আলাপ:ক্যালকুলাস

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: Yahya কর্তৃক ২ বছর পূর্বে "নাম পরিবর্তন" অনুচ্ছেদে

নাম পরিবর্তন[সম্পাদনা]

বাংলায় এটি কলনবিদ্যা হবে। কেউ পারলে ইতিহাস ঠিক রেখে নামটি পরিবর্তন করে দেন। -- ওহিদ (আলাপ) ১৩:৪৬, ৫ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

করা যায়, কিন্তু নামটি তো অপরিচিত। বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো একাডেমিক সূত্র দেওয়া যাবে, এর পক্ষে? — আদিভাইআলাপ১৭:০১, ৭ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এখানে একটি সূত্র রয়েছে। তবে নামটি অপরিচিত হওয়ায় নাম পরিবর্তনে নিরুৎসাহিত করছি। মেহেদী আবেদীন ১৭:১৪, ৭ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এটা অবশ্যই কোন নির্ভরযোগ্য উৎস বরং আপনি এটা দেখুন, একটু গবেষণা না করে এভাবে মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। -- ওহিদ (আলাপ) ০৮:০৮, ৮ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
বাংলাদেশে সকল অ্যাকাডেমিক বইপত্রে ক্যালকুলাসই ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে কী ব্যবহার হয়, আমি জানি না। আমি গণিতের ছাত্র হয়েও কলনবিদ্যা নামের ব্যবহার এখন পর্যন্ত কোনো বইপত্রে পাইনি। @ওহিদ: আফতাব ভাইয়ের আলাপ পাতায় যে বইয়ের কথা বলেছেন, সেটা কী ভারতের? — ইয়াহিয়া (আলাপঅবদান) - ১৭:৫৮, ৭ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@Yahya: হ্যাঁ, এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। আমাদের এখানে গনিতের সবচেয়ে জনপ্রিয় বই। আমি দেখিনি আলোচনাটি এখানে চলছিল, ধন্যবাদ ইয়াহিয়া ভাই পিং করার জন্য। আমি আমাদের বেলা ইংরেজিটাই ব্যবহার করতাম calculus, বাংলা লেখাটি কম ব্যবহার করতাম। জানি না বাংলাদেশে কি লেখা হয়, তবে যেহেতু বাংলা-উইকিপিডিয়া তাই বাংলায় লেখাটা ঠিক হবে। Class 12-এর গনিতের সবচেয়ে বড় অধ্যায় এইটি, limit, continuity, differentibiliry, Applications of derivatives, Integrals, differential equations.....সব এর মধ্যেই পড়ে। -- ওহিদ (আলাপ) ১৮:১৪, ৭ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

@Meghmollar2017, আফতাবুজ্জামান, Mehediabedin, এবং Yahya: পেয়েছি, এখানে দেখুন -- ওহিদ (আলাপ) ১৮:৫৫, ৭ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

 মন্তব্য প্রথমে এইটি কলনবিদ্যা-ই ছিল ২০০৫ (এখানে দেখুন), ব্যবহারকারী:Zaheen এখানে তিনি পুনর্নির্দেশ সরিয়ে লিখতে শুরু করেন। কারণটি উনি ব্যাখ্যা করে দিলে ভালো হয়। -- ওহিদ (আলাপ) ১৯:১৮, ৭ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
  •  মন্তব্য আমি শিরোনাম কলনবিদ্যা-য় রাখার পক্ষে। বাংলাতে গণিতের শাখাগুলির নামের নিজস্ব পরিভাষা করা আছে। কলনবিদ্যা, অন্তরকলন/ব্যবকলন, সমাকলন/যোগজীকরণ, ইত্যাদি বহু পরিভাষা বাংলায় বহুদিন ধরে সুপ্রতিষ্ঠিত। "ক্যালকুলাস" প্রচলিত ইংরেজি পরিভাষা হিসেবে প্রথম লাইনে উল্লেখ পেতে পারে। কিন্তু নিবন্ধের শিরোনামে ও নিবন্ধের ভেতরে বাংলা পরিভাষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এখানে প্রচলনের যুক্তিটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কেন নয় সেটা উদাহরণ দিয়ে বলি: বাংলা উইকিপিডিয়াতে নিবন্ধে