বিষয়বস্তুতে চলুন

আলাপ:রাজবংশী

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: SABYAROY কর্তৃক ১০ দিন আগে "Difference between Rajbanshi Kshatriya and Koch(Koch-Rajbongshi)" অনুচ্ছেদে

সাহিত্য ভাবনা :[সম্পাদনা]

রাজবংশী ভাষায় কবিতা , গান , নাটক , গল্প রচনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । DINABANDHU ROY18 (আলাপ) ১৫:১৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

রাজবংশীদের পরিচয়[সম্পাদনা]

কোচ জাতির ইতিহাসের একটি বড় অংশ দখল করেছে কোচ রাজবংশ। কোচ হাজো ছিলেন একজন ভূঁইয়া, তার হীরা ও জিরা নামে দুই কন্যা সন্তান ছিল।[১৩] ঐতিহাসিক চরিত্র এই হাজো বড়ো জানুয়ারিতেই লোকজন দ্বারা এখনো পূজিত হন।[১৪][১৫] হীরা ও জিরা দুই বোন হরিয়া মন্ডলকে বিবাহ করেন। জিরা দুই পুত্র সন্তান চন্দন এবং মদনকে জন্ম দেয়। হীরা জন্ম দেয় বিশু (বিশ্ব সিংহ) এবং শিশু (শিষ্য সিংহ)-কে। তাদের মধ্যে বিশু ছিলেন সাহসী ও বিচক্ষণ। তিনিই কোচবিহারের কোচ বা নারায়ণ রাজবংশের আদিপুরুষ।[১৫]

খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকেই কোচ নাম যথেষ্ট পরিচিতি পায়। এই কোচ জাতির অনেকেই একটা সময় নিজেদের বা নিজেকে রাজবংশী জাতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ভুল ভেঙে যায় এবং নিজেকে ‘কোচরাজবংশী’ হিসের পরিচয় প্রদান করেন।[১৬] কোচ এবং রাজবংশী একই জাতি ভুক্ত নয়৷ কিন্তু কোচ বা (কোচরাজবংশী) ভাষা "তিব্বতী-বমী' ভাষা" গোস্ঠী ভুক্ত এবং জাতি গত ভাবে মোঙ্গলীয় গোস্ঠী ভুক্ত। কিন্তু রাজবংশী ভাষা আয' গোস্ঠী ভুক্ত এবং জাতি গত ভাবে রাজবংশী গন (Poundra Kshatriya)। খৃঃ পূর্ব চতুর্থ শতকে, মগধ রাজ মহাপদ্ম নন্দের নিকট পরাজিত হয়ে, এক বিরাট সংখ্যক Poundra Kshatriya, কামরূপের রত্নপিঠে, নেপালে এবং উড়িষ্যায় আশ্রয় নেন। তাই বত'মান সময়েও উড়িষ্যা রাজ্যের Sambalpur এলাকায় বসবাস করছেন এবং ভাষাও রাজবংশী। এমনকি আধুনিক গবেষণার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রাচীন Poundrabardhan এর Poundra Kshatriya গনের ভাষা সময়ের সাথে সাথে, নানা ভাবে পরিবর্তন হয়েছে এবং বত'মান সময়ে সেই ভাষার নাম- রাজবংশী (কামতাপুরী)৷ এমনকি এই ভাষা স্থান ভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন: তাজপুরী, রংপুরী, গোয়ালপাড়ীয়া, সূর্যাপুরী, বরেন্দ্রী, পশ্চিম কামরূপী, বঙ্গ-কামরূপী, বঙ্গ-অসমীয়া। ভাষাবিজ্ঞানী গন প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, বঙ্গ-কামরূপী/বঙ্গ-অসমীয়া ভাষা থেকে সরাসরি সৃষ্টি হয়েছে দুটি ভাষার: ১)বাংলা এবং ২)অসমীয়া। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাজবংশী ভাষা (বঙ্গ-অসমীয়া/বঙ্গ-কামরূপী) বাংলা এবং অসমীয়া ভাষার জননী। কিন্তু ভাষাবিজ্ঞানী গন প্রমাণ করতে সফল হয়েছেন কোচ ভাষা (কোচরাজবংশী ভাষা) "ভোট-বমী" ভাষা বংশের অন্ত:ভুক্ত। বত'মান সময়ে কোচ ভাষার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবিতে কোচ জাতির জনগন "মেঘালয়ে" আন্দোলন করছেন, এমনকি সেই আন্দোলন আসামেও দেখা যাচ্ছে। এখানে কোচরাজবংশী ভাষা বলতে কোচ জাতির ভাষাকে বোঝানো হয়েছে।


