মনসুরুল হক (এডমিরাল)
মনসুরুল হক | |
---|---|
পাকিস্তান নৌবাহিনী প্রধান | |
কাজের মেয়াদ ১০ নভেম্বর ১৯৯৪ – ১ মে ১৯৯৭ | |
জাতীয় শিপিং কর্পোরেশন | |
কাজের মেয়াদ ১৭ আগস্ট ১৯৯২ – ৬ নভেম্বর ১৯৯৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মনসুরুল হক ১৬ অক্টোবর ১৯৩৭ Sialkot, Punjab, British India (Present-day Punjab in Pakistan) |
মৃত্যু | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ দুবাই | (বয়স ৮৬)
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | পাকিস্তান |
শাখা | পাকিস্তান নৌবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৫৪–১৯৯৭ |
পদ | এডমিরাল |
ইউনিট | নৌ অপারেশন শাখা |
কমান্ড | কমান্ডার পাকিস্তান ফ্লিট কমান্ডার করাচি ডিজি যৌথ প্রশিক্ষণ at জেএস সদর দফতর DCNS (Personnel) at Navy NHQ DG Naval Intelligence East |
যুদ্ধ | ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
মনসুরুল হক ( উর্দু : منصور الحق; ১ অক্টোবর ১৯৩১ [১] ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) পাকিস্তান নৌবাহিনীর একজন অ্যাডমিরাল ছিলেন যিনি ১৯৯৭ সালে ফ্রান্স থেকে সাবমেরিনগুলির প্রযুক্তি হস্তান্তরকালে দুর্নীতির অভিযোগে বাধ্যতা মূলক অবসরে গিয়েছিলেন।[২]
জীবনী[সম্পাদনা]
মনসুরুল হক ১ অক্টোবর ১৯৩১ সালে মনসুরুল হক ১৯৩৩ সালে পাঞ্জাবী পরিবারে ভারতের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন।[২] শিয়ালকোটে ম্যাট্রিক পাশ করার পরে তিনি মুরে কলেজে পড়ালেখা করেন এবং ১৯৫৪ সালে মিডশিপম্যান হিসাবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।[২] ১৯৫৪ সালে তাকে যুক্তরাজ্যে প্রেরণ করা হয় যেখানে তিনি ইংল্যান্ডের ডার্টমাউথের ব্রিটিয়ানিয়া রয়্যাল নেভাল কলেজে যোগ দিয়ে ১৯৫৭ সালে ভূগোলে স্নাতক হন।[২] ১৯৫৮ সালে নৌবাহিনীতে উপ-লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।[২] ১৯৬৪–১৯৬৫ সালে ভারতের সাথে দ্বিতীয় যুদ্ধে তিনি দায়িত্ব পালন করেন এবং যুদ্ধের পরে পূর্ব পাকিস্তানে নিযুক্ত হন।[২]
১৯৬৯-৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে নিযুক্ত ছিলেন যেখানে তিনি নৌ গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক ছিলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।[৩] ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পরে তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী যুদ্ধ বন্দী হিসাবে গ্রহণ করে এবং পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেন।[৪][৫]
তার কর্মজীবন নেভিতে অত্যন্ত উন্নতি লাভ করে এবং তাকে যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের নেভাল ওয়ার কলেজে পাঠানো হয়েছিল যেখানে তিনি ম্যানেজমেন্ট কোর্সে স্নাতক হন। [৬] ১৯৮৩ সালে ক্যাপ্টেন তাকে এনএইচকিউতে ওয়ান-স্টার অ্যাসাইনমেন্টে পদোন্নতি দেওয়া হয়। [৬] ১৯৮৫-৮৯ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবং পরবর্তীতে জেএস সদর দফতরের যৌথ প্রশিক্ষণের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করার আগে দু-তারকা তারকা রেঙ্কে পদোন্নতি পাওয়ার আগে তাকে সিনিয়র বহর কমান্ডার পদে (সিওএমপিএকে) নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৯১-৯২ সালে কমান্ডার করাচি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।[৭]
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে পরিবারের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে দুবাইয়ে তার তার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করেন এবং করাচির সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে জানা গেছে। [৮]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Pakistan, Tareekh e। "پاک بحریہ کے سربراہ۔ ایڈمرل منصور الحق"। www.tareekhepakistan.com। ২৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Pakistan, Tareekh e (১৯৯৪)। "Admiral Mansur ul Haq (پاک بحریہ کے سربراہ۔ ایڈمرل منصور الحق)"। www.tareekhepakistan.com (উর্দু ভাষায়)। Tareekh e Pakistan (پاک بحریہ کے سربراہ۔ ایڈمرل منصور الحق))। ২৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (id) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Kazi, Dr. AGN (১৯৭১)। "Gen Abdul Hamid Khan meets Lt Cdr (later Admiral) Mansur ul Haq in East Pakistan, 1971"। Flickr (ইংরেজি ভাষায়)। AGN Kazis' file। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Tariq, Kamala (১৯ মে ২০০৫)। "KARACHI: Notice issued on Mansur's petition"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। Karachi, Pakistan: Dawn newspapers, 2005। Dawn newspapers। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Sirohey, Iftikhar Ahmed (১৯৯৫)। Truth Never Retires: An Autobiography of Admiral Iftikhar Ahmed Sirohey (ইংরেজি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Jang Publishers। পৃষ্ঠা 592।
- ↑ ক খ Economic Review, Volume 24, Page 94 - Economic & Industrial Publications., 1993
- ↑ Pakistan Year Book। East & West Publishing Company। ১৯৯২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Admiral (r) Mansurul Haq passes away at 81"। www.pakistantoday.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৮।