প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারণার শিরোনাম স্কুল বা কলেজ নয়, বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, ইত্যাদি হবে, যদিও স্কুল, হাইস্কুল, কলেজ কথাগুলি কথ্য ও এমনকি লেখ্য ভাষাতেও বহুল ও সম্ভবত বেশিই প্রচলিত। কিন্তু বাংলা উইকিপিডিয়াতে বাংলা পরিভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ঠিক এই যুক্তিতেই কলনবিদ্যা রাখা উচিত, ক্যালকুলাস নয়। ক্যালকুলাস থেকে এখানে পুনর্নির্দেশ থাকতে পারে। প্রথম লাইনে উল্লেখ থাকতে পারে। যারা ইংরেজি পরিভাষাতে আগ্রহী, তাদের সুবিধার্থে নিবন্ধের শেষে পরিভাষা অনুচ্ছেদে ইংরেজি-বাংলা পরিভাষা জোড় দেওয়া যেতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:০৪, ৭ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
[সংযোজন] এটা এক ধরনের দুষ্টচক্রের মত, যার শেষ পরিণাম (বা দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য?) জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনায় বাংলা পরিভাষার ব্যবহার নষ্ট করা। দুষ্টচক্রটা এভাবে কাজ করে। প্রথমে ইংরেজি শব্দের বাংলা পরিভাষা তৈরি করা হয়। কিন্তু সেটির যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় না। তারপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বইপুস্তকে ইংরেজি পরিভাষাকে বাংলা অক্ষরে লিখে চালিয়ে দেওয়া হয় এবং সেটিকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়, কিংবা বাংলা পরিভাষাটি হয়ত সম্পূর্ণ গুম করে দেওয়া হয়। এভাবে খোদ বাংলা পাঠ্যপুস্তকে বাংলা পরিভাষাগুলি এক ধরনের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত নাগরিকে পরিণত হয়। এভাবে বছরের পর বছর চলার পর বলা হয় ইংরেজি থেকে বাংলায় প্রতিবর্ণীকৃত ইংরেজি পরিভাষাটি "প্রচলিত" হয়ে গেছে, সেটাই এখন একমাত্র পরিভাষা, আর বাংলা পরিভাষাটি "অপরিচিত" হয়ে গেছে। এভাবে বাংলা পরিভাষাটি আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে শুরু করে। তারপর বাংলা পরিভাষার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা হয় এই বলে যে ইংরেজি পরিভাষাটি নাকি বাংলায় আত্তীকৃত হয়ে গেছে এবং সেটিই একমাত্র পরিভাষা। অন্ধকে হাইকোর্ট দেখানো আর কি। যারা বাংলার পারিভাষিক মর্যাদা ও অগ্রাধিকারের ব্যাপারে সচেতন, তারা খুব ভালমতোই বোঝে এখানে কী হচ্ছে। আমার মতে বাংলা উইকিপিডিয়ার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বাংলা পরিভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া, এবং সেটা ইংরেজি পরিভাষার বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণের যে বাস্তবতা, সেটাকে অস্বীকার করেই যে সেটা করতে হবে, তা নয়। কিন্তু বাংলায় রচিত বিশ্বকোষে যথাসর্বোচ্চ সম্ভব বাংলা পরিভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:১০, ৮ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
