রেড হট চিলি পেপার্স
রেড হট চিলি পেপার্স | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র |
ধরন | ফাঙ্ক রক, অল্টারনেটিভ রক, ফাঙ্ক মেটাল |
কার্যকাল | ১৯৮৩ | –বর্তমান
লেবেল | ইএমআই, ওয়ার্নার ব্রস. |
সদস্য | অ্যান্থনি কিডেস ফ্লী চ্যাড স্মিথ জশ ক্লিংহফার |
প্রাক্তন সদস্য | হিল্লেল স্লোভাক জ্যাক শেরমান ডুয়েইন ম্যাকনাইট জন ফ্রুশ্যান্টে এরিক মার্শাল জেসি টোবিয়াস ডেভ নাভারো জ্যাক আয়রন্স ক্লিফ মার্টিনেয ডি এইচ পেলিগ্রো |
ওয়েবসাইট | redhotchilipeppers |
রেড হট চিলি পেপার্স (সংক্ষেপে "দ্য চিলি পেপার্স" বা "আরএইচসিপি") একটি আমেরিকান রক ব্যান্ড যা গঠিত হয়েছিল ১৯৮৩ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে। দলটির সঙ্গীতের ধরন মুলত ফাঙ্ক ও রকের মিশ্রণ, এছাড়াও অন্যান্য জেনার যেমন পাঙ্ক রক এবং সাইকেডেলিক রক। বর্তমানে সদস্যরা হলেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এন্থনি কিডিস (কন্ঠ) এবং ফ্লী (বেজ), দীর্ঘদিনের ড্রামার চ্যাড স্মিথ, গীটারবাদক জশ ক্লিংহফার। রেড হট চিলি পেপার্স ৭ টি গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড জিতেছে, এবং সারাবিশ্বে ৮০ মিলিয়নের অধিক রেকর্ড বিক্রি করে সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রিত ব্যান্ড তালিকায় অবস্থান করে নিয়েছে।[১] ২০১২ সালে তারা রক এ্যন্ড রোল হল অব ফেইমে নিজেদের নাম লেখায়।
ব্যান্ডের মুল সদস্যদের মাঝে ছিলেন গিটারবাদক হিল্লেল স্লোভাক, ড্রামার জ্যাক আয়রন্স এবং সাথে ছিলেন কিডিস এবং ফ্লী। অন্যান্য ব্যান্ডের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকায়, ১৯৮৪ সালে ব্যান্ডের প্রথম দ্য রেড হট চিলি পেপার্স অ্যালবামে ছিলেন না স্লোভাক ও আয়রন্স। প্রথম দুটি রেকর্ডের ড্রামার ছিলেন ক্লিফ মার্টিনেয (আয়রন্স বাজান তৃতীয়টিতে), এবং গীটারবাদক জ্যাক শেরমান বাজান প্রথমটিতে। স্লোভাক বাজান ব্যান্ডের ২য় ও ৩য় ফ্রিকি স্টাইলি (১৯৮৫) ও দ্য আপলিফট মোফ পার্টি প্ল্যান (১৯৮৭) অ্যালবামে। স্লোভাক ১৯৮৮ সালে অতিমাত্রায় হিরোইন সেবনের ফলে মারা যান। বন্ধুর মৃত্যুর কারণে ড্রামার আয়রন ব্যান্ড ত্যাগ করেন। পার্লামেন্ট-ফাঙ্কাডেলিকের গীটারবাদক ডুয়েইন ম্যাকনাইটকে স্লোভাকের পরিবর্তে আনা হয়। ব্যান্ডে তার অবস্থান ছিল স্বল্পকালীন এবং ১৯৮৮ সালেই তার পরিবর্তে আনা হয় জন ফ্রুশ্যান্টেকে। ডেড কেনেডি'স এর প্রাক্তন ড্রামার ডি এইচ পেলিগ্রোকে আনা হয় আয়রন্স এর পরিবর্তে যদিও একই বছরেই তার পরিবর্তে আনা হয় চ্যাড স্মিথকে। ফ্লী, কিডিস , ফ্রুশ্যান্টে ও স্মিথ সমন্বিত লাইন-আপ ব্যান্ডের সরবাধিক দীর্ঘকালীন লাইন-আপ। তারা একসাথে পাঁচটি স্টুডিও অ্যালবাম করেন যার শুরু হয় ১৯৮৯ সালের মাদার'স মিল্ক দিয়ে। ১৯৯০ সালে ব্যান্ডটি ওয়ার্নার ব্রস. এর সাথে চুক্তি করে এবং রিক রুবিন এর অধীনে কাজ করে। ১৯৯১ সালের ব্লাড সুগার সেক্স ম্যাজিক ছিল প্রথম ব্যাবসাসফল অ্যালবাম। ফ্রুশ্যান্টে ব্যান্ডের সফলতায় অস্বচ্ছন্দ বোধ করতে থাকেন এবং হঠাত করেই ১৯৯২ সালে ওয়ার্ল্ড ট্যুর মাঝখানে তে ব্যান্ড ত্যাগ করেন।
ট্যুর শেষ করার জন্য নিয়োগ করা হয় এরিক মার্শালকে। এরপর আসেন জেসি টোবিয়াস এবং কয়েক সপ্তাহ পর তাদের পরবর্তী অ্যালবাম ওয়ান হট মিনিট (১৯৯৫) এর জন্য আনা হয় জেইন'স এডিকশনের ডেভ নাভারোকে। যদিও ব্যাবসাসফল, তবুও ব্লাড সুগার সেক্স ম্যাজিক এর অর্ধেক সংখ্যক রেকর্ড বিক্রি করে এর জনপ্রিয়তার হিসেবে নগন্যই থাকে অ্যালবামটি। ১৯৮৮ সালে নাভারো কে বহিষ্কার করা হয়।[২] একই বছর ফ্লীর অনুরোধে মাদকাসক্তি পুনর্বাসনের পর ফ্রুশ্যান্টে পুনরায় ব্যান্ডে যোগ দেন। এরপর এই চতুষ্টয় ফিরে আসেন ক্যালিফোর্নিক্যাশন (১৯৯৯) এর মধ্য দিয়ে। এই অ্যালবামটি ছিল ব্যান্ডের সব'চে বড় বাণিজ্যিক সাফল্য, যার প্রায় ১৬ মিলিয়ন কপি বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়। এর তিন বছর প আসে বাই দ্য ওয়ে (২০০২), এবং তার চার বছর পর আসে স্টেডিয়াম আর্কেডিয়াম (২০০৬)। এরপর ২০০৯ সালে ফ্রুশ্যান্টে ব্যান্ড ত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর ব্যান্ডে যোগ দেন জশ ক্লিংহফার, যিনি স্টেডিয়াম আর্কেডিয়াম ট্যুর এ ব্যান্ড সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন। পরবর্তিতে ব্যান্ডটি তাদের দশম অ্যালবাম আ'ম উইথ ইউ এর কাজ করে প্রায় দেড় বছর ধরে এবং ২০১১ সালে তা প্রকাশ করে। অ্যালবামটি ১৮টি দেশে টপ চার্টে স্থান করে নেয় এবং এর ওয়ার্লড ট্যুর ২০১৩ এর এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর ব্যান্ডটি আরেকটি ট্যুরে অংশ নেয় যা ২০১৪ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে এবং এটি সারা পৃথিবীতে রেকর্ডসংখ্যক ১১৫.৩ মিলিয়ন দর্শক উপভোগ করেন। ব্যান্ডের একাদশ অ্যালবামের কাজ ২০১৪ এর ডিসেম্বরে শুরু হয় এবং ২০১৫ সালে তা প্রকাশ হওয়ার কথা।
ব্যান্ড সদস্য[সম্পাদনা]
বর্তমান সদস্য
ট্যুর সদস্য
|
প্রাক্তন সদস্য
|
সময়রেখা[সম্পাদনা]
ডিস্কোগ্রাফি[সম্পাদনা]
- স্টুডিও অ্যালবাম
- রেড হট চিলি পেপার্স (১৯৮৪)
- ফ্রিকি স্টাইলি (১৯৮৫)
- দ্য আপলিফ্ট মোফো পার্টি প্ল্যান (১৯৮৭)
- মাদার'স মিল্ক (১৯৮৯)
- ব্লাড সুগার সেক্স ম্যাজিক (১৯৯১)
- ওয়ান হট মিনিট (১৯৯৫)
- ক্যালিফোর্নিক্যাশন (১৯৯৯)
- বাই দ্য ওয়ে (২০০২)
- স্টেডিয়াম আর্কেডিয়াম (২০০৬)
- আ'ম উইথ ইউ (২০১১)
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- পাদটীকা
- ↑ Serba, John (২০১৪-০২-০৩)। "Red Hot Chili Peppers play Super Bowl 2014: Anthony Kiedis' mom is proud of performance"। Booth Newspapers। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-০৩।
- ↑ Kiedis, Anthony (২০০৪)। Scar Tissue। New York: Hyperion। পৃষ্ঠা 394। আইএসবিএন 978-1-4013-0745-5।
- ↑ "Red Hot Chili Peppers Europe 1999 Tour"। Ratsound.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-১৯।
- ↑ ইউটিউবে Remo + Chris Warren + Chad Smith + Quicklock Hi-Hat Clutch
- গ্রন্থতালিকা
- Apter, Jeff (নভেম্বর ২৩, ২০০৪)। Fornication: The Red Hot Chili Peppers Story। Omnibus Press। আইএসবিএন 1-84449-381-4।
- Kiedis, Anthony; Sloman, Larry (অক্টোবর ৬, ২০০৪)। Scar Tissue। Hyperion। আইএসবিএন 1-4013-0101-0।
- Thompson, Dave (সেপ্টেম্বর ১, ২০০৪)। Red Hot Chili Peppers – By the way: the biography। Virgin Books। আইএসবিএন 0-7535-0970-9।