সালমান আল-ফার্সি মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৩°০৫′৫৪″ উত্তর ৪৪°৩৪′৫২″ পূর্ব / ৩৩.০৯৮২৬৫৬° উত্তর ৪৪.৫৮০৯৮২৩° পূর্ব / 33.0982656; 44.5809823
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সালমান আল-ফার্সি মসজিদ
আরবি: مسجد سلمان الفارسي
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিশিয়া[১]
জেলাআল-মাদাইন
প্রদেশদিয়ালা প্রদেশ
অবস্থাচালু
অবস্থান
অবস্থানসালমান পাক, ইরাক
সালমান আল-ফার্সি মসজিদ ইরাক-এ অবস্থিত
সালমান আল-ফার্সি মসজিদ
ইরাকে অবস্থিত
স্থানাঙ্ক৩৩°০৫′৫৪″ উত্তর ৪৪°৩৪′৫২″ পূর্ব / ৩৩.০৯৮২৬৫৬° উত্তর ৪৪.৫৮০৯৮২৩° পূর্ব / 33.0982656; 44.5809823
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ ও মাজার
স্থাপত্য শৈলীউসমানীয়আব্বাসীয় শৈলীর উপাদানসহ আধুনিক স্থাপত্য[২]
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৯৫০ (এর আগে এটি সমাধি ছিল)
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতাকমপক্ষে ৮০০ জন মুসল্লি[২]
অভ্যন্তরীণ৫০০ বর্গমিটার
গম্বুজসমূহ
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে)মিটার (মূল গম্বুজ)[২]
মিনার
মিনারের উচ্চতা২৩ মিটার[২]
মঠ২টি (একটি মাজার সালমান আল-ফার্সির, অন্যটি সাহাবীদের)

সালমান আল-ফার্সি মসজিদ হলো ইরাকের আল-মাদাইন জেলার সালমান পাক শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটিতে সালমান আল-ফার্সি নামে একজন সাহাবীর কবর রয়েছে এবং এই মসজিদটি তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এটি ঐতিহাসিকভাবে একটি সুন্নি মসজিদ, তবে এক পর্যায়ে মসজিদটি সুন্নি এনডাউমেন্ট অফিস থেকে সরিয়ে শিয়া ব্যবস্থাপনাকে দেওয়া হয়েছিলো।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯১৭ সালে মসজিদটি নির্মাণের আগে সালমান আল-ফার্সির মূল সমাধি

মসজিদটি ১৯৫০ সালে সালমান আল-ফার্সিকে উৎসর্গ করা একটি প্রাক-বিদ্যমান সমাধির উপরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা ১৯২০ এর দশকের আগে অস্তিত্ব ছিল। ১৯৩১ সালে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ, হুযাইফাহ ইবনে আল-ইয়ামান এবং আলী আল-তাহির ইবনে মুহাম্মদ আল-বাকিরের কবরে পানি জমে থাকার কারণে তাদের মৃতদেহগুলি উত্তোলন করা হয়েছিল এবং মৃতদেহগুলি পুরানো সমাধির পাশে নতুন সমাধিতে স্থানান্তর করা হয়েছিলো।[২] মৃতদেহ স্থানান্তরিত হওয়ার প্রতিবেদনটি কখনও কখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়, তবে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ মদিনায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে।[৪] পরে ১৯৫০ সালে ইরাকি সরকারের অর্থায়নে সমাধিসৌধ এবং নতুন সমাধির উপর মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫]

আধুনিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

সালমান আল-ফার্সির কবরের চারপাশে জারিহ দিয়ে ঘেরা

২০১৭ সালে সালমান আল-ফার্সির কবরের চারপাশে একটি নতুন জারিহ স্থাপন করা হয়েছিলো।[৬] জারিহ স্থাপনের অনুষ্ঠানে ইরাকে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ইরাজ মাসজেদির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন শিয়া আলেম উপস্থিত ছিলেন।[৬]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

মসজিদটি সকলে পরিদর্শন করেন কারণ এর ভিতরে সালমান আল-ফার্সির কবর রয়েছে।[২] তবে মসজিদটিতে কুরআন মুখস্থকরণ কোর্সের পাশাপাশি শরিয়াহ আইন অধ্যয়নের ক্লাসও করা হয়।[২] ধর্মীয় উৎসবও এই মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।[২]

২০০৬ সালের আক্রমণ[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আল-আসকারী মাজারে বোমা হামলার সময় বিদ্রোহীরা দুটি রকেট নিক্ষেপ করে, যা মসজিদের চারপাশের এলাকায় অবতরণ করে।[৭] এতে ভবনটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।[৭][৮] শুধু মূল গম্বুজ ও একটি মিনারের ক্ষতি হয়েছে।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সিলভারম্যান, অ্যাডাম এল। (আগস্ট ২৪, ২০০৯)। "ইরাকে ধর্ম ও রাজনীতি: আসলে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা আছে?"অবহিত মন্তব্য। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯ 
  2. "মহান সাহাবী সালমান আল-মুহাম্মাদির মাজার, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হন - ইসলামিক বিষয়"। ২০১৭-০৪-২৮। ২০১৭-০৫-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১৩ 
  3. সিলভারম্যান, অ্যাডাম এল। (আগস্ট ২৪, ২০০৯)। "ইরাকে ধর্ম ও রাজনীতি: আসলে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা আছে?"অবহিত মন্তব্য। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯ 
  4. ইসলামকিউএ (২০১৯-০৮-০৪)। "জাবির ইবনে আবদুল্লাহকে কোথায় দাফন করা হয়?"islamqa.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১৩ 
  5. "সালমান আল-ফারসি (রাঃ) এর মসজিদ"almd3aein.ahlamontada.net (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১৩ 
  6. "আল-মাদাইন এ সাহাবী সালমান আল-ফার্সির মাজারে সমাধি স্থাপন - আল-আলম নিউজ চ্যানেল"www.alalam.ir (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১৩ 
  7. "ইরাকে শিয়া সমাধিতে রকেট হামলা"আল জাজিরা। ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯ 
  8. "শিয়াদের মাজারে রকেট হামলা"usatoday30.usatoday.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৩