আলাপ:ব্রহ্মা
আলোচনা যোগ করুনএই পাতাটি ব্রহ্মা নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
ব্রহ্মা[সম্পাদনা]
সাহিত্য এবং কিংবদন্তী[সম্পাদনা]
বেদোত্তর, মহাকাব্য এবং পুরাণ[সম্পাদনা]
বৈদিক যুগ পরবর্তী সময়ে, ব্রহ্মা ছিলেন একজন বিশিষ্ট দেবতা এবং খ্রিস্টীয় ২য় থেকে ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে তাঁর সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব ছিল। প্রাচীন পুরাণগুলো যেমন ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ বর্ণনা করে যে, তখন কিছুই ছিল না, কিন্তু একটি কারণ সমুদ্র ছিল। যেখান থেকে হিরণ্যগর্ভ নামে একটি স্বর্ণডিম্ব নির্গত হয়। ডিম্বটি ভেঙে উন্মুক্ত হলো এবং ব্রহ্মা, যিনি এর মধ্যে নিজেকে সৃষ্টি করেছেন, প্রকাশিত হয়েছেন (স্বয়ম্ভু নাম লাভ করেছেন)। তারপর, তিনি মহাবিশ্ব, পৃথিবী এবং অন্যান্য বস্তু সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানুষকেও সৃষ্টি করেছেন প্রজাসৃষ্টির জন্য ও তাঁর সৃষ্টিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।[২][৩][৪] যাহোক, সপ্তম শতকের মধ্যে, ব্রহ্মা তাঁর গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেন। পুরাণ কিংবদন্তিতে, তাঁর অবনমনের বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রহ্মা কেনো তাঁর স্থান হারিয়েছেন— সেসম্পর্কে প্রধানত দুটি বিশিষ্ট কিংবদন্তী রয়েছে। প্রথম সংস্করণটি শিব পুরাণে বর্ণিত হয়েছে—একবার ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু তর্ক করছিলেন তাঁদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ। তারপর হঠাৎ তাঁরা একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন এবং একটি বিশাল জ্যোতিস্তম্ভ দেখতে পেলেন। কণ্ঠস্বরটি তাঁদেরকে স্তম্ভের অন্ত খুঁজে বের করতে বলল এবং যে স্তম্ভের অন্ত খুঁজে পাবে সে সর্বশ্রেষ্ঠ হবে। বিষ্ণু স্তম্ভের নিম্নদিকে গেলেন আর ব্রহ্মা উপরের দিকে গেলেন। বিষ্ণু ফিরে এসে নিজের পরাজয় স্বীকার করলেন যে- তিনি স্তম্ভের অন্ত খুঁজে পান নি। অপরদিকে, ব্রহ্মা ফিরে এসে মিথ্যা বললেন যে, তিনি স্তম্ভের শীর্ষ প্রান্ত খুঁজে পেয়েছেন। স্তম্ভটি ছিল আদি শিবলিঙ্গ এবং কণ্ঠটি ছিল শিবের এবং ব্রহ্মার মিথ্যাভাষণ শিবকে ক্ষুব্ধ করে। ক্রুদ্ধ শিব ব্রহ্মাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, তিনি আর কখনও পূজা পাবেন না। ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে, ব্রহ্মার অবনমনের অন্যতম প্রধান কারণ– শৈব ও বৈষ্ণব মতবাদের উত্থান; স্মার্ত মতে, তাঁর পরিবর্তে শক্তিকে প্রতিস্থাপন করা হয়, এবং বৌদ্ধ, জৈন ও এমনকি বৈষ্ণব ও শৈব মতানুসারী হিন্দু কর্তৃক ঘন ঘন আক্রমণ।[৫] হিন্দুধর্মের বেদ-উত্তর গ্রন্থগুলোতে সৃষ্টিতত্ত্বের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে, যার অনেকগুলোতে ব্রহ্মা উল্লেখিত। এর মধ্যে রয়েছে সর্গ (মহাবিশ্বের প্রাথমিক সৃষ্টি) এবং বিসর্গ (গৌণ সৃষ্টি), ভারতীয় চিন্তাধারার সাথে সম্পর্কিত ধারণা যে বাস্তবতার দুটি স্তর রয়েছে, একটি প্রাথমিক যা অপরিবর্তনীয় (আধিভৌতিক ]) এবং অন্যান্য গৌণ যা সর্বদা পরিবর্তিত হয় (অভিজ্ঞতামূলক), এবং পরেরটির সমস্ত পর্যবেক্ষিত বাস্তবতা অস্তিত্বের একটি অবিরাম পুনরাবৃত্তি চক্রের মধ্যে রয়েছে, যে মহাবিশ্ব এবং জীবন আমরা অনুভব করি তা ক্রমাগত সৃষ্ট, বিকশিত, ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং তারপর পুনরায় সৃষ্ট হচ্ছে।[৬] বৈদিক সৃষ্টিতত্ত্বে মুখ্য স্রষ্টা বা বিধাতা হিসেবে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে "ব্রহ্ম" বা "পুরুষ" অথবা "দেবী"[৬][৭] অন্যদিকে, বৈদিক বা বেদোত্তর ধর্মগ্রন্থগুলোতে বিভিন্ন দেব বা দেবীর নাম গৌণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে (প্রায়শ ব্রহ্মার উল্লেখ আছে বেদোত্তর গ্রন্থে)[৮][৬] ব্রহ্মা "গৌণ সৃষ্টিকর্তা" হিসেবে "মহাভারত" বর্ণিত হয়েছেন এবং পুরাণে সবচেয়ে আলোচিত এবং বর্ণিত হয়েছেন।[৯][১০][১১] কিছু গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, ব্রহ্মা, বিষ্ণুর নাভির থেকে সৃষ্ট পদ্ম থেকে আবির্ভূত হয়েছেন এবং ব্রহ্মার মালা থেকে শিব উদ্ভুত হয়েছেন।[১২][১৩] অন্যদিকে, শৈবপুরাণ সমূহে ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু জাত হয়েছেন অর্ধনারীশ্বর থেকে, যিনি অর্ধ শিব এবং অর্ধ পার্বতীর মিলিত রূপ। অথবা, বিষ্ণু, শিব এবং ব্রহ্মা বিভিন্ন কল্পে একে অন্যকে চক্রাকারে সৃষ্টি করেন।[৮][১৪] অপিচ, অন্য পুরাণগুলোতে বর্ণিত হয়েছে, "দেবী", ব্রহ্মাকে সৃষ্টি করেছেন এবং গৌণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে দেবীর আদেশে তিনি জগৎ প্রপঞ্চ সৃষ্টি করেছেন।[১৫] [১৫][১৬] Brahma creates all the forms in the universe, but not the primordial universe itself. ব্রহ্মা এই বিশ্বজগতের সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন, [১] বহু পুরাণে উক্ত হয়েছে, ব্রহ্মার সৃষ্টিকার্য উচ্চতর দেবতার উপস্থিতি এবং শক্তির উপর নির্ভর করে।