন বইয়ে আর প্রবন্ধে বেশ পড়েছি। ইন্টারনেটে বাংলায় তাদের ব্যাপারে কদাচিৎ বর্ণনা রয়েছে। তা-ও সেটি অভিজ্ঞরা বর্ণনা করেনি। যার যেভাবে মন চেয়েছে লিখেছে। ইন্টারনেটে প্রায় কোথাও তাদের আমাজিঘ হবার বর্ণনা নেই। অর্থাৎ, তারা হয়ত বিষয়টি জানেইনা। কমপক্ষে উইকিপিডিয়ায় এই নিবন্ধে উৎস হিসেবে ব্যবহার করার মত উদ্ধৃতি বাংলা ইন্টারনেট জগতে নেই।
আবার, বর্বর শব্দটি বাংলায় আসার কারণ এই জাতিগোষ্ঠীই। বাংলায় আমরা বলি, এই, তুই বর্বরদের মত আচরণ করছিস কেন? এই বাক্যে বর্বর বিশেষণটি মূলে নয়, বরং বর্বর জাতিগোষ্ঠীর ন্যায় আচরণ করাটাই বলা হচ্ছে। যদি বলা হয়, তোর আচরণ বর্বর, সেক্ষেত্রে বিশেষণ শব্দটি আসছে। কিন্তু যদি বলি, তুই একটা বর্বর, এক্ষেত্রে বিশেষণ নয় বরং জাতিটির সদস্য হওয়া (কদার্থে) আসছে।
এটা অবশ্যই আক্রমণাত্মক। যদিও ইংরেজিতে গালিটির ব্যবহার নেই বলে ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় এই নামেই নিবন্ধ রয়েছে। কিন্তু বাংলায় এটি একটি গালি বা আক্রমণ করার মত শব্দ। তাই নিবন্ধের নামকরণ নীতি অনুসারে এমন আক্রমণাত্মক নাম থাকা উচিত নয়। চাই, সেটা বর্বর হোক বা বার্বার হোক। ~ খাত্তাব , , ... ০৮:৪৮, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@খাত্তাব হাসান:, বর্বর বিশেষ্য হলে এর ইংরেজি berber নয়,এর ইংরেজি Goth। এগুলো দেখুন: , ,
উপসংহার: বর্বর বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত তবে মূল উৎস ফরাসি বর্বর বিশেষণটি হতে‌ ।যার অর্থ বর্বর, ধারণা মোতাবেক এটি ১৭০০-১৮০০ মধ্যবর্তিকালে বাংলায় আসে‌ ইংরেজ অথবা ফরাসিদের হাতে। এক্ষেত্রে সরাসরি এই লোকদের নাম বর্বর না বলে আমাদের উচিত উভয় বা তিন ভাষার ব্যাকরণ মেনে বার্বার বিশেষ্যটিই ব্যবহার করা। কোথায় কে কীভাবে লিখেছে তা না দেখা ও পূর্বোক্ত বিশেষণকে বহাল না করা। আবার বলছি, আমরা ভুল করছিনা ,ব্যাকরণ অনুসরণ করছি।
আর কোন যুক্তি নেই‌। চিকেন আমি নিয়ে যাচ্ছি তবে হ্যাঁ বার্গারের পাঠাচ্ছি। শুভ কামনা! -মজুমদার সাহেব (আলাপ) ১৩:৫১, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@মজুমদার সাহেব: আমি আসলেই জানতে চাইব, যদি বার্বার বা বার্বের ব্যবহার করা হয়- তাহলে প্রচলিত বর্বর কেন ব্যবহার করা হবেনা?
দ্বিতীয়তঃ আমরা কোন ব্যকরণ মানছি? আমার কাছে স্পষ্ট নয়।
তৃতীয়তঃ আমি আরব/আফ্রিকান একটি জাতির জন্য দূর-দূরান্তেও সম্পর্ক না থাকা ভাষা ইংরেজির বানান ব্যবহার করতে চাচ্ছিনা।
চতুর্থতঃ আমাজিগরা ফরাসী অধীনে গিয়েছিল ১৯/২০ শতাব্দীতে। এর আগে ইঙ্গ-ফরাসীদের মাধ্যমে শব্দটা আসার কারণ নেই। অবশ্য আমরা মাটি আঁকড়ে থাকা মানুষরা যাযাবর বা বেদুইনদের খুব ভাল মনে করিনা। তাই আরবি হয়েও (যেহেতু পঞ্চদশ/ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে উসমানিদের নৌপথে যুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ায় সাগরের পাড়ে থাকা বর্বরদের আসা-যাওয়া স্বাভাবিক ছিল) বর্বররা এই অঞ্চলে পরিচিতি পেতে পারে। আবার এই জাতির একজন বীর ছিলেন, ইউসুফ বিন তাশফিন। ১২শ শতাব্দীর আলফানসু ষষ্ঠের আক্রমণ প্রতিহত করেন। তার কারণেও ষোড়শ শতাব্দীতে আন্দালুস পতনের পর এই অঞ্চলে আরবি হয়ে বর্বরদের বা তাদের পরিচিতি আগমন ঘটতে পারে।
বার্গারের জন্য তেশেক্কুর এদেরিম! চিকেনও অবশ্য আমার খুব পছন্দের। যাইহোক, আফিয়েত ওলসোন। ~ খাত্তাব , , ... ১৫:৫৪, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন


 মন্তব্য হয় নিবন্ধের নাম বর্বর রাখুন, নয়তো এর নাম আমাজিগ রাখুন। মেহেদী আবেদীন ১৬:৫২, ১ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

 মন্তব্য: আরবদের কথা কেন‌ আসছে?আরব ইতিহাসে দেখা যায় ওরা যিশুর খীঃ জন্মের ৩০০-৪০০ বছর পর নিজেরা আরব বুঝতে ও চর্চা করতে শুরু করে‌‌।বর্বর শব্দটির প্রচলন প্রাচীন ফরাসি ভাষা শব্দ বর্বর হতেই। বর্তমান তিউনিশিয়া প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের উপনিবেশ ছিল। আর সেখানে রাজা হতো আমাজিঘ জাতি আর তাদের (ঐ উপনিবেশ রাজধানী রোমে বলা হতো বর্বর বা গ্রীকবাসী নয়)। শব্দটি এসেছে ইউরোপীয়দের মাধ্যমেই।

একটা গল্প বলি বা উদাহরণ:

উপনিবেশবাদী একজন বিখ্যাত জাহাজের কাপ্তান গেছে দেশ আবিষ্কারে, সে ইউরোপ হতে তার পাল তুললো যাবে ভারত বর্ষে।নৌকা বাইতে বাইতে একটা ভুখন্ডে যেয়ে ঠেকলো।‌কিছু মানুষ দেখলো তাদের থেকেও ফর্সা ,এতটাই যে শরীর রক্তে লাল অবস্থা।‌সে তাদের নাম দিল‌ রেড ইন্ডিয়ান । পরে সে তাদের রাণীর কাছে যেয়ে বললো ঐটা উপনিবেশ বানাতে।‌রাণী ঐটা উপনিবেশ বানাতে যেয়ে দেখে ঐটা তো ভারত না ঐটা আমেরিকানদের ভূমি।

কিন্তু ওদের নাম রেড ইন্ডিয়ান রয়ে গেল পৃথিবীর ইতিহাসে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নেটিভ আমেরিকান হিসেবে নাম লিখছে। উপনিবেশবাদীরা দেশ বা জাতির নাম বিকৃত করেছে যে গুলো ব্যবহার করা হতে আমাদের বিরত থাকা উচিত।

নামের ক্ষেত্রে আমাদের পদক্ষেপটি এমনি ভুল শুদ্ধ করতে।যেখানে আপনার সুফিজম প্রত্যুত্তরে আমরা অভিমত,

“ আমরা যদি ইউরোপীয়দের বর্বর নামটি ব্যবহার করতে পারি বহুল চর্চিত বলে একই ভাবে বিশ্বে বেশি চলা ইংরেজির বিশেষ্যটি রেখে দিই।”

শেষকথা: এক্ষেত্রে শুদ্ধ করতে চাইলে তারা তাদের যে নামে ডাকে সে নামে শিরোনাম করুন।আমাজিঘ একবচন,বহুবচন হচ্ছে আমাজিঘরা বা আমাজিঘ জাতি।

✓আপনার কথাই রইলো। আমাজিঘ জাতি নামে স্থানান্তরের প্রতি  সমর্থন

-মজুমদার সাহেব (আলাপ) ০১:৫৯, ২ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

@মজুমদার সাহেব: আপনার শেষের কথা যৌক্তিক। আর কালকে চিজ বার্গার সেধেছিলেন। তাই আপনার ইতিহাসের প্রশ্নের উত্তর নাইবা দিলাম। ধন্যবাদ! ~ খাত্তাব , , ... ০৩:৫৪, ২ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
বার্বার ভাষা নিবন্ধটি আমি তৈরি করেছি। আমার মত হলো বর্বর জাতি বলতে অসভ্য জাতি কে বোঝায়। কিন্তু তারা বর্তমানে শিক্ষিত। তাই এ জাতিকে বার্বার জাতি বা আমাজিগ জাতি বলে সম্বোধন করা উচিত। Md. Rayan Alam Rifat (আলাপ) ১১:৪০, ৭ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
বার্বার জাতি নামটি ব্যবহার করা উচিত। Md. Rayan Alam Rifat (আলাপ) ১১:৪৮, ৭ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
প্রশাসক ও বহুদিনের অবদানকারী হিসেবে আমার মন্তব্য

@খাত্তাব হাসান, মজুমদার সাহেব, আফতাবুজ্জামান, Md. Rayan Alam Rifat, Mehediabedin, এবং MS Sakib: এখানে নিবন্ধের শিরোনাম হিসেবে বেশ কয়েকটি নামের আলোচনা হয়েছে। একে একে আলোচনা করছি। মূলনীতি হল প্রথমে আমাদেরকে প্রমিত অভিধানগুলির শরণ নিতে হবে, তারপরে এই নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস সম্পর্কে কোনও প্রমিত বাংলা পাঠ্যপুস্তকে লেখা থাকলে সেগুলিও দেখতে হবে। তারপরেও অন্যান্য বিবেচনা মাথায় রাখতে হবে।

প্রথমে ইংরেজি-বাংলা অভিধানগুলিতে দেখি। বাংলাদেশের বাংলা একাডেমির বাংলা-ইংরেজি অভিধানে Berber নামে কোনও ভুক্তি নেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রসিদ্ধ গৌরিপ্রসাদ ঘোষের ইংরেজি-বাংলা অভিধানেও Berber নামে কোনও ভুক্তি নেই।

এরপরে বাংলা-বাংলা অভিধানে আসি। ঢাকা বাংলা একাডেমির বাংলা-বাংলা অভিধানে "বর্বর" বলতে কোনও উত্তর আফ্রিকার এই নৃগোষ্ঠীকে নির্দেশ করা হয়নি। বরং কোনও ব্যক্তি, জাতি বা কাজকে অসভ্য, অমার্জিত, অশিষ্ট, এই সব নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যে চরিত্রায়িত করতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলা বইপত্রে বর্বর জাতি বলতে কোনও নির্দিষ্ট জাতির নাম নির্দেশ করা হয় না। "এক নিষ্ঠুর, বর্বর জাতি", "এক হিংস্র, বর্বর জাতি" এগুলিতে বর্বর কোনও নাম নয়, বরং বিশেষণ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। গুগল বুকস ঘেঁটে যতটুকু দেখলাম বর্বর দিয়ে বাংলা ভাষার লেখকেরা কখনোই উত্তর আফ্রিকার ঐ জাতিকে নির্দেশ করেননি। সুতরাং এই নিবন্ধের শিরোনামে বর্বর ব্যবহার করলে বাংলা রচনায় প্রচলিত ও বাংলা অভিধানে নির্দেশিত অর্থের সাথে সাংঘর্ষিক হবে।

এখন "বার্বার জাতি" দেখি। গুগল বুকস ঘেঁটে দেখতে পাচ্ছি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষের ১২শ খণ্ডের ৭নং পৃষ্ঠায় এই নৃগোষ্ঠীটিকে "বার্বার জাতি" উল্লেখ করা হয়েছে। এটি একটি প্রামাণ্য আকরগ্রন্থ (রেফারেন্স গ্রন্থ)। এছাড়া ১৯৬৭ সালে মতিউর রহমানের প্রকাশিত ঐতিহাসিক অভিধান গ্রন্থটিতেও ৬৭নং পৃষ্ঠাতে এদেরকে "বার্বার জাতি" বলে লেখা হয়েছে।

অধিকন্তু ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত খান বাহাদুর আহ্‌ছানউল্লা রচনাবলী, ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত কারবালা ও ইমামবংশের ইতিহাস, ২০১০ সালে Rajshahi University Journal of Arts & Law-এর ৩৮-৩৯ নং বালামের ২৯৮ নং পৃষ্ঠাতে, ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত ইসলামিক একাডেমী পত্রিকার ৩নং বালামের ৫১নং পৃষ্ঠাতে, এমনকি আজ থেকে অনেক আগে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রচিত বিজ্ঞানে মুসলমানদের দান নামক গ্রন্থেও আলোচ্য উত্তর আফ্রিকার জাতিটির নাম হিসেবে "বার্বার জাতি" ব্যবহার করা হয়েছে।