    • @Meghmollar2017, আফতাবুজ্জামান, Mehediabedin, Yahya, এবং Zaheen: আমি একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই, ইয়াহিয়া ভাই বাদে এখানে কয়জন science-এ math নিয়েছিলেন রয়েছেন? যদি থাকেন তাহলে আপনি জানবেন, বাংলায় শব্দটি প্রচলিত ছাএদের মধ্যে(তার জন্যই বই না দেখেও আমার এখনও মনে ছিল)। যেহেতু, সবাই ইংরেজিটা পছন্দ করেন বা সহজ হওয়ায় সেটি অত্যাধিক ব্যবহার করে থাকেন, তাঁর মানে এই নয় এইটি অপরিচিত। আমার মতে শিরনামটি ইংরেজি রাখার পরিবর্তে বাংলায় রাখাটা উচিত, আবার ক্যালকুলাস রাখলেও অসুবিধা নেই, তবে যেহেতু কলনবিদ্যা নামটি সবার দ্ধারা স্বীকৃত এবং নিবন্ধের প্রথমেই উল্লেখ করা হচ্ছে যে কলনবিদ্যা বা ক্যালকুলাস, তাই কলনবিদ্যা-টা রাখা যেতে পারে। আমি যে বইটি উল্লেখ করেছিলাম সেটি নতুন নয়, বহু পুরোনো বহুল প্রচলিত একটি বই যা সবাই ব্যবহার করেন, এই বইটি পড়েই সবাই WBJEE, JEE Main এমনকি কিছু জন JEE Advance-এও উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমি এটাও ব্যাখ্যা করছি, কলনবিদ্যা ব্যবহৃত হয়না কেন? মূলত class 10-এর পর science-এ সবাই ইংরেজিটাই ব্যবহার করেন যেমন: f of x-এর মতো; এর থেকে হয়তো আপনাদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে ব্যাপরটা। calculus-এর দুইটি বড় ভাগ differential calculus (অন্তরকলন) এবং integral calculus (সমাকলন) যা বাংলা লেখা রয়েছে, তাই যেহেতু বাংলা-উইকিপিডিয়া সেহেতু শিরোনামটি বাংলায় লেখার পরামর্শ রইল। এইটি একবার পড়ে নিন। -- ওহিদ (আলাপ) ০৮:০৮, ৮ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
      • আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমি নিজে বিজ্ঞানের ছাত্র। বাংলাদেশের অনেক পাঠ্যপুস্তকে বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে একটা দো-আঁশলা পরিভাষা ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রচলন বেশ কয়েক দশকের; সত্তরের দশকের প্রথমার্ধে সর্বস্তরে বাংলা পরিভাষা প্রচলনের কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তবে তার পরে সেটাতে ভাটা পড়ে। ছাত্র হিসেবে গণিত করতেই ব্যস্ত ছিলাম, পরিভাষার দিকে বেশি নজর দেইনি। কিন্তু তারপরেও এটা বুঝতে কোনও সমস্যা হয়নি এরকম মিশ্র পরিভাষা ব্যবহারের পেছনের কারণ কী। বাঙালি একটু বেশিই অতিথিপরায়ণ। এতে যে বাংলার এক ধরনের সূক্ষ্ম ক্ষতি হচ্ছে, তা সে বুঝতে পারে না। ইংরেজিতে মনোবিজ্ঞানে "স্টকহোম সিনড্রোম" বলে একটা কথা আছে, বাংলায় "স্টকহোম সংলক্ষণ", যেখানে অদ্ভূতভাবে অপহৃত হওয়া ব্যক্তি অপহরকের প্রতি সদয় হয়ে যায়, এমনকি প্রেমেও পড়ে যায়। ভারতবর্ষ থেকে ঔপনিবেশিক ইংরেজদের বিদায় হয়েছে বহুদিন হল, কিন্তু ইংরেজি ভাষার প্রতি একটা সূক্ষ্ম অব্যক্ত আনুগত্য, আর নিজ মাতৃভাষার প্রতি এক সূক্ষ্ম, অব্যক্ত তাচ্ছিল্য অনেকের মধ্যে এখনও আছে, উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে এটার পরিমাণ আরও বেশি। বাংলা উইকিপিডিয়াতে বাংলা পরিভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:৩৪, ৮ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
         মন্তব্য বাংলা উইকিপিডিয়ায় আমাদের বাংলা পরিভাষাকে অগ্ৰাধিকার দেওয়া উচিত এটা নিঃসন্দেহে সত্য কিন্তু আমাদের সেটা করতে যেয়ে এমন অপরিচিত/অপ্রচলিত কিছু যোগ করা উচিত নয়। আমি নিজেও বিজ্ঞানের ছাত্র কিন্তু এই পরিভাষার ব্যবহার আমি বইয়ে কোথাও পাইনি। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন কোন পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব উইকিপিডিয়া নেয়নি, যদি কোনসময় ক্যালকুলাসের চেয়ে কলনবিদ্যা বাংলা ভাষার গণমাধ্যম/পাঠ্যপুস্তকে অধিক প্রচলিত হয়ে যায় সেই সময় এটি ব্যবহারে আপত্তি থাকবে না। —শাকিল (আলাপ · অবদান) ০৩:৫০, ৯ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