[১৭] অধিকন্তু, এই মতবাদের মধ্যযুগীয় হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোতে উল্লেখ্য যে, "সগুণ" (মস্তক এবং দেহবিশিষ্ট) ব্রহ্মাই হলেন বিষ্ণু।[১৮] [১৯] Shiva,[২০] or Devi[২১] respectively. বেদোত্তর পৌরাণিক যুগে,[২২] ব্রহ্মা সৃষ্টি করেন, কিন্তু কোনো কিছু পালন বা সংহার করেন না। কিছু হিন্দু গ্রন্থে তিনি, বিষ্ণু (পালনকর্তা), শিব (প্রলয়কর্তা), সমস্ত দেবতা, পদার্থ এবং অন্যান্য প্রাণীর সাথে ব্রহ্ম থেকে আবির্ভূত হয়েছেন বলে কল্পনা করা হয়েছে। হিন্দুধর্মের আস্তিক দর্শনে, দেবতা ব্রহ্মাকে তাঁর সৃষ্টিতত্ত্বের অংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি সমস্ত দেবতার মতো একজন নশ্বর সত্তা এবং যখন মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে, নিরাকার পরব্রহ্মে বিলীন হয়ে যাবে ব্রহ্মা সহ সমস্ত জগৎ প্রপঞ্চ, পরে একটি নতুন মহাজাগতিক সৃষ্টিচক্র (কল্প) পুনরায় শুরু হবে।[২২][২৩]
বৈষ্ণবীয় ভাগবত পুরাণে পুনপুন উক্ত হয়েছে যে, ব্রহ্মার উৎপত্তি "কারণ সমুদ্র" থেকে।[২৪]
এই পুরাণে আরো উক্ত হয়েছে যে, ব্রহ্মা "হরি"(দেবতা বিষ্ণু) এর নাভিকমল হতে কাল এবং মহাবিশ্বের জন্ম মুহূর্তে আবির্ভূত হন। ব্রহ্মা মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করে মোহাচ্ছন্ন, ত্রুটিপূর্ণ এবং সাময়িকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন৷উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref>
ট্যাগে অবৈধ প্যারামিটার
ব্রহ্মার দিবারাত্রি সম্পর্কে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা "অষ্টম অধ্যায়ে" উক্ত হয়েছে— সহস্রযুগপর্য্যন্তমহর্যদ্ ব্রহ্মণো বিদুঃ। রাত্রিং যুগসহস্রান্তাং তেऽহোরাত্রবিদো জনাঃ।।১৭ অর্থঃ- (১৭) মনুষ্যের গণনায় চতুর্যুগসহস্র পর্য্যন্ত যে একটা দিন এবং এরূপ চতুর্যুগসহস্র পর্য্যন্ত ব্রহ্মার যে একটা রাত্রি ইহা যাঁহারা জানেন তাঁহারাই প্রকৃত অহোরাত্রবেত্তা অর্থাৎ দিবারাত্রি প্রকৃত তত্ত্ব জানেন।
অব্যক্তাদ্ ব্যক্তয়ঃ সর্বাঃ প্রভবন্ত্যহরাগমে। রাত্র্যাগমে প্রলীয়ন্তে তত্রৈবাব্যক্তসংজ্ঞকে।।১৮ অর্থঃ- (১৮) ব্রহ্মার দিবসের আগমে অব্যক্ত (প্রকৃতি) হইতে সকল ব্যক্ত পদার্থ উদ্ভূত হয়। আবার রাত্রি সমাগমে সেই অব্যক্ত কারণেই লয়প্রাপ্ত হয়। ব্রহ্মার একদিনে এক কল্প। এই কল্পারম্ভেই সৃষ্টি এবং এই কল্পক্ষয়ে প্রলয়। এইরূপ পুনঃ পুনঃ হইতেছে। সুতরাং মুক্তি না হওয়া পর্য্যন্ত জীবগণকে কল্পে কল্পেই জন্ম মরণ দুঃখ ভোগ করিতে হয়।
ভূতগ্রামঃ স এবায়ং ভূত্বা ভূত্বা প্রলীয়তে। রাত্র্যাগমেহবশঃ পার্থ প্রভবত্যহরাগমে।।১৯ অর্থঃ- (১৯) হে পার্থ, এই সেই ভূতগণই পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণ করিয়া ব্রহ্মার রাত্রি সমাগমে লয় প্রাপ্ত হয়, দিবা সমাগমে আবার অবশ ভাবে (অর্থাৎ স্ব স্ব কর্মের বশীভূত হইয়া) প্রাদুর্ভূত হয়।[২৫]
বিভিন্ন পুরাণে ব্রহ্মা সম্পর্কিত কাহিনী ভিন্ন ভিন্ন এবং সঙ্গতিবিহীন। উদাহরণস্বরূপ, স্কন্দ পুরাণে দেবী পার্বতীকে "মহাবিশ্বের মাতা" বলা হয়েছে এবং তিনি ব্রহ্মা, দেবতা এবং তিন জগতের সৃষ্টিকর্তা বলে উক্ত হয়েছেন। স্কন্দ পুরাণে আরো বলা হয়েছে, তিনি তিন গুণ- সত্ত্ব, রজ এবং তম এবং (প্রকৃতি) এর সমন্বয়ে পরিদৃশ্যমান নশ্বর জগত নির্মাণ করেছেন।[২৬]
বৈদিক শাস্ত্রে 'রজ'-গুণ হিসেবে বিবেচিত ব্রহ্মার উল্লেখ, পুরাণ ও তন্ত্রে দেবতা হিসেবে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। যাহোক, এই গ্রন্থগুলো বলে যে, তাঁর স্ত্রী সরস্বতী এর সত্ত্ব (ভারসাম্যত্ব, সম্প্রীতি, মঙ্গলময়তা, বিশুদ্ধতা, সামগ্রিকতা, গঠনমূলকতা, সৃজনশীলতা, ইতিবাচকতা, শান্তিপূর্ণ, সদগুণ) রয়েছে, যা এইভাবে ব্রহ্মার রজ" (আবেগ, কার্য, গুণমান, ভাল বা খারাপ নয়, এবং ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, স্বকীয়, আবিষ্ট ও গতিশীল) পরিপূরক।[২৭][২৮][২৯]
ব্রহ্মার প্রতিমা[সম্পাদনা]
প্রথাগতভাবে, ব্রহ্মা চার মুখ এবং চার হাত বিশিষ্ট হিসেবে দেখা যায়।[৩০] তাঁর প্রতিটি মুখ চারটি দিককে নির্দেশ করে। তাঁর হাতে কোনো অস্ত্র নেই, বরং তিনি জ্ঞান মুদ্রা এবং সৃষ্টি মুদ্রা ধারণ করেন। এক হাতে তিনি পবিত্র ধর্মশাস্ত্র বেদ ধারণ করেন, দ্বিতীয় হাতে তিনি মালা (জপ মালা) যা কাল বা সময়কে নির্দেশ করে, তৃতীয় হাতে যজ্ঞে আহুতি দেওয়ার স্রুব বা স্রুক এবং চতুর্থ হাতে সৃষ্টির প্রতীক জলপাত্র কমণ্ডলু ধারণ করেন।[৩১][৩২] তাঁর চারমুখ থেকে চার বেদের সৃষ্টি।[৩৩] তাঁকে প্রায়শ ঋষিতুল্য শ্বেতশ্মশ্রু মণ্ডিত, পদ্মে আসীন, শ্বেত(বা রক্তাভ, গোলাপি) বস্ত্র পরিহিত দেখা যায়, তিনি (বাহন) – হংসে বা রাজহংসে উপবিষ্ট।[৩০][৩৪]