সুতরাং বাংলা ভাষার রচনাবলীতে এই নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাসকারী নৃগোষ্ঠীটির বহুল প্রচলিত নাম হল "বার্বার জাতি", "বর্বর জাতি" নয়, "বার্বার্স জাতি" নয়।

আরও কথা আছে। ইংরেজিতে Nation বা জাতি, এবং Ethnic group বা নৃগোষ্ঠী দুইটি স্বতন্ত্র ভিন্ন ধারণা। এ সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি এড়ানোর জন্যই খুব সম্ভবত ইংরেজি উইকিপিডিয়াতে তারা বহুবচনে Berbers লিখেছে। সেটা বাংলায় "বার্বার্স" করার কোনও দরকার নেই। বাংলায় আমরা "জাতি" কথাটি দ্ব্যর্থবোধকভাবে (একই শব্দের দুই অর্থ) ব্যবহার করি, যেটা দিয়ে nation-ও বোঝায়, ethnic group তথা নৃগোষ্ঠীও বোঝায়। এই দ্ব্যর্থকতার কারণে "বার্বার জাতি" কথাটা বাংলায় এত প্রচলিত। কিন্তু নৃবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমার মতে "বার্বার জাতি" না লিখে "বার্বার নৃগোষ্ঠী" লিখলে সবচেয়ে সঠিক হয়। যাই হোক, সেটা আরেকটা আলোচনার বিষয়। অন্য পরিসরে, অন্য জায়গায় করতে হবে।

আরও কথা আছে। "বার্বার জাতি" হল সম্ভবত ইংরেজি "Berber"-এর প্রতিবর্ণীকরণ। কিন্তু উপরে যেমন অনেকেই উল্লেখ করেছেন, নৃগোষ্ঠীটির নিজ ভাষায় নিজেদের নাম "আমাজিগ" (শেষের গ-টা আরবিতে গাইন দিয়ে লেখা হয়, আসল স্থানীয় উচ্চারণ কী, সেটা বের করতে হবে)। ইদানিং ঐ নৃগোষ্ঠীদের অনেকেই বর্তমানে "বার্বার" নামটি পছন্দ করেনা, কেননা তাদের মতে এটি ঔপনিবেশিক বিজেতা আরব ও ইউরোপীয়দের দেওয়া নাম, যার অর্থ বাংলা "বর্বর"-এর মতোই অর্থাৎ অসভ্য, যার কথা বোঝা যায় না, ইত্যাদি। ভাষিক নৃবিজ্ঞান শাস্ত্রে তাই এই নৃগোষ্ঠীটিকে "বার্বার" বলা হবে, নাকি "আমাজিগ" বলা হবে, সেটি বর্তমানে এটি একটি বিতর্কিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে এবং বিতর্ক চলমান আছে।

এখন আমার উপরের বক্তব্য যদি সঠিক হয় এবং বাকীরা যদি আমার সাথে একমত হন, তাহলে আমাদের হাতে মূলত দুইটি পছন্দ আছে। হয় বাংলা রচনাবলীতে বিগত একশত বছর বা তার বেশি সময় ধরে বাংলাভাষী আকরগ্রন্থ ও অন্যান্য গ্রন্থে প্রচলিত "বার্বার জাতি" নামটি, নতুবা ঐ নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষার নাম (যাকে এই বাংলা উইকিপডিয়াতে আপাতত বার্বার ভাষা লেখা হয়েছে) অনুযায়ী "আমাজিগ জাতি"। আমার মতে দুটির পক্ষেই যুক্তি আছে। ইংরেজি ও অন্যান্য অনেক ভাষাতে "বার্বার" নামটি এখনও টিকে আছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তিত হয়ে "আমাজিগ" হয়ে যেতে পারে, নাও হতে পারে। ইতিমধ্যেই ব্রিটানিকা বিশ্বকোষে শিরোনাম বার্বার রাখলেও ভেতরে প্রথম লাইনেই বিকল্প হিসেবে "আমাজিগ" উল্লেখ করা হচ্ছে, ভাষা ও নৃগোষ্ঠী উভয়ের ক্ষেত্রেই।