কিন্তু ধমা'ন্তকরনের ফলে রাজবংশী জাতি এখন বিভিন্ন ধমে' বিভক্ত। যেমন: হিন্দু, মুসলিম, বুদ্ধিস্ট, খৃস্টান। একটু ভালোভাবে দেখলেই বোঝা যায় রাজবংশী জাতি এবং কোচ (কোচরাজবংশী) জাতির শারীরিক গঠনগত পাথ'ক্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি স্থানে বসবাস করার সুবাদে, কোচ জাতি এবং রাজবংশী জাতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হয়েছে। তার ফলে অনেক কোচ জাতি এবং রাজবংশী জাতির পরিবারে একই মায়ের গভে' জন্ম নেওয়া সন্তানের চেহারায় দুই ভাই বা দুই বোনের চেহারার দুধরনের বৈশিষ্ট্য দেখা দিয়েছে। কিন্তু যেসকল পরিবারে সেই মিশ্রণ ঘটে নি, সেই সকল পরিবারের সন্তান দের চেহারার গঠন এক রকমের। এই মিশ্রণ অধিক দেখা যায় আসামে এবং আসাম ঘেষা পশ্চিমবঙে। অন্যান্ন স্থানেও দেখা যায়। যেসকল পরিবারে এই মিশ্রণ দেখা যায়, সেই সকল পরিবারের পূর্বের পারিবারিক বৈবাহিক ইতিহাস সম্পর্ক অনুসন্ধান করলেই বিষয়টি বুঝতে কোনো অসুবিধা হবে না। দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি স্থানে বসবাস করার সুবাদে অধিকাংশ কোচ জাতির জনগন নিজেদের ভাষা ভুলে গিয়েছেন এবং সেখানে তারা রাজবংশী (কামতাপুরী) ভাষায়, অসমীয়া ভাষায় এবং বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকেন। আগামী দিনে কোচ ভাষার চচা' এবং শিক্ষা দানের ব্যাবস্থা না করা হোলে, এই প্রাচীণ কোচ (কোচরাজবংশী) ভাষা চিরকালের জন্য হারিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে, সেটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।নাংচন (আলাপ) ১৫:৪২, ৫ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)


এই পেজে বারে বারে এডিট করে লেখা হচ্ছে রাজবংশীরা বাঙালি।কিন্তু বেশীরভাগ ঐতিহাসিক তার বিরোধীতা করেন।তাই Unreliable যেসব Source দ্বারা রাজবংশীদের বাঙালি বলে বার বার চিহ্নিত করা হচ্ছে তা বন্ধ করুন। অসম সরকার রাজবংশীদের কোচ-রাজবংশী বলে উল্লেখ করে। বিস্তারিত জানার জন্য ইংরেজি উইকিপিডিয়া দেখুন। নাংচন (আলাপ) ১৪:৪২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আপনি সঠিকই বলেছেন যে রাজবংশীরা বাঙালী নয়, যে যেটাই বলুক না কেন। কিন্তু আর একটি বিষয়ে মতপাথ'ক্য আছে: ১)আসামে বা ভারতের যে সকল কোচ জাতি নিজেদের রাজবংশী ক্ষত্রিয় হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন এক সময়; কিন্তু পরবতী' সময়ে নিজের পুরোনো পরিচিতে ফিরে এসেছেন তারাই হোলেন - "কোচ-রাজবংশী"। কিন্তু যারা পুন্ড্রক্ষত্রিয় (সুজাতক্ষত্রিয), খৃঃ পূর্ব চতুর্থ শতকে নিজেদের রাজবংশী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন, মগধ রাজ মহাপদ্ম নন্দের নিকট পুন্ড্রবধ'নের মহারাজা বধ'ন পরাজিত এবং নিহত হওয়ার পরে মহারাজার পাঁচ পুত্র আত্মীয় স্বজন সহ অনেককে নিয়ে কামরূপের রত্নপীঠে আশ্রয় নেন এবং মহাপদ্ম নন্দের হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের ক্ষত্রিয় পরিচয় গোপন করেছিলেন। তারা যে শুধু কামরূপেই আশ্রয় নিয়েছেন সেটা নয়, ওনারা ওড়িশা এবং নেপালেরও আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাই এখনো ওড়িশার সম্বলপুর সহ সমগ্র ওড়িশায় বসবাস করছেন। এই বিষয়ে অনেক ঐতিহাসিক তথ্যও রয়েছে। পরবর্তী সময়ে রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বমা' ক্ষত্রিয়ত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেন সেটা আমারা সকলেই জানি। সুতরাং পৌন্ড্রক্ষত্রিয়রা রাজবংশী ক্ষত্রিয়। কিন্তু " কোচ-রাজবংশী এবং রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির" এই পাথ'ক্যটাই গুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রধান কারন হোল প্রকৃত ইতিহাসকে চেপে রাখা। SARATBOW (আলাপ) ১৪:১৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন

রাজবংশীরা কোচ,এবিষয়ে চারুচন্দ্র সান্যাল তার Rajbanshis of North Bengal গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।রাজবংশীরা সেসব কোচ যারা ক্ষত্রিয়ত্ব গ্রহণ করে কোচ পরিচয় ত্যাগ করেছিলেন যদিও তা সাময়িক ছিলো। নাংচন (আলাপ) ১৪:৪৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

নাংচন যেই তথ্যসূত্রের উপর ভিত্তি করে বাঙালি বলা হয়েছে সেটি একটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকা। রাজবংশী বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালে আছে এর যথেষ্ট তথ্যসূত্র আছে। আমি কিছুটা সংশোধন করেছি, তবে একেবারে অপসারণ করার যাবে না। জনি (আলাপ) ০২:৩৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
রাজবংশীরা যদি কোচ হন,তাহলে তারা কৈবর্ত কীভাবে হবেন? নতুন আলো পত্রিকা( যা আমরা বাঙালি গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত,যারা অসমীয়াকেও বাংলার উপভাষা বলেন) ছাড়া অন্য কোথাও ফুলটুসি বর্মন এবং কৈবর্ত বিষয়ে উল্লেখ নেই।তাই কোনো Source ছাড়া শুধুমাত্র প্রবন্ধকারের মনগড়া তথ্য উইকিপিডিয়ায় দেওয়া ঠিক নয়। অসমে থাকা রাজবংশীরা বাঙালি পরিচয় দেননা(উদাহরণ শরত চন্দ্র সিংহ,যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন,তার বাড়ি ধুবড়ি জেলায়),এবং রাজবংশীদের জন্য অসমে "কামতাপুর স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ" গঠন করা হয়েছে,সেবিষয়েও কোনো উল্লেখ এখানে নেই।কামতাপুর স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ কোচ-রাজবংশী নামে দেওয়া হয়েছে,তাহলে স্পষ্টতই তারা বাঙালি নয়।তাই এবিষয়ে যতটা শুদ্ধ এবং পক্ষপাতিত্বহীনভাবে লেখা যায় তার চেষ্টা করুন।
ইন্দ্রমোহন রাজবংশী,তার পদবী রাজবংশী কিন্তু তিনি জাতিতে রাজবংশী বা কোচ রাজবংশী নন।
উল্লেখযোগ্য,দক্ষিণবঙ্গ বা বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে কিছু জেএ নিজেদের রাজবংশী পরিচয় দিতে পারেন তবে তাদের সাথে এই রাজবংশীদের সম্বন্ধ নেই।তাই চাইলে তাদের নামে আলাদা পেজ খুলতে পারেন তিয়র রাজবংশী নামে এবং এই পেজটিকে কোচ রাজবংশী নামেও দিতে পারেন।সাধারণভাবে রাজবংশী বলতে কোচ রাজবংশীদেরই বোঝানো হয়। -- নাংচন (আলাপ) ০৩:৪৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
দক্ষিণবঙ্গ বা বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে কিছু জেলে বা তিয়র নিজেদের রাজবংশী পরিচয় দিতে পারেন তবে তাদের সাথে এই উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের সম্বন্ধ নেই।তাই চাইলে তাদের নামে আলাদা পেজ খুলতে পারেন তিয়র রাজবংশী নামে এবং এই পেজটিকে কোচ রাজবংশী নামেও দিতে পারেন।সাধারণভাবে রাজবংশী বলতে কোচ রাজবংশীদেরই বোঝানো হয়। -- নাংচন (আলাপ) ০৩:৪৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
পদবী রাজবংশী হলেই যে, সে রাজবংশী সেটা কিন্তু নয়। যেমন: রায় পদবী গোটা পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতির মধ্যে রয়েছে। যেমন : কোচ-রাজবংশী এবং রাজবংশী-ক্ষত্রিয জাতির পরিচয় গুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক যে দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি স্থানে বসবাস করার সুবাদে দুই জাতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হয়েছে। তাই বলে একই জাতিতো হতে পারে না। ইতিহাস বিকৃত করা কখনই উচিৎ নয়। SARATBOW (আলাপ) ১৪:৩০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন
কোচ জাতির অনেকেই একটা সময় নিজেদের বা নিজেকে রাজবংশী জাতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ভুল ভেঙে যায় এবং নিজেকে কোচ-রাজবংশী হিসের পরিচয় প্রদান করেন। রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি এবং কোচরাজবংশী জাতির মধ্যে পাথ'ক্য এর বিষয়টি অনেকে গুলিয়ে ফেলেছেন।
1872 থেকে 1891 সাল পর্যন্ত, সামাজিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়, কোচের একটি অংশ যারা বর্তমান উত্তরবঙ্গ এবং পশ্চিম আসামে উপজাতীয় বা আধা-উপজাতীয় আকারে ছিল তারা জাতিগত শ্রেণিবিন্যাসের উন্নতির প্রয়াসে নিজেদেরকে তাদের জাতিগত থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল। নিজেদেরকে রাজবংশী (রাজবংশের) হিসেবে বর্ণনা করে পরিচয়। সামাজিক উন্নতির এই প্রয়াস ছিল বর্ণহিন্দুরা যারা কোচকে ম্লেচ্ছ বা বর্বর বলে উল্লেখ করেছে তাদের সম্প্রদায়ের দ্বারা দুর্ব্যবহার ও অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। রাজবংশী শব্দটি কোচ রাজবংশের সাথে গোষ্ঠীটিকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল যারা নিজেদেরকে শিব-বংশী বলে অভিহিত করতেন বিশ্ব সিংহের অধীনে, কোচ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন উপজাতি যারা হিন্দুত্ব এবং 1500 এর দশকের গোড়ার দিকে ক্ষত্রিয় বর্ণে উন্নীত হয়েছিল। এখন তাহারা কোচরাজবংশী জাতি হিসেবে পরিচিত।
