এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী
এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী | |
---|---|
সচিব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় | |
কাজের মেয়াদ ৯ জানুয়ারি ২০০৬ – ১৮ জুন ২০০৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
কাজের মেয়াদ ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মনোহরগঞ্জ উপজেলা, কুমিল্লা জেলা | ১ জানুয়ারি ১৯৫০
রাজনৈতিক দল | আমার বাংলাদেশ পার্টি (২০২০–বর্তমান) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (২০০৯–২০১৯) |
সন্তান | ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী একজন বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ।[১] তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ১ জানুয়ারী ১৯৫০ সালে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফেনুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।[২] তার পিতা আব্দুল জাব্বার ছিলেন কুমিল্লা দায়রা জুরি বোর্ডের সদস্য। মাতা শাহার বানু।
তিনি ১৯৬৬ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএ ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি বিয়ে করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]
সোলায়মান চৌধুরী ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত সুপিরিয়র পোষ্ট পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭৯ সালে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিষ্টেট পদে ঢাকা জেলায় সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব, পাটকল সংস্থার চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসা চেয়ারম্যান, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রপতির সচিবসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০১ সালে ফেনীর জেলা প্রশাসক, ২০০৬ সালে পর তিনি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সর্বশেষ রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি অবসরে যান। চাকরি শেষে তিনি বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
তিনি ১৯৬৪ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘে যোগ দিয়ে ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে ছাত্রজীবন সমাপ্ত হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদেন। ১৯৭৭ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে থাকায় প্রকাশ্যে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন।
সচিব পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর ২০০৯ সালে পুনরায় তিনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য এবং দলের পেশাজীবীদের সংগঠন জাতীয় পেশাজীবী ফোরামের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেন।[৪]
২ মে ২০২০ সালে আত্মপ্রকাশ হওয়া ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ (এবি পার্টি) নামক নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক ঘোষিত হন তিনি।[৫][৬]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, প্রাক্তন সচিব গণ"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২০।
- ↑ "জন আকাঙ্ক্ষায় যুক্ত হলেন সাবেক সচিব সোলায়মান চৌধুরী"। দৈনিক প্রথম আলো। ৭ ডিসেম্বর ২০১৯। ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২০।
- ↑ "জামায়াত থেকে সাবেক সচিব সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগ"। যমুনা টিভি। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯। ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২০।
- ↑ "জামায়াতে ইসলামী থেকে সাবেক সচিবের পদত্যাগ"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২০।
- ↑ "নতুন রাজনৈতিক দল 'এবি পার্টি'র আত্মপ্রকাশ"। দৈনিক জাগরণ। ২ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সোলায়মান ও মনজুর নেতৃত্বে নতুন দল, উত্তাপ জামায়াত-শিবিরে"। বাংলা ট্রিবিউন। ১ মে ২০২০। ২ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২০।
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৫০-এ জন্ম
- কুমিল্লা জেলার রাজনীতিবিদ
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাংলাদেশের সাবেক সচিব
- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রাজনীতিবিদ
- আমার বাংলাদেশ পার্টি রাজনীতিবিদ
- কুমিল্লা জেলার ব্যক্তি
- বাংলাদেশী সরকারি চাকরিজীবী
- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