সুতরাং আমার মতে বর্তমানে এই নিবন্ধের শিরোনাম উপরের যেকোনও একটি রাখলেই চলে, তবে নিবন্ধের শুরুর লাইনেই অপরটির উল্লেখ থাকতে হবে। এই নিবন্ধের শিরোনাম আমাজিগ জাতি যদি রাখি, তাহলে সামঞ্জস্য রাখার বার্বার ভাষার নিবন্ধের শিরোনামও বদলে আমাজিগ ভাষা রাখতে হবে। সেক্ষেত্রেও "বার্বার ভাষা" নামটি বিকল্প নাম হিসেবে প্রথম লাইনে উল্লেখ করতে হবে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:১৪, ১২ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বার্বার জাতিকে আমাজিগ বা আমাজিঘে পুনর্নির্দেশ করা যেতে পারে। আমাজিগ হতে পারে, তবে গাইন- হিসেবে আমাজিঘ বানানে আমার  সমর্থন -- ~ খাত্তাব ( | | ) ২১:২০, ১২ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
খাত্তাব, আপনার পছন্দ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাজিগ/আমাজিঘ প্রসঙ্গে বলি: আরবি বর্ণ গাইনকে সাধারণত বাংলায় "গ" দিয়েই প্রতিবরণীকরণ করা হয়, "ঘ" নয়। যেমন "পশ্চিম অঞ্চল বা দিক"-কে আরবিতে الْمَغْرِب লেখা হয়, যাতে গাইন আছে, আর বাংলা ভাষায় আমরা প্রতিবর্ণীকরণ করি "মাগরিব" বা "মাগরেব", মাঘরিব/মাঘরেব নয়। আরবিতে "ধনী"-কে الغني বলে, সেটাকে আমরা বাংলায় "গনি/গনী" প্রতিবর্ণীকরণ করি, "ঘনি/ঘনী" নয়। তাই আমার কাছে "আমাজিগ" সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ লাগছে। গাইনকে ইংরেজিতে ওরা gh দিয়ে প্রতিবর্ণীকরণ করেছে, কিন্তু সেটা বাংলা "ঘ" বোঝাচ্ছে না। বাংলাতে গাইনকে আমরা সচরাচর "গ" দিয়েই লিখি। এমনকি আমরা "গাইন" লিখি, "ঘাইন" নয়। আশা করি আমার যুক্তি বুঝতে পেরেছেন।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৪:৩৯, ১৩ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আপনার বক্তব্যে সহমত। তদুপরি এক্ষণে মনে হচ্ছে, আমাজিঘ শব্দটা ঘ-এর কারণে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি সমর্থন সরিয়ে নিচ্ছি। আমাজিগ বানানে স্থানান্তর করা যেতে পারে। -- ~ খাত্তাব ( | | ) ১০:০৯, ১৩ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বার্বার বনাম আমাজিগ পরিস্থিতিটা নিয়ে আরেকটু ঘেঁটে দেখলাম। ২০শ শতকের শেষে ও ২১শ শতকের শুরুতে এসে এই নৃগোষ্ঠীটির আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে এক প্রকারের পুনর্জন্ম ঘটেছে এবং তারা নিজেদেরকে "আমাজিগ" হিসেবে উত্তরোত্তর দাবী করছে। যার ফলে ২০১০-এর দশকে শেষদিকে এসে আলজেরিয়া ও মরক্কোতে তাদেরকে আরও অনেক বেশি মর্যাদা দেওয়া শুরু হয়েছে, তাদেরকে আরবের পরিবর্তে আমাজিগ পরিচয়ে ডাকা হচ্ছে এবং এই রূপান্তর প্রক্রিয়াটি চলমান আছে। ইংরেজিভাষী ও পশ্চিমা বিশ্বে (এমনকি সম্ভবত মাগরেব অঞ্চলের বাইরের আরব বিশ্বেও) "আমাজিগ"-এর এই উত্থানের এখনও পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেনি। যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ৫-৬টি রেফারেন্স গ্রন্থের সবগুলিতে এখন পর্যন্ত (২০২২ সাল পর্যন্ত) Berber-ই প্রচলিত, আমাজিগ নয়। তবে আপাতদৃষ্টিতে আমার মনে হচ্ছে যে প্রবণতাটা এমন যে আগামী এক দশকে "আমাজিগ"-এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়তেই থাকবে, এবং "বার্বার"-এর ব্যহার আস্তে আস্তে কমে যাবে। বর্তমানে ব্যাপারটা একটা রূপান্তরমূলক পর্বের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৪২, ১২ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন