স্ট্যান্ডিং আপ ইন দ্য মিল্কিওয়ে
"স্ট্যান্ডিং আপ ইন দ্য মিল্কিওয়ে" | |
---|---|
কসমস: এ স্পেসটাইম ওডেসি পর্ব | |
পর্ব নং | পর্ব ১ |
পরিচালক | ব্রেনন ব্রাগা[১][২] |
রচয়িতা | অ্যান ড্রুইয়ান[৩][৪] স্টেভেন সুটার[৩][৪] |
অনুবাদক | নিল ডিগ্রেস টাইসন |
প্রযোজক | লিভিয়া হেনিচ স্টিভেন হল্টজম্যান |
ফিচার্ড সঙ্গীত | অ্যালান সিলভাস্ট্রি |
সম্পাদনা | জন ডাফি মাইকেল ও'হলোরান এরিক লিয়া |
উৎপাদন কোড | ১০১ |
প্রথম মুক্তি | ৯ মার্চ ২০১৪ |
ব্যাপ্তিকাল | ৪৪ মিনিট |
অতিথি অভিনেতা | |
জিওর্দানো ব্রুনো হিসেবে সেথ ম্যাকফারলেন | |
"স্ট্যান্ডিং আপ ইন দ্য মিল্কিওয়ে" হলো মার্কিং প্রামাণ্যচিত্রভিত্তিক টেলিভিশন ধারাবাহিক কসমস: এ স্পেসটাইম ওডেসি প্রথম সম্প্রচারিত পর্ব। এটি ২০১৪ সালের ৯ই মার্চ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলসহ, এফএক্স, ফক্স লাইফ এবং অন্যান্য ফক্স নেটওয়ার্কগুলোতে প্রচারিত হয়।[৫] এর উপস্থাপনা করেন নিল ডিগ্রেস টাইসন। এর পরিচালক ব্রেনন ব্রাগা, প্রযোজক লিভিয়া হ্যানিচ এবং রচয়িতা অ্যান ড্রুইয়ান ও স্টিভেন সোটার
ধারাবাহিকটি ১৯৮০ সালে কার্ল সেগানের কসমস: অ্য পারসোনাল ভয়েজ দ্বারা অনুপ্রাণিত।[৬] বর্তমানে টাইসন উপস্থাপিত ধারাবাহিকটিতে জ্যোতির্বিজ্ঞান, স্থান-কাল, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। ধারাবাহিকের এই পর্বটিতে টাইসন সৌরজগত ও মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ভ্রমণ করে, রেনেসাঁ দার্শনিক জিওর্দানো ব্রুনোর জীবন ও তার মহাকাশ সম্পর্কিত চিন্তা তুলে ধরে, মহাজাগতিক বর্ষপঞ্জিতে মহাবিশ্বের শুরু থেকে বর্তমান সময়কে ব্যাখ্যা করে এবং কার্ল সেগানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্ব শেষ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা কর্তৃক পর্বটির শুরুর দিকে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন। [৭][৮]
এই পর্বটি সমালোচকদের থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা পায়। তবে জিওর্দানো ব্রুনোর জীবন উপস্থাপনের ঐতিহাসিক নির্ভুলতার অভাবের জন্য এটি সমালোচিত হয়। এছাড়া পর্বটি ৬৬তম প্রাইমটাইম ক্রিয়েটিভ আর্টস এমি এ্যাওয়ার্ডসে ধারাবাহিকে অসাধারণ সঙ্গীত প্রযোজনার জন্য প্রাইমটাইমএমি এ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল।[৯]
পর্ব-সংক্ষেপ[সম্পাদনা]
ভার্গো সুপারক্লাস্টারে মধ্যে পৃথিবীর ঠিকানা এবং স্থান-কালে এর অবস্থান খোঁজার উদ্দেশ্যে "কল্পনার জাহাজে" করে টাইসনের যাত্রা করার মাধ্যমে পর্বটি আরম্ভ হয়। সে আমাদের সৌরজগতের গ্রগুলোর পাশ দিয়ে উড়ে যায়। টাইসন শুক্র গ্রহের আবরণ সরিয়ে ফেলে এবং এর অতি উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি গ্রহটির গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারপর সে পৃথিবীর তুলনায় তিনগুণ বড় ঘূর্ণিঝড় বৃহস্পতির বৃহৎ লাল বিন্দু আবিষ্কার করে এবং বিন্দুটির সম্প্রসারণের বিপরীতে পৃথিবীর আকার কমার তুলনামূলক দৃশ্য তুলে ধরে। সে মানুষের তৈরী পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দুরে যাওয়া ভয়েজার ১-এর পাশ দিয়ে যায় এবং ভয়েজার গোল্ডেন রেকর্ড এবং এর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে।
টাইসন ব্যাখ্যা করে মহাবিশ্বে মানুষের দৃষ্টিশক্তি কতটা সীমিত এবং উদাহরণস্বরুপ সে দেখায় কীভাবে অতি অন্ধকার অনাথ গ্রহগুলো ইনফ্রারেড সেন্সরের সাহায্যে "দেখা" যায়। এরপর সে বুদবুদ তত্ত্ব পরীক্ষা করে এবং ব্যাখ্যা করে আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্ব কীভাবে একটি স্রোতধারার এক ফোঁটা পানির অনুরুপ "অসংখ্য" বুদবুদের মধ্যে একটিমাত্র বুদবুদ।
পর্বটির অ্যানিমেশন অংশে টাইশ ষোড়শ শতকের ইতালিয় দার্শনিক জিওর্দানো ব্রুনোর (সেথ ম্যাকফারলেনের কন্ঠ) জীবন ও স্বপ্ন ব্যাখ্যা করেন,[১০] যে মহাবিশ্বে পৃথিবীর অবস্থান এবং সূর্য অন্য অসংখ্য নক্ষত্রের একটি হওয়ার কথা বুঝতে পারে। (টাইসন পরে ব্রুনোর দেখা স্বপ্নকে অবৈজ্ঞানিক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু যে নিপীড়ন সে সহ্য করেছে তার জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করে।)
পরবর্তীতে সে কার্ল সেগানের মহাজাগতিক বর্ষপঞ্জীর মাধ্যমে মহাবিশ্বের ইতিহাস তুলে ধরে। কার্ল সেগানের জীবন ও কাজ নিয়ে, এবং কীভাবে সেগান তাকে একজন জ্যোতিঃপদার্থ বিজ্ঞানী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল সে বিষয়ে টাইসনের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে পর্বটি শেষ হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Megan Gannon (মার্চ ৫, ২০১৪)। "Why the New 'Cosmos' TV Series Is Coming to Fox"। Space.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Matt Tucker (মার্চ ১০, ২০১৪)। "Cosmos #1.1: "Standing Up in the Milky Way" Review"। KSITETV। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ ক খ Bill Pope (মার্চ ৯, ২০১৪)। "Standing Up in the Milky Way"। Cosmos: A Spacetime Odyssey। Fox Broadcasting Company।
- ↑ ক খ ""Cosmos: A Sapcetime Odyssey" - Fact Sheet"। FOX Flash। ৩০ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Cannady, Sheryl; Allen, Erin (নভেম্বর ১২, ২০১৩)। "Library of Congress Officially Opens The Seth MacFarlane Collection of Carl Sagan and Ann Druyan Archive"। Library of Congress। আইএসএসএন 0731-3527। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১২, ২০১৩।
- ↑ Overbye, Dennis (মার্চ ৩, ২০১৪)। "A Successor to Sagan Reboots Cosmos"। The New York Times। পৃষ্ঠা D2।
- ↑ Seppala, Timothy J. (মার্চ ৯, ২০১৪)। "Cosmos debuts tonight with a special message from Barack Obama"। Engadget। AOL Inc.। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৪।
- ↑ Boyle, Alan (মার্চ ১৩, ২০১৪)। "Obama Launches Cosmos: 'The Next Great Discovery Could Be Yours'"। NBC News। Associated Press। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৬, ২০১৪।
- ↑ "Complete 2013-2014 Nominations List" (পিডিএফ)। Emmy Awards। জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৪।
- ↑ Cosmos: A Spacetime Odyssey — The Voyage Continues, Twentieth Century Fox Home Entertainment, Blu-ray Cat. # 2293207