ব্যবহারকারী আলাপ:ড. সেখ রমজান আলি
আলোচনা যোগ করুনগুগলে কাজ অনেক করতে চাই।
বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]
সুপ্রিয় ড. সেখ রমজান আলি! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
কাজে নেমে পড়বার সহজ উপায় হলো নিচের যে-কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা:
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা ( আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা! বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি, ১৩:৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (ইউটিসি) |
স্প্যামিং প্রসঙ্গে সতর্কীকরণ[সম্পাদনা]
প্রিয় ড. সেখ রমজান আলি, আপনি উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন পাতায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেখা যোগের মাধ্যমে স্প্যামিং করছেন। আপনি সম্পাদনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাইলে উইকিপিডিয়া:খেলাঘরে তা করতে পারেন, কিন্তু অনুগ্রহ করে এভাবে স্প্যামিং করবেন না। এরকম করতে থাকলে আপনাকে সম্পাদনায় বাধা প্রদান করা হতে পারে। — তানভির • ১৫:০৩, ৯ মে ২০১৮ (ইউটিসি)
notice[সম্পাদনা]
samping জিনিসটা কি বুঝলাম না ? আর অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেখা বলতে আপনারা কি বলছেন ? ড. সেখ রমজান আলি (আলাপ) ১৭:২১, ৮ আগস্ট ২০১৮ (ইউটিসি)
একাধিক একাউন্টের ব্যবহার[সম্পাদনা]
হ্যালো, ড. সেখ রমজান আলি, উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম ও আপনার অবদানের জন্য ধন্যবাদ। আপনার সম্পাদনার ধরনের মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি উইকিপিডিয়ায় একাধিক একাউন্ট ব্যবহার অথবা উইকিপিডিয়া বহির্ভূত ব্যক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করতেছেন। আমাদের নীতিমালায় উইকিপিডিয়া একাধিক একাউন্ট ব্যবহার সম্পর্কিত আপনার কাজটি সচরাচর সমর্থন করে না। যদি আপনি সরাসরি একাধিক একাউন্ট পরিচালনা অথবা অন্য ব্যক্তির সহায়তায় কাজটি করে থাকেন, অনুগ্রহ করে তা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।রিয়াজ (আলাপ) ১১:৩৭, ১৩ মে ২০২০ (ইউটিসি)
আচ্ছা ড. সেখ রমজান আলি (আলাপ) ১৭:২৫, ১৩ মে ২০২০ (ইউটিসি)
কৃষ্ণচূড়া : বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়[সম্পাদনা]
কৃষ্ণচূড়ার মোহে স্মৃতিরা কথা কয়
--- রমজান আলি
প্রকৃতিরক্ষার প্রথম পাঠ পেয়েছিলাম, গত শতাব্দির আশির দশকের শেষের দিকে। তখন আমরা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। থাকতাম বিবেকানন্দ হোস্টেলে। দুর্গাপুরে বাড়ি ইংরাজি সাহিত্যের স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র, এবং সিনিয়ার দাদা সোমনাথের সঙ্গেই ছিল আমার বেশি পিরিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরাজি বিষয়ের কৃতি ছাত্র সে । সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা নিয়ে তর্কে, তাকে কেউ পেরে উঠে না। টেলিগ্রাফে দু-একটা লেখাও বের হচ্ছে। যাকে বলে চৌখোস ছেলে। তবে একদম নির্ভেজাল প্রকৃতিপ্রেমিক। তারই উদ্যোগে দিল্লিতে মানেকা গান্ধীর সঙ্গে যোগ রেখে, বিশ্ববিদ্যায়ের হোস্টেলে থাকা আমরা আগ্রহীরা সবাই মিলে তৈরি করলাম একটা নেচার ক্লাব। এখনকার মতো তখন এম.এ. ক্লাশে সেমিস্টার সিস্টেম ছিল না। ভর্তি হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পর ৫০ নম্বর করে ষোলটা পরীক্ষা হতো মাসাধিক কাল জুড়ে। তাই সমাজসেবা করার জন্য আমাদের হাতে ছিল অঢেল সময়।
আমরা যারা হাড়-হাভাতে, রবিবারগুলোতে বাড়ি যেতাম না, তারা সব সদস্য পদ নিলাম। তখন টিভিতে ছিল রামায়ণ- মহাভারত সিরিয়ালের রমরমা। রবিবার ১০ টা থেকে হোস্টেলের কমনরুমে সবাই। সোমনাথ দাদা বললে --- " চল্ আমরা এই সময়টা সমাজসেবা করবো।" বললে -- "তোদের বর্ধমানে এই গোলাপবাগে মশার খুব উৎপাত। নার্সকোয়াটারে এখন যেখানটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন হয়েছে, ক'বছর আগেও ওখানটা ছিল মশাদের স্বর্গ রাজ্য। মাত্র ৪৩ - ৫৬ দিনের জীবৎকালে স্ত্রী মশার রক্ত চোষায়, দাপট কম নয়। আমাদের নেচার ক্লাবে সিদ্ধান্ত হলো -- প্রথমে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হোস্টেল ক্যাম্পাস, তারাবাগ, শ্যামলাল, বাবুরবাগে যে ড্রেনগুলো ক্লিয়ার নেই, পরিস্কার নেই, সেগুলো আমরা ক্লিয়ার করবো। আর মশার লার্ভা ড্রেনে যাতে জমতে না পারে তার জন্য হোস্টেলে দুটো ডাবা কিনে এনে মশার ন্যাচারাল-ঘাতক তেচোখা মাছ চাষ করবো। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম আছে, আমরা ওই নামেই অভ্যস্ত ছিলাম। প্রস্তাব মতো কোদাল-বেলচা কিনে কাজ শুরু হলো। দুটো মাটির ডাবা বসানো হলো বিবেকানন্দ হোস্টেলের দুই উইংসের মাঝে, তখনকার ঘাস-জঙ্গলে ঢাকা মাঠটায়। তেচোখা মশার লার্ভা-ভক্ত মাছগুলোকে খাতির আব্দার শুরু হলো। মহাজন টুলির বড়বাজার লাগোয়া গলি থেকে সরু সরু সিমাইয়ের মতো লাল কেঁচো কিনে এনে মাছগুলোকে খেতে দিতাম। মহা আনন্দে তাদের কেঁচো খাওয়া দেখাটাও ছিল আমাদের উপভোগ্য। সাইন্সসেন্টারের উত্তর-পূর্বে কাঁকড়ের রাস্তার পূর্ব গায়ে কোণে তখন বাবুরবাগে প্রবেশের রাস্তায় মাটি পড়ে ড্রেন গিয়েছিল বুজে। তা পরিস্কার করে শুভ সূচনা করা হলো। মাছ ছাড়া হল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাবুর বাগের ড্রেনগুলোতে,, শ্যামলালের ড্রেনগুলোতে , নার্স কোয়াটারের ওখানে ড্রেনগুলোতে, মেডিকেল কলেজের আশেপাশে নালা ও ড্রেনে। এমনকি বর্ধমান স্টেশনে দুইলাইনের মধ্যবর্তী ড্রেনগুলোতে। আজও যখন দেখি নার্স কোয়াটার সংলগ্ন ড্রেনে কিংবা রেলস্টেশন ড্রেনগুলিতে ওই তেচোখা মাছেরা খেলা করে , তখন প্রাণটা আনন্দে ভরে যায় । বারবার মনে পড়ে সোমনাথদার সান্নিধ্যের কথা। আশ্বিনের বিকালে হোস্টেলের বাইরে রোয়াকে বসে একদিন সোমনাথদা বললে -- " তুই তো গাঁয়ের ছেলে, মাটি কোপাতে পারিস্? " বললাম-- "খুব পারি। " বললে -- চল্ ওই ডাবার পাশগুলো পরিস্কার করে, মাটি কুপিয়ে বাগান করবো। কিছু টবও আনবো। তাহলে গত বছর সরস্বতী পূজায় বোটানি ডিপার্টমেন্টের টব চুরির মতো আমাদেরকে আর কেলেংকারিতে পড়তে হবে না। " বললুম - " ঠিকই, ঠিকই। ওহ্ ভিসির সামনে কান ধরে কম উঠবোস করতে হয় নি। " যেই বলা অমনি কাজ শুরু। মাটি তৈরি, ফুলের চারা কেনা। গাছের যত্ন নেওয়া। গাছে ফুল এলে একে একে সবাই হাত লাগাতে শুরু করলো। সেবার সরস্বতী পূজায় আমরাই এগিয়ে। শুরু হলো অন্য হোস্টেলগুলোতেও ফুল চাষ, সৌন্দর্যায়ন। এখন তো আলাদা মালিও আছে। এম.ফিল. করার সময় আমরা দাবি-দাওয়া করে প্রথম পেয়েছিলাম চাচাকে। তিনি একই সঙ্গে বিধান স্ট্যাচুর ওখানটাও দেখতেন। বর্ধমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজকের সরস্বতী পূজা তো ছাত্র-ছাত্রীদের শিল্প চেতনার মহতী প্রকাশ ঘটে। তার মধ্যে বাগান করার ব্যাপারটাও আছে। কোন হোস্টেলে কত ভালো ফুল হয়েছে, সে চর্চাও সমানে চলে। তখনও কৃষ্ণসায়র পার্ক হয়নি। সায়রের উত্তর-পূর্ব কোনটাতে ঠিক জিমনেসিয়াম হলের পিছনে এটা শ্যাওড়া গাছ ছিল। কারও মরতে ইচ্ছা হলে ওই গাছটাতে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে মরতো। খবর পেলেই আমরা শ্যাওড়া গাছের তলায় গিয়ে হাজির। ঝুলতে থাকা মানুষটাকে প্রথমে প্রণাম করতাম এই কারণে, যে সে মরবো বলে পণ করে ব্যাটা কথা রেখেছে। এই বলে ঝুলন্ত মানুষটার পা ধরে আর একবার ঘুরিয়ে দিয়ে বলতাম -- জীবনটা আসলে ঘোরা রে ক্ষ্যাপা, এটাই বুঝলি না। সুমিতাদির ক্লাশে তখন জীবনানন্দের 'আট বছর আগের একদিন' কবিতার পাঠ নিচ্ছি আমরা। লাশ কাটা ঘরের পাশে থেকে, গ্রীষ্মের সকালগুলোতে আমাদের কাজ ছিল ক্যাম্পাসগুলো থেকে কেউ যেন কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া বা বাঁদরলাঠি ফুলের গোছা ভেঙ্গে নিয়ে না পালায়। সে নিয়ে কম খিটকেল হয়নি। আজ যখন প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে গ্রীষ্মের সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাস্তায় হাঁটতে যাই তখন দেখি কৃষ্ণচূড়ার ফুলশাখা ভেঙ্গে সাইকেলে করে নিয়ে যাচ্চে। সুগারধারী কোনো কোনো প্রাত:ভ্রমনকারীর হাতেও সেই ফুল। নিজে হৃদয়রোগী বলে কিছু বলতে পারি না। আসলে তাৎক্ষণিক সৌন্দর্যভোগের মোহে এঁরা কি করছে নিজেরাই জানে না। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারাকান্ডা কিম্বা বাঁদরলাঠি -- এসব তো আমাদের গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ায় ভালে হয়। আরামবাগ রোডে যেতে বা টাউন হলে ঢুকতে লাল কৃষ্ণচূড়া, রশিকপুরে চিলড্রেন পার্ক ঢুকতে সাইকেল সারানো মিস্ত্রির মাথায় হলুদ বাঁদর লাঠি ফুল, কি অপরূপ সৌন্দর্যের বার্তাবাহী। জাপানে গিয়েছিলাম চেরি ব্লুজম দেখতে। রাস্তার ধারে, পাহাড়ের গায়ে পরিকল্পিত ভাবে লাগানো। ফিরে এসে মনে হল আমাদেরই বা কম কি ? শুধু নিতে হবে পরিকল্পনা পাঠ। শহরগুলোর মিউনিসিপ্যালিটি, গ্রামের পঞ্চায়েতগুলে পরিকল্পিতভাবে ফুটপাতে রাস্তার ধারে, এইসব গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করলে আমাদের বঙ্গবাসীর গ্রীষ্মকালটা সুন্দর হয়ে উঠে। ড. সেখ রমজান আলি (আলাপ) ০৩:৩০, ২১ মে ২০২০ (ইউটিসি)
নজরুল[সম্পাদনা]
তোমাকে মালা দিতে গিয়ে -- রমজান আলি
তোমার জন্মৃমত্যু দিনে
তোমার মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে দেখি
তুমি ঢাকা পড়ে গেছো
ঠোঁটটা বাঁকিয়ে কেমন করে তাকালে তুমি
ধমক দিলে না রাগ করলে
তা বুঝে ওঠার আগেই
বিপুল হাততালির মধ্য দিয়ে
পরের জন মালা নিয়ে হাজির
সেই যে বিয়াল্লিশের বিপ্লবে
তুমি নীরব হয়ে গেলে
তারপর চৌঁত্রিশ বছর ধরে তোমাকে
কেউ একটা কথা বলাতে পারে নি
মুজাফফর থেকে শ্যামাপ্রসাদ
কেউ পারেনি, কেউ না, কেউ না
কি নীরব ইস্পাত দৃঢ় অভিমান তোমার !
