বিষয়বস্তুতে চলুন

ম্যাথিউ মেসেলসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ম্যাথিউ মেসেলসন
জন্ম
ম্যাথিউ স্ট্যানলি মেসেলসন

(1930-05-24) ২৪ মে ১৯৩০ (বয়স ৯৪)
ডেনভার, কলোরাডো, যুক্তরাষ্ট্র
জাতীয়তাআমেরিকান
মাতৃশিক্ষায়তনশিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় (Ph.B., 1951)
ক্যালটেক (Ph.D., 1957)
পরিচিতির কারণ
পুরস্কারগুগেনহেইম ফেলোশিপ, ম্যাকয়ার্থার ফেলোস প্রোগ্রাম জিনিয়াস অ্যাওয়ার্ড, জেনেটিকস সোসাইটি অব আমেরিকা - থমাস হান্ট মর্গান মেডেল ফর লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশান্স, লাস্কের অ্যাওয়ার্ড ফর স্পেশাল অ্যাচিভমেন্ট ইন মেডিকেল সায়েন্স
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্র
প্রতিষ্ঠানসমূহ
অভিসন্দর্ভের শিরোনামI. Equilibrium sedimentation of macromolecules in density gradients with application to the study of deoxyribonucleic acid. II. The crystal structure of N,N-dimethyl malonamide (১৯৫৭)
ডক্টরাল উপদেষ্টালিনাস পাউলিং
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীমার্ক টাশ্যান, সুসান লিন্ডকুইস্ট, রিচার্ড আই মোরিমোটো, সিডনি অল্টম্যান, ন্যান্সি ক্লেকনার, স্টিভেন হেনিকফ

ম্যাথিউ স্ট্যানলি মেসেলসন (২৪ মে ১৯৩০-)একজন জিনতত্ত্ববিদ। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একজন আণবিক জীববিজ্ঞানী । ফ্রাঙ্কলিন স্টাহল এর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ডিএনএর অর্ধসংরক্ষণশীল অনুলিপন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছেন। লিনাস পাউলিং এর অধীনে ক্যালিফোর্নিয়া প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট হতে পিএইচডি সম্পন্ন করার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬০ সালে মেসেলসন অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এখন প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিষয়ের টমাস ডাডলি ক্যাবট অধ্যাপক।

নাইট্রোজেন আইসোটোপের লেবেলিং বা স্তরায়নের মাধ্যমে ১৯৫৮ সালে মেসেলসন ও স্টাহল প্রমাণ করেন, ডিএনএ অর্ধসংরক্ষণশীল পদ্ধতিতে অনুলিপ্ত হয়। এটি "মেসেলসন স্টাহল পরীক্ষা" নামে পরিচিত।[১] মেসেলসন, ফ্রাসোয়াঁ জ্যাকব ও সিডনি ব্রেনার ১৯৬১ সালে বার্তাবাহক ডিএনএর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। মেসেলসন কোষে ডিএনএ মেরামতের পদ্ধতি নিরূপণ করেন। কীভাবে বহিঃস্থ ডিএনএ সমূহ কোষ ধ্বংস করে, সে নিয়েও তিনি তদন্ত করেছেন। তিনি ও ভের্নার আর্বার যৌথভাবে রেস্ট্রিকশন এনজাইম আবিষ্কার করেছেন।

১৯৬৩ সাল থেকেই মেসেলসন রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আগ্রহী। তিনি অনেকগুলো সরকারি সংস্থার পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। নিক্সন প্রশাসনে তিনি হেনরি কিসিঞ্জার এর অধীনে রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনকে জৈব অস্ত্র ব্যবহার ও রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন বন্ধে উদ্যোগ নিতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। এগুলো বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরেও তিনি আগ্রহ পোষণ করেন। ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক জৈব অস্ত্র চুক্তিরূপে এটি স্বাক্ষরিত হয়।

মেসেলসন মার্কিন বিজ্ঞান একাডেমি হতে আণবিক জীববিদ্যা বিষয়ে পুরস্কার, আমেরিকান বিজ্ঞানী ফেডারেশন হতে জনসেবা পুরস্কার ও নিউ ইয়র্ক বিজ্ঞান একাডেমির প্রেসিডেন্সিয়াল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি আমেরিকান বংশগতীয় সমিতি হতে টমাস হান্ট মর্গান পদক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য লাস্কার পুরস্কার লাভ করেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মেসেলসনের বিজ্ঞানাগার যৌন জননের জৈব ও বিবর্তনিক প্রকৃতি বিষয়ে আলোকপাত করে। তার অনেক ছাত্রই এখন স্বনামধন্য জীববিজ্ঞানী হিসেবে দেশে-বিদেশে সমাদৃত। এদের মধ্যে রয়েছেন- সিডনি অল্টম্যান, মার্ক টাশ্যান, সুসান লিন্ডকুইস্ট, স্টিফেন এফ হাইনেম্যানরিচার্ড আই মোরিমোটো

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

মেসেলসন ১৯৩০ সালের ২৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি অগ্রিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিপ্লোমা অর্জন করার চেষ্টা করলেও তিন বছর মেয়াদী শারীরিক শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম না হওয়ায় তার এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। উপায়ান্তর না দেখে ১৯৪৬ সালে ১৬ বছর বয়সে মেসেলসন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিষয়ে ভর্তি হন।

কিন্তু রসায়ন বা পদার্থবিজ্ঞানের মতো বিশেষায়িত বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ না থাকায় মেসেলসন পরবর্তীতে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ভর্তি হন। তারপর তিনি ১৯৪৯ সালে ইউরোপ চলে যান। ইউরোপ থেকে প্রত্যাবর্তন করে ক্যালটেক-এ তিনি লিনাস পাউলিং এর অধীনে রসায়ন অধ্যয়ন করেন এবং তার সঙ্গে হিমোগ্লোবিন এর গঠন নিয়ে কাজ করেন।[২]

এরপর মেসেলসন আবার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৫৩ সালে সিয়েরা মাদ্রে শহরে পাউলিং তার নিজ বাসার এক পার্টিতে মেসেলসনকে পুনরায় ক্যালটেকে লেখাপড়া করার অনুরোধ করেন। লেখাপড়া শেষে ক্যালটেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর ১৯৬০ সালে তিনি হার্ভার্ডে যোগ দেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Meselson, Stahl, and the Replication of DNA. A History of "The Most Beautiful Experiment in Biology", Frederic Lawrence Holmes, Yale University Press (2001)
  2. "Interview with Matthew Meselson"BioEssays25 (12): 1236–1246। 13 নভেম্বর, 2003। ডিওআই:10.1002/bies.10374 – Wiley Online Library-এর মাধ্যমে।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]