        @MdsShakil: আপনার কাছে কি কোন প্রমাণ রয়েছে? সেটা আমাদের কাছে নিয়ে আসেন, আমার মতো। মানছি, উইকিপিডিয়া কোন নামের পরিভাষার পরিবর্তনের নেতৃত্ব নেয়নি তবে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এটা প্রচলিত এবং পরিচিত। বাংলাদেশের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই, তবে অর্ণব ভাইয়ের মন্তব্যটি সঠিক বলে মনে হয়েছে। আমি মনে করতাম বাংলাদেশই এমন দেশ যেখানে বাংলা ভাষাকে ভালোবাসায় গোদা বাংলার ব্যবহার হয়, জানতাম আমাদের এখানেই এমন মিশ্রণ ঘটেছে, কিন্তু অর্ণব ভাইয়ের উত্তরটি শুনে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম যে বাংলাদেশেও সেটাই। আপনি বাংলাদেশের কোন বইতে পড়েছেন? সেটা স্ক্রীনশট তুলে এখানে আপলোড করার পাশাপাশি বইটির নাম ও লেখকের নাম বলেন। বলে সম্প্রদায়কে এটা প্রমাণ করেন যে আপনার বইতে কলনবিদ্যা নয় ক্যালকুলাস লেখা রয়েছে, তাও আবার বিস্তারিতভাবে তা সম্পর্কে। প্রশাসকগণের কাছে বিনীত অনুরোধ, যথাযথ উত্তর না পাওয়া গেলে আমাদের উত্তরটিই ফাইনাল করা হোক। -- ওহিদ (আলাপ) ০৮:৪২, ৯ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@ওহিদ: সুধী, প্রথমেই আপনাকে অনুরোধ করবো, আলোচনার সময়ে দয়া করে ধৈর্য ধরুন। এখানে তাড়াহুড়া বা চাপাচাপির কোনো বিষয়ই নেই, না তো কোনো দলাদলির বিষয় রয়েছে। আলোচনার শেষে একজন নিরপেক্ষ প্রশাসক আলোচনার ঐকমত্য অনুসারে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটি তাদের বিবেচনার বিষয়৷ এখানে “আমাদের উত্তর ফাইনাল” নির্দেশ করাটা এবং সেইমতো অ্যারোগেন্ট হয়ে যাওয়াটা অনুচিত হচ্ছে। জাহিন ভাইয়ের এরকম মন্তব্যও আমাদের কাছে একদমই নতুন নয়। কাজেই সে প্রসঙ্গে আসছি না। আপনাদের উত্তর ফাইনাল করার আগে, আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ইয়াহিয়া ভাই ইতোমধ্যে উত্তর দিয়েছেন এবং তিনি গণিত নিয়েই পড়াশোনা করছেন। কাজেই উনার মন্তব্য একেবারে বাইপাস করে যাওয়াটা অনুচিত হবে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বাংলাদেশে ক্যালকুলাসের বিস্তারিত পাঠ উচ্চতর গণিত প্রথম পত্র এবং পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রে পড়ানো হয়। আমি উচ্চতর গণিতের জন্য এস ইউ আহমেদ ও কেতাবউদ্দিন স্যারের দুইটি বই এবং পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের জন্য শাহজাহান তপন, আমির হোসেন খান এবং শামসুর রহমান সেলু স্যারের তিনটি বই দেখেছি। তাতে ক্যালকুলাসই আছে, “কলনবিদ্যা”-র ন্যূনতম উল্লেখ নেই (সমাকলন, ব্যাবকলন, অন্তর্কলন, যোগজীকরণ ইত্যাদি পরিভাষা কিন্তু রয়েছে)। দুঃখজনকভাবে, বাংলা একাডেমির যেকোনো অভিধানেই না তো “ক্যালকুলাস” আছে, না আছে “কলনবিদ্যা”। ভারতের অভিধানগুলো দেখা এখনও হয়ে ওঠেনি। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা এ জাতীয় অন্য পণ্ডিতি সংস্থার গ্রন্থাবলি দেখার সুযোগ হয়নি। এগুলো থেকে আরও প্রমাণের প্রয়োজন হলে আমি পৃষ্ঠাগুলো আপলোড করে দিয়ে লিংক শেয়ার করে দিতে পারব। এখন, পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে আপনি ভালো জানবেন, কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়ে বলতে গেলে “কলনবিদ্যা” একেবারেই অপরিচিত। ইয়াহিয়া ভাই, শাকিল কিংবা আমার বক্তব্য সেটুকুই। এছাড়া উইকিপডিয়ার নীতিমালার বিষয়টি আগেও উল্লিখিত হয়েছে; আমি তার দ্বিরুক্তি করব না। আমার বার্তাটি অত্যন্ত দীর্ঘ হয়েছে। সময় নিয়ে এটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আপাতত শেষ করছি। — আদিভাইআলাপ০৯:৪৪, ৯ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

দেখুন ভাই, আমিও এখানে কোন অনির্ভরযোগ্য উৎস বা আমার মন থেকে বলছি না, উচ্চস্তরের গনিতের বই দিয়েই বলছি, এবং এটাও বুঝতে পারছি না এমনটি কেন হচ্ছে যে আপনাদের বইতে নেই। আমি এই বিষয়টি নিয়ে আমার এক পরিচিত গনিতের শিক্ষকের সাথে কথা বললাম, তিনিও সেটাই বললেন এবং এটাও জিজ্ঞাসা করলাম বাংলাদেশের বইতে নেই বলে আমার কিছু বন্ধুগণ দাবি করেন। তিনি শুনে অবাক হলেন যে বাংলাদেশে এই নাম অপ্রচলিত। আমি বলছি না আপনাদের কথা ভুল বা এমন কিছু এবং ক্যালকুলাস রাখলেও আমার কোন অসুবিধা নেই, তবে আমাদের মানতে হবে বাংলায় এইটির নিদিষ্ট পরিভাষা রয়েছে। আমি অনলাইনেও খুজে কিছু বাংলাদেশের উৎস পেয়েছি যার উপর বিশ্বাস করা যায়, এবং সেখানে লেখা রয়েছে কলনবিদ্যা। আপনাদের মতো আমিও বিজ্ঞানের ছাত্র, আমিও শুনে অবাক হচ্ছি আপনাদের বইতে নেই। যেমন আপনার বুঝার সুবিধার্থে একটি উদাহরণ দেই, আপনার ফাংশনের ব্যপারটা হয়তো মনে রয়েছে, সবাই কিন্তু ফাংশনই ব্যবহার করে অপেক্ষককের পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় কারণ ইংরেজিটা সোজা এবং বুঝতেও অসুবিধা হয় না। যদি "অপেক্ষক কি?" এমন কোন ব্যক্তিকে যদি বলেন যারা বাংলা পরিভাষাটার প্রতি নজর দেয় না, তাদের কাছে তখন এটি জটিলতায় চলে যায়। আবার যদি বলেন "ফাংশন কি?" তখন ঠিকই মনে পড়ে যায়, একটার উপর থেকে আরেকটা করে। এজন্যই সবাই 'ফাংশন' ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু শিরোনামের ক্ষেত্রে আসলে কি এটা ব্যবহার করা উচিত? না তখন আপনি বলবেন 'অপেক্ষক'। যাইহোক, এখানে অ্যারোগেন্ট হওয়ার কিছু নেই; না আমি বলছি আমিই সবচেয়ে পন্ডিত ব্যক্তি। -- ওহিদ (আলাপ) ০৮:১০, ১০ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

@ওহিদ: এটা আসলে ছবি তুলে প্রমাণের কিছু নাই। কারণ, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা ছাত্রই উচ্চমাধ্যমিকে ক্যালকুলাস পড়েছে। এর চেয়ে উচ্চ শ্রেণিতে বাংলা বই কম পাওয়া যায়, যা পাওয়া যায় তাও বাংলা-ইংরেজির মিশেল। সুতরাং, সেগুলোর রেফারেন্স দেওয়া ঠিক হবে না। আদিব যেরকম বলেছে, সমাকলন, ব্যাবকলন, অন্তর্কলন, যোগজীকরণ ইত্যাদি শব্দগুলোর ব্যবহার আমাদের পাঠ্যপুস্তকে ছিলো, কলনবিদ্যা কোথাও ছিলো না। ভাষাকে তার নিজ গতিতে চলতে দেয়া উচিত। বাংলাকে ভালোবাসি বলেই এখানে অবদান রাখি। তাই অপ্রচলিত পরিভাষা ব্যবহার করে ভাষাকে কঠিন করার পক্ষপাতী আমি নই। উইকিপিডিয়া সবসময় প্রচলিত শব্দ/পরিভাষাকে গ্রহণ করে। আমার কাছে কলকাতার শিশু সাহিত্য সংসদ প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রকাশিত ২০০১ সালের একটি অভিধান আছে। সেটাতে ক্যালকুলাসের অর্থ ‘উচ্চ শ্রেণীর গণিত বিশেষ’ লেখা হয়েছে। — ইয়াহিয়া (আলাপঅবদান) - ১০:৫৭, ১০ জানুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন