বারাক ওবামার ধর্মের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব
২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের জন্য প্রচারণা চালানোর পর এবং ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বারাক ওবামা গোপনে ইসলাম ধর্ম পালন করেন,[১] বা তিনি খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্বের বিরোধী, অথবা গোপনে অন্য কোনও গূঢ় ধর্মীয় বিশ্বাস ধারণ করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নাগরিকত্বকে ঘিরে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মতো, বিভিন্ন রাজনৈতিক বিরোধী দলের দ্বারা এই দাবীগুলো প্রচার করা হয়, বিশেষ করে আমেরিকান ব্লগার এবং কনজারভেটিভ টক রেডিও হোস্টের মাধ্যমে এই তত্ত্বগুলোকে প্রচার করা হয়।
জনসাধারণের এই দাবিগুলোর উপর অটল বিশ্বাস ছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে, পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে ওবামার রাষ্ট্রপতির স্থায়িত্বকালও প্রসারিত হয়েছিল, ২০১২ সালের একটি ভোটে ১৭% আমেরিকান ( রক্ষণশীল রিপাবলিকান পার্টির এক তৃতীয়াংশ সহ) তাকে মুসলিম মনে করে বলে ভোট দিয়েছিল। [২] [৩]
ওবামা খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিবাদী মতবাদ শাখা পালন করেন। তাঁর বয়স যখন বিশ বছর তখন তিনি ব্ল্যাক গির্জায় যোগদান করেছিলেন। ১৯৯২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত তিনি ট্রিনিটি ইউনাইটেড চার্চ অফ খ্রিস্টের সদস্য ছিলেন—একটি পুনঃর্গঠিত সম্প্রদায়। জেরেমিয়া রাইট বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ওবামা এটি ত্যাগ করেন। তারপর থেকে তিনি ব্যাপটিস্ট, মেথডিস্ট এবং এপিস্কোপ্যালিয়ান গীর্জাসহ বিভিন্ন প্রতিবাদী মতবাদ (খ্রিস্টধর্ম) শাখার গির্জায় যোগদান করেছেন।
- ↑ Demonizing a President: The "Foreignization" of Barack Obama, Martin A. Parlett - 2014, p 126
- ↑ Hayoun, Massoud (জুলাই ২৬, ২০১২)। "US poll shows persistence of Obama Muslim lie"। AFP। নভেম্বর ২, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৩, ২০১৪।
- ↑ Johnson, Luke (জুলাই ২৬, ২০১২)। "17 Percent Of Registered Voters Think Obama Is Muslim, Pew Poll Finds"। Pew Research Center। Huffington Post। জুন ১১, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৩, ২০১৪।