সংস্কৃতে রচিত মূর্তি এবং মন্দির নির্মাণের প্রাচীন গ্রন্থ মনসার-শিল্পশাস্ত্র-এর অধ্যায় ৫১ তে উক্ত হয়েছে যে– ব্রহ্মার মূর্তি সোনালি রঙের হওয়া উচিত।[৩৫] এটিতে আরো বলা হয়েছে– ব্রহ্মার প্রতিমায় চতুর্হস্ত, চতুর্মুখ, জটা-মুকুট-মণ্ডিত" অর্থাৎ চুল কোঁকড়ানো, টোপর থাকবে।[৩৫] তাঁর দুই হাতে থাকবে বর মুদ্রা এবং অভয় মুদ্রা, অন্য দুই হাতে একটিতে কমণ্ডলু এবং অপর হাতে অক্ষ বা জপমালা অথবা স্রুক–স্রুব থাকবে।[৩৫] এতে ব্রহ্মা মূর্তির অন্যান্য অংশের বর্ণনা আছে— মূর্তি গায়ে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার এবং নিম্নাঙ্গে চীরবস্ত্র পরিহিত থাকবে। তিনি একা অথবা তাঁর সাথে তাঁর পত্নী দেবী সরস্বতী থাকবে। ব্রহ্মা মুখ্যত বৈদিক যজ্ঞ প্রথার সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিছু বৈদিক যজ্ঞে অবস্থান এবং যজ্ঞ পরিচালনার জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মাকে আহ্বান জানানো হয়।
ব্রহ্মার পত্নী দেবী সরস্বতী।[৩৬][৩৭] দেবী সরস্বতীকে মনে করা হয়–"তাঁর(ব্রহ্মার) শক্তির মূর্ত প্রতীক, সৃষ্টিযন্ত্র এবং শক্তি যা তাঁর কর্মকে চালিত করে।"
ব্রহ্মার প্রতিমা[সম্পাদনা]
প্রথাগতভাবে, ব্রহ্মা চার মুখ এবং চার হাত বিশিষ্ট হিসেবে দেখা যায়।[৩০] তাঁর প্রতিটি মুখ চারটি দিককে নির্দেশ করে। তাঁর হাতে কোনো অস্ত্র নেই, বরং তিনি জ্ঞান মুদ্রা এবং সৃষ্টি মুদ্রা ধারণ করেন। এক হাতে তিনি পবিত্র ধর্মশাস্ত্র বেদ ধারণ করেন, দ্বিতীয় হাতে তিনি মালা (জপ মালা) যা কাল বা সময়কে নির্দেশ করে, তৃতীয় হাতে যজ্ঞে আহুতি দেওয়ার স্রুব বা স্রুক এবং চতুর্থ হাতে সৃষ্টির প্রতীক জলপাত্র কমণ্ডলু ধারণ করেন।[৩১][৩৮] তাঁর চারমুখ থেকে চার বেদের সৃষ্টি।[৩৩] তাঁকে প্রায়শ ঋষিতুল্য শ্বেতশ্মশ্রু মণ্ডিত, পদ্মে আসীন, শ্বেত(বা রক্তাভ, গোলাপি) বস্ত্র পরিহিত দেখা যায়, তিনি (বাহন) – হংসে বা রাজহংসে উপবিষ্ট।[৩০][৩৯]
সংস্কৃতে রচিত মূর্তি এবং মন্দির নির্মাণের প্রাচীন গ্রন্থ মনসার-শিল্পশাস্ত্র-এর অধ্যায় ৫১ তে উক্ত হয়েছে যে– ব্রহ্মার মূর্তি সোনালি রঙের হওয়া উচিত।[৩৫] এটিতে আরো বলা হয়েছে– ব্রহ্মার প্রতিমায় চতুর্হস্ত, চতুর্মুখ, জটা-মুকুট-মণ্ডিত" অর্থাৎ চুল কোঁকড়ানো, টোপর থাকবে।[৩৫] তাঁর দুই হাতে থাকবে বর মুদ্রা এবং অভয় মুদ্রা, অন্য দুই হাতে একটিতে কমণ্ডলু এবং অপর হাতে অক্ষ বা জপমালা অথবা স্রুক–স্রুব থাকবে।[৩৫] এতে ব্রহ্মা মূর্তির অন্যান্য অংশের বর্ণনা আছে— মূর্তি গায়ে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার এবং নিম্নাঙ্গে চীরবস্ত্র পরিহিত থাকবে। তিনি একা অথবা তাঁর সাথে তাঁর পত্নী দেবী সরস্বতী থাকবে। ব্রহ্মা মুখ্যত বৈদিক যজ্ঞ প্রথার সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিছু বৈদিক যজ্ঞে অবস্থান এবং যজ্ঞ পরিচালনার জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মাকে আহ্বান জানানো হয়।