আর গুরু রবীন্দ্রনাথ ,
সে তো আলাদা পাতা
'বসন্ত' আর 'সঞ্চিতা'র বিনিময়
আজ হাড়ে হাড়ে বুঝি
তোমার অভিমানের কারণ
চুয়াল্লিশ বছর আগে শুধু নয়
আজও তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে হারিয়ে চলেছি
জন্ম নেওয়া সেই মাটির ঘরটা আজ আর নেই নগর সভ্যতা তাকে গ্রাস করেছে হাজী পালোয়ানের মাজারে কিংবা পীরপুকুর মসজিদে তোমার সেই পায়ের ধুলো শ্রাবণ মেঘে ধুয়ে মুছে গেছে।
লেটো গান গেয়ে যে মানুষগুলোকে হাসি খুশিতে চাটাইয়ের উপর শুইয়ে দিতে তারাও আজ আর নেই
অথচ আজ অনেক আছে -- শূন্যতার পর শূন্যতার পাহাড় আছে বজ্র-বিদ্যুৎ ভরা মেঘ আছে প্রেমহীন ভালোবাসা আছে মনুষ্যত্বহীন মানুষ আছে
'সওগাত' আজ আর নেই
আর কেউ 'বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী' লেখে না
আজ 'মুক্তি' নামে কবিতা লিখতে
ভয় পায় মনন
'ক্ষমা' চাওয়ার স্বভাবটাই তো চলে গেছে জেলখানায় বসে সেরম অনশন দেখেছে কেউ ?
তুর্ক মহিলার ঘোমটা কে আর খুলবে ? এখন তো বোরখা পরাতেই ব্যস্ত সবাই
শৈলজাটাকে ওরা তোমার কাছ থেকে
দূরে আটকে রেখেছে
সে আর দেখা করতে আসে না
ঢাকা থেকে বীরেন্দ্র তোমাকে চিঠি লিখতে ভয় পায় গিরিবালাকে বোঝানো হচ্ছে যে তুমি ওর মা হতে পারো না প্রমীলাকে বারবার বলা হচ্ছে আবার আশালতা হও ওয়া পাশ যাও , ওয়া পাশ যাও
দেখে যাও তোমার হাতে গড়া
মজুর-স্বরাজ পার্টি চেহারাটা
শ্রমিকদের কথা আজ আর কেউ ভাবে না
তাদের পায়ে ফোটে বসরার গোলাপ
তোমার 'ধূমকেত', 'লাঙ্গল' এখন মালিকের লাভ দ্যাখে
তোমার সেই সব বন্ধুরা যে যার ধর্মের পথে চলে গেছে ধর্মের যোজন ফাঁকে হাত গলিয়ে মানবতা আজ কান্দে
পোঁ ধরে চলার জন্যই আজ যেন আমাদের জন্ম
এত তেল মালিশেও
মেরুদণ্ডটা সোজা হলো না
সত্যের তরবারিটায় মরচে ধরেছে অসহিষ্ণুতা অসাম্যের সমবেত গানে আমরা গলা মিলিয়েছি
সুযোগ বুঝে তোমার সেই 'কান্ডারী'রা এখন একশো তেত্রিশ কোটি মানুষের গ্রাস কেড়ে তৃপ্তিতে জাবর কাটে
তোমার রক্তে তাদের সর্বনাশ লেখা হয়নি
আজও ভারত সায়রের জলে
কিংবা পাহাড়তলিতে
বন্দিনী ভারতলক্ষ্মীর চিতা-ভষ্ম মেশে
পরশুরাম তার কুঠারটা নিয়ে জঙ্গলে অবিরাম গাছ কেটে চলে সারা জীবন তাকে জঙ্গলমহলই আটকে রাখা হলো
আজো এই পৃথিবীটা নরেই ভর্তি , নারী আর অর্ধেক হলো না।
বিদ্রোহীরাই তো রোমান্টিক তবু তোমার ছবির উপর সাঁটা 'বিদ্রোহী' শব্দটা শত চেষ্টাতেও মলিন হয়নি
তার উপর আবার একটা প্রবাদ
তুমি নাকি 'মুসলমান কবি '
নিজের শাস্ত্রেই এখন নিজের প্রাণটাকে কষে বেন্ধে ফেলেছি আমরা।
তুমি বরং অভিমান করেই থাকো। তুমি বরং প্লাস্টিকের মূর্তিতেই থাকো তোমাকে আঘাত করবে
তোমার মাথাটায় ওরা কোপ মারবে কিন্তু সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না । ড. সেখ রমজান আলি (আলাপ) ১২:৪০, ২৭ মে ২০২০ (ইউটিসি)