1891 সালের জনগননায় রাজবংশী জাতিকে, কোচ জাতির তালিকায় অন্তভুক্ত করার জন্য রাজবংশী জাতির জনগন খিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন। রাজবংশী জাতির জনগন, নিজেদেরকে ক্ষত্রিয়দের একটি প্রাদেশিক জাত প্রমাণ করার জন্য ভাঙ্গা ক্ষত্রিয়র একটি নতুন মর্যাদা দাবি করেছিলেন, ভাঙ্গা ক্ষত্রিয় আন্দোলনটি হরিমোহন রায় খজাঞ্চি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল যিনি "রংপুর ব্রাত্য ক্ষত্রিয় জাতি" প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটিকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য, হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ যেমন কালিকা পুরাণ, যোগিনী তন্ত্র ইত্যাদি থেকে রেফারেন্স সংগ্রহ করে।তারা মূলত ক্ষত্রিয় বর্ণের কিন্তু পরশুরামের দ্বারা ধ্বংসের ভয়ে তাদের জন্মভূমি ছেড়ে আশ্রয় নেয় কামরূপে এবং পরে ভাঙ্গা ক্ষত্রিয় নামে পরিচিতি লাভ করে।এখানে পরশুরাম বলতে খৃঃপূর্ব চতুর্থ শতকের নন্দ রাজ মহাপদ্ম নন্দের কথা বলা হয়েছে। রাজবংশী জাতির জনগন মহাপদ্ম নন্দেকে, পরশুরাম এর সাথে তুলনা করেন এবং তাকে পরশুরাম নামে অবিহিত করেছিলেন।এই বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে সত্য, কোনো বানানো গল্প নয়। পুরাণ তাকে “শেষ শৈশুনাগ রাজা মহানন্দিনের পুত্র এবং তার মা একজন শূদ্র নারী” হিসেবে বর্ণনা করেছে।পুরাণ তাকে একরাত এবং সর্ব-ক্ষত্রান্তক (সমস্ত ক্ষত্রিয়দের বিনাশকারী) হিসাবে বর্ণনা করেছে। তিনি যে ক্ষত্রিয়দের (যোদ্ধা ও শাসকদের) মহাপদ্ম দ্বারা উচ্ছেদ করেছিলেন বলে কথিত, তাদের মধ্যে রয়েছে মিথিলা, কাশি, ইক্ষ্বাকুস, পঞ্চাল, শূরসেন, কুরু, হাইহায়, বিতিহোত্র, কলিঙ্গ, পুন্ড্রবর্ধন এবং অশ্মাক। (Reference: 1) A History of Ancient and Early Medieval India by Upinder Singh, 2) Chandragupta Maurya and His Times by Radhakumud Mukherjee, 3) India in the Age of the Nandas / Chandragupta and Bindusara by Hem Chandra Raychaudhuri.)
1901সালের জনগনার রিপোর্টে পুনরায় রাজবংশী জাতিকে, কোচ জাতির তালিকায় অন্ত:ভুক্ত করার প্রতিবাদে রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বমা'র নেতৃত্বে চুরান্ত আন্দোলন শুরু হয়।রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার নেতৃত্বে রংপুরে ক্ষত্রিয় সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, এটি রাজবংশীদের তাদের কোচের পরিচয় থেকে আলাদা করে দেয়।মিথিলা, কনৌজ, পুরী, রংপুর, কামরূপ এবং কোচবিহারের বিভিন্ন ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়ে ক্ষত্রিয় মর্যাদা লাভে সফলও হন।1911 সালের আদমশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ক্ষত্রিয় মর্যাদা দেওয়া হয়। আন্দোলনটি আর্য বংশোদ্ভূত এবং উচ্চ বর্ণের রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠান অনুকরণ করে উচ্চতর সামাজিক মর্যাদার জন্য সচেষ্ট হওয়ার সাথে সংষ্কৃতিমূলক প্রবণতা প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে লক্ষাধিক রাজবংশী করতোয়া নদীতে স্নান করেন এবং দুবার জন্মের (দ্বিজ) অনুশীলন গ্রহণ করেন, যেমন পবিত্র সুতো (উপনয়ন) পরিধান করা।(Reference: Rajbanshi Kshatriya Jatir Itihas by Upendra Nath Barman.)
দক্ষিণবঙ্গের মেদিনীপুর, 24 পরগণা, হুগলি এবং নদীয়া জেলায় রাজবংশী লোক রয়েছে যারা একই জাতিগত স্টকের অন্তর্গত নয়। SABYAROY (আলাপ) ১৪:২৫, ৩০ মে ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন
সরকার যদি মেনে নেয় যে রাজবংশী ভাষা পৃথক ভাষা তবে একে আবারো কেন বাংলার উপভাষা বলে লেখা হবে?সরকার তো স্বীকৃতি দিয়েই দিলো যে এটি বাংলার উপভাষা নয়।নাংচন (আলাপ) ০৩:৪৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)নাংচন -- নাংচন (আলাপ) ০৩:৪৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
রাজবংশী ভাষা কখনোই বাংলা ভাষার উপভাষা হোতে পারে না। কারন বাংলা একটি আধুনিক ভাষা এবং অনেক ভাষার মিশ্রনে বাংলা ভাষার আধুনিক রূপের সৃষ্টির হয়েছে উনবিংশ শতকে। কিন্তু রাজবংশী ভাষা একটি প্রাচীণ ভাষা। রাজবংশী ভাষা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন: কামতাপুরী, গোয়ালপাড়িয়া, সূর্যাপুরী, তাজপুরী, বরেন্দ্রী, বঙ্গকামরূপী, বঙ্গঅসমীয়া। আবার ভাষাবিজ্ঞানী গনই প্রমাণ করেছেন যে, বঙ্গকামরূপী থেকে বাংলা ভাষা এবং অসমীয়া ভাষা সৃষ্টি হয়েছে। আবার বলা হয়েছে কামরূপী(রাজবংশী) হোল বাংলা ভাষার উপভাষা। কি বিচিত্র বিষয়। SARATBOW (আলাপ) ১৪:৪৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন

উইকিপিডিয়া প্রশাসনের কাছে, শ্রদ্ধেয় স্যার, কিছুক্ষণ আগে আমি একটি খুব গুরুতর বিষয় অনুসরণ করেছি। এই নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে "রাজবংশী এবং কোচ-রাজবংশী" একই কাস্ট। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রাজবংশী কাস্টরা হল ক্ষত্রিয় সম্প্রদায় এবং ভাষা হল রাজবংশী-ভাষা (আরিয়ান)। কিন্তু কোচ-রাজবংশী কাস্ট হল কোচ সম্প্রদায় এবং ভাষা হল কোচ-ভাষা (তিব্বত-বর্মী ভাষা)।কিন্তু বর্তমানে তারা আরিয়ান ভাষায় (কামতাপুরী/রাজবংশী ভাষা) কথা বলে থাকেন। তাই, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, প্রকৃত তথ্য যাচাই করুন। এটা খুবই গুরুতর বিষয়। বর্তমান ভুল তথ্য স্থগিত করা হবে এবং যাচাই করার পর প্রকৃত সঠিক তথ্য আপলোড করুন। The Rajbanshi(Rajbongshi)is a Indo-Aryan speaking community. This subject already prooved by many linguist. (Supported by sources: 1)The Origin and Development of the Bengali language. By Suniti Kumar Chatterjee., 2)Kamtapuri Bhasa Sahityer Ruprekha. By Dharmanarayan Barma., 3)Linguistic to Sociolinguistic Reconstruction. By Mathew WS Toulmin. ধন্যবাদ

Complain[সম্পাদনা]

প্রতি

উইকিপিডিয়া প্রশাসন।

শ্রদ্ধেয় স্যার/ম্যাডাম,

আমি রাজবংশী ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের অন্তর্গত, আমি উইকিপিডিয়া অনুসরণ করি। আমি গত কয়েক মাস উইকিপিডিয়ায় রাজবংশী জনগণের পৃষ্ঠাটি অনুসরণ করি এবং তারপরে আমি অনেকগুলি ভুল অনৈতিক শব্দ এবং তথ্য দেখতে পাই, তারপরে আমি রেফারেন্স সহ ওয়ার্ড এবং তথ্য সংশোধন করার চেষ্টা করি, কিছু শব্দ এবং তথ্য আগে থেকেই সংশোধন করা হয়েছে তবে অনেকগুলি অনৈতিক শব্দ এবং তথ্য বর্তমানে সঠিক নয়। গত দিন আমি রেফারেন্স সহ ভুল তথ্য এবং ওয়ার্ড সংশোধন করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত একজন ব্যক্তির দ্বারা সেই চেষ্টাটি ডিলিট করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ভারতীয় সংবিধানসহ(মৌলিক অধিকার), আমাকে এবং আমার সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। এগুলো খুবই গুরুতর বিষয়।

তাই, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি সমস্ত অনৈতিক কাজ বন্ধ করুন এবং সমস্ত ভুল তথ্য সংশোধন করুন।

ধন্যবাদ, SABYAROY (আলাপ) ১৩:৪৭, ৩০ মে ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন

Difference between Rajbanshi Kshatriya and Koch(Koch-Rajbongshi)[সম্পাদনা]

রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি এবং কোচ-রাজবংশী(কোচ)জাতির মধ্যে পাথ'ক্য (Difference between Rajbanshi Kshatriya and Koch-Rajbonshi):

Rajbanshi Kshatriya এবং Koch-Rajbonshi জাতি একই জাতিভুক্ত নয়। “Rajbanshi Kshatriya জাতি হোল Poundra Kshatriya (Sujat Kshatriya) এবং ভাষা আয' গোষ্ঠী ভুক্ত”। কিন্তু “Koch-Rajbonshi জাতি Koch জাতি ভুক্ত এবং ভাষা তীব্বত-বমী' গোষ্ঠী ভুক্ত”। গৌড়বঙ্গে Rajbanshi Kshatriya জাতির সাথে অনেকটাই মিশ্রণ ঘটেছে দ্রাবিড় এবং অস্ট্রিক জাতির। কামরূপে Rajbanshi Kshatriya জাতির সাথে অনেকটাই মিশ্রণ ঘটে মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর। কিন্তু কামরূপের রত্নপীঠের পশ্চিম অংশে এই দুই ধরনের মিশ্রণ অনেকটাই কম ঘটেছে, সেটা বোঝাও যায়। তাই রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির মধ্যে তিন রকম প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রাথ'ক্যটাই অনেককে বিভ্রান্ত করে থাকে। কোচ এবং রাজবংশী একই জাতি ভুক্ত নয়।কিন্তু কোচ জাতির অনেকেই একটা সময়(1911সালের পরে) নিজেদের বা নিজেকে রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। সেটা হোলো উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীর ক্ষত্রিয় আন্দোলনের প্রভাবে, ব্রাত্য ক্ষত্রিয় গনের সাথে সাথে, কোচ জাতি সহ কিছু অন্য জাতির জনগনও নিজেকে রাজবংশী ক্ষত্রিয় হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন এবং ওনারা নিজের উপধি ( দাস, মন্ডল, সরকার, কোচ, ইত্যাদি পরিবর্তন করে, ব্রাত্য ক্ষত্রিয় গনের সাথে সাথে রায়, বম'ন, সিংহ, চৌধুরী, ইত্যাদি উপধি গ্রহণ করেন।) এই বিষয়টির ব্যপক প্রভাব পরেছিল, নিম্ন আসামে, কোচবিহারে এবং উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে। কিন্তু মজার বিষয় "রায়, চৌধুরী, সিংহ, সিনহা, বম'ন, উপাধীর ব্যবহার রাজবংশী জাতির মধ্যে প্রাচীন কাল থেকেই ছিলো রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, অবিভক্ত পুণি'য়া জেলায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোচ জাতির মধ্যে, সেই ভুল ভেঙে যায় এবং নিজেকে কোচ-রাজবংশী হিসের পরিচয় প্রদান করেন।{যখন পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবী জানিয়ে আসামে আন্দোলন শুরু হয়, তার পর থেকে (বিংশ শতকের শেষ দিকে), সে সময় আসামে "অল কোচ-রাজবংশী স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (আকরাশু)" নামে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরী করা হয়, সেটা আমারা সকলেই জানি।} কোচ বা কোচ-রাজবংশী ভাষা "তিব্বতী-বমী' ভাষা" গোস্ঠী ভুক্ত এবং জাতি গত ভাবে মোঙ্গলীয় গোস্ঠী ভুক্ত। কিন্তু রাজবংশী (কামতাপুরী) ভাষা আয' গোস্ঠী ভুক্ত এবং জাতি গত ভাবে রাজবংশী গন (Poundra Kshatriya)। খৃঃ পূর্ব চতুর্থ শতকে, মগধ রাজ মহাপদ্ম নন্দের নিকট পরাজিত হয়ে, এক বিরাট সংখ্যক Poundra Kshatriya, কামরূপের রত্নপিঠে, নেপালে এবং উড়িষ্যায় আশ্রয় নেন। তাই বত'সময়েও উড়িষ্যা রাজ্যের Sambalpur এলাকায় বসবাস করছেন এবং ভাষাও রাজবংশী। এমনকি আধুনিক গবেষণার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রাচীন Pundrabardhan এর Poundra Kshatriya গনের ভাষা সময়ের সাথে সাথে, নানা ভাবে পরিবর্তন হয়েছে এবং বত'মান সময়ে সেই ভাষার নাম- রাজবংশী (কামতাপুরী) এমনকি এই ভাষা স্থান ভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন: তাজপুরী, রংপুরী, গোয়ালপাড়ীয়া, সূর্যাপুরী, বরেন্দ্রী, পশ্চিম কামরূপী, বঙ্গ-কামরূপী, বঙ্গ-অসমীয়া। ভাষাবিজ্ঞানী গন প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, বঙ্গকামরূপী/বঙ্গঅসমীয়া ভাষা থেকে সরাসরি সৃষ্টি হয়েছে দুটি ভাষার: ১)বাংলা এবং ২)অসমীয়া। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাজবংশী ভাষা (বঙ্গঅসমীয়া/বঙ্গকামরূপী) বাংলা এবং অসমীয়া ভাষার জননী। কিন্তু ভাষাবিজ্ঞানী গন প্রমাণ করতে সফল হয়েছেন কোচ ভাষা (কোচ-রাজবংশী ভাষা)"তিব্বতী-বমী' ভাষা" বংশের অন্ত:ভুক্ত। বত'মান সময়ে "কোচ ভাষা" সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবিতে কোচ জাতির জনগন "মেঘালয়ে" আন্দোলন করছেন, এমনকি সেই আন্দোলন আসামেও দেখা যাচ্ছে। এখানে “কোচ-রাজবংশী ভাষা” বলতে কোচ জাতির ভাষাকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু ধমা'ন্তকরনের ফলে রাজবংশী জাতি এখন বিভিন্ন ধমে' বিভক্ত যেমন: হিন্দু, মুসলিম, বুদ্ধিস্ট, খৃস্টান। নৃ-তাত্বিকভাবে প্রমাণিতই শুধু নয়, আপনি নিজেও যদি একটু ভালোভাবে দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি এবং কোচ (কোচ-রাজবংশী) জাতির শারীরিক গঠনগত পাথ'ক্য।বিশেষ করে “রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি” এবং “কোচ-রাজবংশী(কোচ)জাতির” মধ্যে গায়ের চামড়ার রং, “রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির” লোকেদের তুলনামূলক ভাবে চাপা।, কোচ-রাজবংশী (কোচ) জাতির লোকেদের চোখের নিচের হাড় রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির তুলনায় উঁচু হয়।, কোচ-রাজবংশী (কোচ)জাতির লোকেদের নাকের সামনের অংশ চওড়া ও দুই চোখের মাঝের অংশ চাপা রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির তুলনায়।