ব্রহ্মার পত্নী দেবী সরস্বতী।[৩৬][৪০] দেবী সরস্বতীকে মনে করা হয়–"তাঁর(ব্রহ্মার) শক্তির মূর্ত প্রতীক, সৃষ্টিযন্ত্র এবং শক্তি যা তাঁর কর্মকে চালিত করে।" ষাগর চক্রবর্তী (আলাপ) ১৮:৪১, ২৪ এপ্রিল ২০২২ (ইউটিসি)
- ↑ ক খ Bryant, Edwin F., সম্পাদক (২০০৭)। Krishna : a sourcebook। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 18। আইএসবিএন 978-0-19-514891-6।
- ↑ Srinivasan, Shalini (এপ্রিল ১৯৭১)। Stories of Creation। Amar Chitra Katha private limited। আইএসবিএন 8184826478।
- ↑ Achuthananda, Swami (২০১৮-০৮-২৭)। The Ascent of Vishnu and the Fall of Brahma (ইংরেজি ভাষায়)। Relianz Communications Pty Ltd। আইএসবিএন 978-0-9757883-3-2।
- ↑ Dalal, Roshen (২০১০)। Hinduism: An Alphabetical Guide (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 78–79। আইএসবিএন 978-0-14-341421-6।
- ↑ "Dalal1" /><ref name="Fall"
- ↑ ক খ গ Tracy Pintchman (1994), The Rise of the Goddess in the Hindu Tradition, State University of New York Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৯১৪২১১২৩, pages 122-138
- ↑ Jan Gonda (1969), The Hindu Trinity, Anthropos, Bd 63/64, H 1/2, pages 213-214
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Stella Kramrisch 1994 pages 205-206
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Bryant, Edwin F., সম্পাদক (২০০৭)। Krishna : a sourcebook। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 978-0-19-514891-6।
- ↑ Sutton, Nicholas (২০০০)। Religious doctrines in the Mahābhārata (1st সংস্করণ)। Delhi: Motilal Banarsidass Publishers। পৃষ্ঠা 182। আইএসবিএন 81-208-1700-1।
- ↑ Asian Mythologies by Yves Bonnefoy & Wendy Doniger. Page 46
- ↑ S. M. Srinivasa Chari (১৯৯৪)। Vaiṣṇavism: Its Philosophy, Theology, and Religious Discipline। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 147। আইএসবিএন 978-81-208-1098-3।
- ↑ Brahma: Hindu god Encyclopædia Britannica.
- ↑ Wendy Doniger O'Flaherty (১৯৮১)। Siva: The Erotic Ascetic। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 125। আইএসবিএন 978-0-19-972793-3।
- ↑ ক খ David Kinsley (১৯৮৮)। Hindu Goddesses: Visions of the Divine Feminine in the Hindu Religious Tradition। University of California Press। পৃষ্ঠা 137। আইএসবিএন 978-0-520-90883-3।
- ↑ Stella Kramrisch (১৯৯২)। The Presence of Siva। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 205–206। আইএসবিএন 0-691-01930-4।
- ↑ Frazier, Jessica (২০১১)। The Continuum companion to Hindu studies। London: Continuum। পৃষ্ঠা 72। আইএসবিএন 978-0-8264-9966-0।
- ↑ Arvind Sharma (২০০০)। Classical Hindu Thought: An Introduction। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 978-0-19-564441-8।
- ↑ Mark Juergensmeyer; Wade Clark Roof (২০১১)। Encyclopedia of Global Religion। SAGE Publications। পৃষ্ঠা 1335। আইএসবিএন 978-1-4522-6656-5।
- ↑ Stella Kramrisch (১৯৯২)। The Presence of Siva। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 171। আইএসবিএন 0-691-01930-4।
- ↑ David Kinsley (১৯৮৮)। Hindu Goddesses: Visions of the Divine Feminine in the Hindu Religious Tradition। University of California Press। পৃষ্ঠা 136। আইএসবিএন 978-0-520-90883-3।
- ↑ ক খ R. M. Matthijs Cornelissen (২০১১)। Foundations of Indian Psychology Volume 2: Practical Applications। Pearson। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 978-81-317-3085-0।
- ↑ Jeaneane D. Fowler (২০০২)। Perspectives of Reality: An Introduction to the Philosophy of Hinduism। Sussex Academic Press। পৃষ্ঠা 330। আইএসবিএন 978-1-898723-93-6।
- ↑ Richard Anderson (1967), Hindu Myths in Mallarmé: Un Coup de Dés, Comparative Literature, Vol. 19, No. 1, pages 28-35
- ↑ ঘোষ, জগদীশ চন্দ্র, অষ্টম অধ্যায়, অক্ষরব্রহ্ম যোগ, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, শ্লোক: ১৭-১৯, https://ekadashimahatma.blogspot.com/2017/09/blog-post_20.html?m=1
- ↑ Nicholas Gier (1998), The Yogi and the Goddess, International Journal of Hindu Studies, Vol. 1, No. 2, pages 279-280
- ↑ H Woodward (1989), The Lakṣmaṇa Temple, Khajuraho and Its Meanings, Ars Orientalis, Vol. 19, pages 30-34
- ↑ Alban Widgery (1930), The principles of Hindu Ethics, International Journal of Ethics, Vol. 40, No. 2, pages 234-237
- ↑ Joseph Alter (2004), Yoga in modern India, Princeton University Press, page 55
- ↑ ক খ গ ঘ Kenneth Morgan (1996), The Religion of the Hindus, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮০৩৮৭৯, page 74
- ↑ ক খ Roshen Dalal (২০১০)। The Religions of India: A Concise Guide to Nine Major Faiths। Penguin Books। পৃষ্ঠা 66–67। আইএসবিএন 978-0-14-341517-6।
- ↑ Thomas E. Donaldson (২০০১)। Iconography of the Buddhist Sculpture of Orissa। Abhinav। পৃষ্ঠা 99। আইএসবিএন 978-81-7017-406-6।
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;bruce86
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Philip Wilkinson and Neil Philip (2009), Mythology, Penguin, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৫৬৬৪২২১১, page 156
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ PK Acharya, A summary of the Mānsāra, a treatise on architecture and cognate subjects, PhD Thesis awarded by Rijksuniversiteit te Leiden, published by BRILL, ওসিএলসি ৮৯৮৭৭৩৭৮৩, page 50
- ↑ ক খ Elizabeth Dowling and W George Scarlett (2005), Encyclopedia of Religious and Spiritual Development, SAGE Publications, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৬১৯২৮৮৩৬ page 204
- ↑ David Kinsley (1988), Hindu Goddesses: Vision of the Divine Feminine in the Hindu Religious Traditions, University of California Press, আইএসবিএন ০-৫২০০৬৩৩৯২, pages 55-64
- ↑ Thomas E. Donaldson (২০০১)। Iconography of the Buddhist Sculpture of Orissa। Abhinav। পৃষ্ঠা 99। আইএসবিএন 978-81-7017-406-6।
- ↑ Philip Wilkinson and Neil Philip (2009), Mythology, Penguin, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৫৬৬৪২২১১, page 156
- ↑ David Kinsley (1988), Hindu Goddesses: Vision of the Divine Feminine in the Hindu Religious Traditions, University of California Press, আইএসবিএন ০-৫২০০৬৩৩৯২, pages 55-64