আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুড়া
আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুড়া সংক্ষেপে বরুড়া দারুল উলুম মাদ্রাসা কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসাটি স্থানীয়ভাবে বরুড়া পুরাতন মাদ্রাসা নামেও পরিচিত।[১] মাদ্রাসাটি কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা উপশহরে অবস্থিত। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১৯০৯ সালে (১৩২৭ হিজরি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দারুল উলুম দেওবন্দের পাঠ্যসূচী দ্বারা শিক্ষাক্রম প্রবর্তন করে। এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।[২]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
মাদ্রাসাটি উজানীর পীর মাওলানা ক্বারী ইব্রাহিম (কুতুব রশিদ আহমদ গাংগুহীর খলিফা) এর নির্দেশে তারই খলিফা মাওলানা আফতাবুদ্দিন ১৯০৯ সালে তথা ১৩২৭ হিজরীতে প্রতিষ্ঠা করে। মাদরাসা ১৯০৯ সালে একটি অস্থায়ী ঠিকানায় প্রতিষ্ঠালাভ করে। পরবর্তীতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান ঠিকানা বড়ুরা উপজেলা শহরে স্থানান্তরিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চল ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষাবিপ্লবের সূত্রপাত ঘটায়।
১৮৬৬ সালে ইংরেজ সংস্কৃতির বিপক্ষে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে ঐতিহ্যবাহী ইসলামী প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই একই লক্ষ্যে আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম বরুড়া মাদরাসা স্থাপন করা হয়।
ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপ্তি[সম্পাদনা]
মাদ্রাসাটি বাংলাদেশের প্রধান পাঁচটি বৃহত্তম মাদ্রাসার মধ্যে অন্যতম। মাদ্রাসাটি অত্র এলাকার ছোট ছোট ইসলামিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "বরুড়া কওমি মাদ্রাসা দারুল উলূম পরিদর্শন করলেন ইউএনও আনিসুল ইসলাম"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "কুমিল্লা জেলার বৃহত্তম মাদ্রাসা, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম বরুড়া কুমিল্লা"।
- ↑ "কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ গড় পাশের হার ৭৪.৯৩ %"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৫।
গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]
- আজমী, নূর মুহাম্মদ (২০০৮)। হাদিসের তত্ত্ব ও ইতিহাস। বাংলাবাজার, ঢাকা: এমদাদিয়া পুস্তকালয়। পৃষ্ঠা ২৯৭।
- সাইয়েদ, আহসান (২০০৬)। বাংলাদেশে হাদীছ চর্চা উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। সেগুনবাগিচা, ঢাকা: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১০৪। আইএসবিএন 9842000184।