, কোচ-রাজবংশী (কোচ) জাতির চোখের গঠন রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির তুলনায় ছোট এবং টানা টানা।, কোচ-রাজবংশী (কোচ) জাতির কাঁধ রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির তুলনায় চওড়া এবং শরীর ভারি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি স্থানে বসবাস করার সুবাদে, কোচ-রাজবংশী (কোচ)জাতি এবং রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হয়েছে। তার ফলে অনেক কোচ-রাজবংশী (কোচ) জাতি বা রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির পরিবারে একই মায়ের গভে' জন্ম নেওয়া সন্তানের চেহারায় দুই ভাই বা দুই বোনের চেহারার দুধরনের বৈশিষ্ট্য দেখা দিয়েছে। কিন্তু যেসকল পরিবারে সেই মিশ্রণ ঘটে নি, সেই সকল পরিবারের সন্তানদের চেহারার গঠন এক রকমের। এই মিশ্রণ অধিক দেখা যায় আসামে এবং আসাম ঘেষা পশ্চিমবঙ্গে। অন্যান্ন স্থানেও দেখা যায়। যেসকল পরিবারে এই মিশ্রণ দেখা যায়, সেই সকল পরিবারের পূর্বের পারিবারিক বৈবাহিক ইতিহাস সম্পর্ক অনুসন্ধান করলেই বিষয়টি বুঝতে কোনো অসুবিধা হবে না। কিন্তু বেদনার বিষয় অনেকই বিষয়টি না জেনেই রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি সম্পকে' নানা ধরনের ভুল মন্তব্য করে থাকেন, সেটা কখনোই কাম্য নয়। দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি স্থানে বসবাস করার সুবাদে অধিকাংশ কোচ জাতির জনগন নিজেদের ভাষা ভুলে গিয়েছেন এবং সেখানে তারা রাজবংশী (কামতাপুরী) ভাষায়, বাংলা ভাষায় এবং অসমীয়া ভাষায় কথা বলে থাকেন। আগামী দিনে কোচ ভাষার চচা' এবং শিক্ষা দানের ব্যাবস্থা না করা হোলে, এই প্রাচীণ কোচ (কোচ-রাজবংশী) ভাষা চিরকালের জন্য হারিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে। সেটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এই বিষয়ে কতৃপক্ষের তরফে কিছু একটা ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ। একই ভাবে রাজবংশী (কামতাপুরী) ভাষাকে সংবিধানের অস্টম তফসিলে অন্ত:ভুক্ত করতে হবে এবং রাজবংশী ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মযা'দা দিতে হবে। বত'মানে নেপালের এবং পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ভাষা, রাজবংশী ভাষা। পূজা-পাব'নের দিক দিয়েও রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির সাথে কোচ-রাজবংশী (কোচ) জাতির পাথ'ক্য রয়েছে। দু-একটি উদাহরনও তুলে ধরছি। যেমন: ১)"কোচ-রাজবংশী জাতির" মধ্যে "হুদুমদ্যাও পূজার" প্রচলন রয়েছে, কিন্তু রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির মধ্যে এই পূজার প্রচলন নেই। ২)"রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির" মধ্যে "গম্বীরা (গমীরা)উৎসবের" প্রচলন রয়েছে, কিন্তু কোচ-রাজবংশী (কোচ)জাতির মধ্যে এই উৎসবের প্রচলন নেই। কিন্তু সমস্ত বিষয়েই কিছু না কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেহেতু দুই জাতির মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি স্থানে বসবাস করার সুবাদে। Note: এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উপস্থাপন না করলেই নয়। উপরে উল্লেখ করা "গম্বীরা(গমীরা) উৎসবের" যে জনপ্রিয়তা মালদহ, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, রাজসাহী, কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লক, জলপাইগুড়ি জেলার তরাই অঞ্চলে, শিলিগুড়ি মহকুমাতে এবং অবিভক্ত পূর্ণীয়া জেলায় রয়েছে, তারফলে একটি বিষয় কিন্তু প্রমাণ দিচ্ছে, "রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতি" প্রাচীন পুন্ড্রবধ'নের অধীবাসী। রাজবংশী ক্ষত্রিয় জাতির লোকেরা চতুর্থ খৃষ্টাব্দে প্রাগজোতীষপুরের কিরাতগনকে পরাজিত করে, নতুন রাজবংশের শাসন প্রতিষ্ঠান করেন এবং রাজ্যের নাম দেন "কামরূপ", সেই রাজবংশ কামরূপের বম'ণ বংশ নামে বিখ্যাত। পরবর্তী সময়ে কামরূপে বিভিন্ন রাজবংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, তার মধ্যে রায় বংশের শাসন ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। কামরূপের শেষ মহারাজার নাম পৃথু রায়। মহারাজা পৃথু রায়ের পুত্র সন্ধা রায় কামরূপের পতনের পরে ১২২৮খৃস্টাব্দে " কামতাপুর রাজ্যের" প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে, পঞ্চদশ শতকে কামতাপুরের দখল নেয়,"খেন রাজবংশ"। ১৪৯৮খৃস্টাব্দে কামতাপুর মুসলিম শাসকদের করায়ত্ত হয়। কিন্তু সেই শাসন বেশি দিন টেকেনি। এরপরে কামতাপুর বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে এবং অরাজকতার সৃষ্টি হয়। অবশেষে কোচ জাতির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় কামতাপুরে।(কোচ রাজবংশের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একধরনের গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছিল।) পরবর্তী সময়ে সেই কামতাপুর রাজ্যের নাম হয় কামতাবেহার এবং সবশেষে হয় ইতিহাস খ্যাত "কোচবিহার"। SABYAROY (আলাপ) ০৮:৪১, ৩১ মে ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন