প্রবেশদ্বার:সুফিবাদ
সুফিবাদ প্রবেশদ্বার
সুফিবাদ বা তাসাউফ , (আরবি: الْتَّصَوُّف, ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য: সুফি, মুতাসাউইফ) যাকে বিভিন্নভাবে ইসলামি আধ্যাত্মবাদ, ইসলামের অন্তর্নিহিত রূপ, ইসলামের অন্তর্গত আধ্যাত্মিকতার অদৃশ্য অনুভূতি হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা হয়, তা হল ইসলামে আধ্যাত্মবাদ, যা নির্দিষ্ট মুল্যবোধ, আচার-প্রথা চর্চা, মূলনীতি দ্বারা বিশেষায়িত, যা ইসলামের ইতিহাসের খুব প্রাথমিক দিকে শুরু হয়েছিল, এবং এটি ইসলামের আধ্যাত্মিক চর্চার "প্রধান অভিব্যক্তি ও কেন্দ্রীয় স্বচ্ছতা"কে তুলে ধরে। সুফিবাদের চর্চাকারীরা আখ্যায়িত হয়ে থাকে (আরবি বহুবচন: সুফিয়াহ; সুফিয়ুন; মুতাসায়িফাহ; মুতাসায়িফুন)। ইসলামে তাসাউফের আরেকটি সমার্থক ধারণা হল তাজকিয়া।
ঐতিহাসিকভাবে, সুফিগণ প্রায়শই বিভিন্ন তরিকা বা ধারার অনুসারী - এমন কিছু ধর্মসভা যা কোন মহান শিক্ষাগুরুকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাদের ওয়ালী বলে আখ্যায়িত করা হয়, এবং তারা আনুসারীদের সঙ্গে ইসলামী নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) -এর সরাসরি সংযোগ বা সিলসিলা স্থাপন করেন। এই তরিকাগুলো জাওয়াবিয়া, খানকা বা তেক্কে নামক কোন নির্দিষ্ট স্থানে মজলিস নামক আধ্যাত্মিক বৈঠকে মিলিত হয়। তারা ইহসানের (ইবাদতের পূর্নাঙ্গতা) জন্য সংগ্রাম করে, যা একটি হাদীসে বিস্তারিত বর্নিত আছে: "ইহসান হল এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কর যে, তুমি তাকে দেখছো, অথবা তুমি তাকে না দেখলেও নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন।" সূফিগণ মুহাম্মদ (সাঃ)-কে আল-ইনসান আল-কামিল (প্রথম ব্যক্তি যিনি আল্লাহর নৈতিকতাবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা করেছেন) বলে আখ্যায়িত করে থাকে, এবং তাকে নেতা ও প্রধান আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখে।
সকল সূফি তরিকা মুহাম্মদের কাছ থেকে পাওয়া তাদের অধিকাংশ অনুশাসন তার চাচাতো ভাই ও জামাতা আলীর বরাতে গ্রহণ করে থাকে, এবং তাকে উল্লেখযোগ্য আলাদা ও বিশেষ ব্যক্তি মনে করে।নির্বাচিত নিবন্ধ
সালাফিবাদ ও সুফিবাদ নামক ইসলামের দুটি পৃথক ব্যাখ্যাবিশিষ্ট আন্দোলনের মধ্যকার সম্পর্ক হল ঐতিহাসিকভাবে বৈচিত্র্যময় এবং এটি আজকের দিনে মুসলিম বিশ্বের কিছু পরিবর্তন ও দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে।
সালাফিবাদ হল ইসলামের আক্ষরিক, কঠোর ও সনাতন পদক্ষেপ। পশ্চিমা বিশ্বে একে প্রায়শই সালাফি জিহাদী-মতবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সুফিবাদ হল আত্মার পরিশুদ্ধি (তাসাউফ-তাজকিয়া) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং জান্নাত বা স্বর্গে উচ্চমর্যাদা অর্জনের জন্য ভালো মুসলিম ও ভালো মানুষ হওয়ার দিকে নজর দেয়।
নির্বাচিত জীবনী
হাসান বসরি (আরবি: الحسن بن أبي الحسن البصري; পুরো নাম: আল হাসান ইবনে আবিল হাসান আল বসরি; ৬৪২ – ৭২৮) ছিলেন একজন প্রখ্যাত মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক। ৬৪২ সালে তিনি পারস্য বংশোদ্ভুত পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। উম্মে সালামার ঘরে তিনি বড় হন। হাসান অনেক সাহাবি সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বলা হয় যে বদর যুদ্ধের সত্তরজন সৈনিকদের সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেন। অন্যান্য সুফি তরিকার মতো তিনিও আলীর অনুসারী ছিলেন। তিনি তার প্রজন্মের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১১০ হিজরির ৫ রজব তিনি ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলে সমগ্র বসরার মানুষ তার জানাজায় অংশ নেয়। ফলে প্রথমবারের মতো বসরার জামে মসজিদ আসরের নামাজের সময় খালি হয়ে যায়। অন্যান্য সুফিদের কাছে তিনি দ্রুত একজন অনুকরণীয় ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। সমসাময়িকদের কাছে তার ব্যক্তিত্ব গভীর প্রভাব ফেলে।
আপনি জানেন কি...
সুফিবাদ বিষয়
নির্বাচিত চিত্র
বু আলী শাহ কালান্দার এর মাজার
বিষয়শ্রেণী
উক্তি
- আমি জান্নাত জাহান্নামে অবিশ্বাস করি না। কিন্তু আমার কাছে তাঁর কোনো গুরুত্ব নেই।কেননা, তা আল্লাহর সৃষ্টি মাত্র।
- আমি যে অবস্থায় আছি, তাতে অন্য কোনো সৃষ্ট বস্তুর আমার উপর গুরুত্ব আছে বলে আমি মনে করি না।
- আবুল হাসান খেরকানী (রঃ)
সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার
আপনি যা করতে পারেন
- সম্প্রসারণ প্রয়োজন এমন যে কোন সুফিবাদ নিবন্ধের বিস্তৃত করতে পারেন।
- সুফিবাদ নিবন্ধটি ভালো নিবন্ধ হিসেবে উন্নত করতে সাহায্য করুন।
উইকিপ্রকল্প
সম্পর্কিত উইকিপ্রকল্পসমূহ: