বিষয়বস্তুতে চলুন

জালোন রাজ্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জালোন রাজ্য
जालौन
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য
১৮০৬–১৮৪০
পতাকা

ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত জালোনের মানচিত্র
ইতিহাস 
• ব্রিটিশ করদ রাজ্য
১৮০৬
• ব্রিটিশ ভারতে সংযুক্তিকরণ
১৮৪০
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
মারাঠা সাম্রাজ্য
ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ
বর্তমানে যার অংশজালৌন জেলা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত

জালোন রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি মারাঠা দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির বুন্দেলখণ্ড এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো। জালৌন শহরকে করে প্রতিষ্ঠিত এই রাজ্যটি বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের জালৌন জেলায় অবস্থিত৷ ১৮০৬ থেকে ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ অবধি এই শহরটি রাজ্যের রাজধানী ও প্রশাসনিক দপ্তর ছিলো৷[১] রাজ্যটির শেষ রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে ব্রিটিশ সরকার স্বত্ববিলোপ নীতি আরোপ করে রাজ্যটিকে আত্মসাৎ করে৷[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার জালৌন ও পারিপার্শ্বিক দখল করলে ১৮০৬ সালের মধ্যে এটি একটি ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয়৷ রাজ্যের অধিকাংশ অধিবাসীই ছিলেন মহারাষ্ট্রীয় ব্রাহ্মণ, যারা "দক্ষিণী পণ্ডিত" নামেও পরিচিত৷ তাদের পূর্বপুরুষ, রাজ্যের শাসক মারাঠা পেশোয়াদের পরিষেবাদানের লক্ষ্যে মহারাষ্ট্র থেকে এই অঞ্চলে অভিগমন করেন৷ দ্বিতীয় গোবিন্দ রাও ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে ঐ বছরই ব্রিটিশ সরকার রাজ্যটি দখল করে৷

কালপিতে অবস্থিত দুর্গটি ছিলো রাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গ এবং রাজনিবাস৷ ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ব্রিটিশরা এই দুর্গটি অনাবৃত করেন৷ পরে ঐ স্থানে একটি বাজার বসানো হয়, যা বৈঠগঞ্জ বাজার নামে পরিচিত৷ ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার পরে তারা এই শহরটিকে অস্বাস্থ্যকর বলে উল্লেখ করেন এবং ওরই শহরে নতুন রাজধানী স্থানান্তরিত করেন৷ [৩]

শাসকবর্গ[সম্পাদনা]

জালোন রাজ্যের শাসকগণ ছিলেন পুণের পেশোয়াদের অধীনস্থ৷ ঋগ্বেদীয় করকারে বল্লাল বা করকারে রাজবংশীয় ব্রাহ্মণরা মূলত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি অঞ্চল থেকে আগত৷ পুণের পেশোয়া সওয়াই দ্বিতীয় মাধবরাও নারায়ণ ভট্ট বল্লাল ঐ রাজবংশীয় ব্রাহ্মণদের প্রশাসক হিসাবে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীনাথ মহাদজী সিন্ধিয়ার অধীনে জালোন অঞ্চলে নিযুক্ত করেন৷ শাসক করকারেরা জালোনকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ সম্পন্ন হয়৷ যুদ্ধের ফলস্বরূপ ব্রিটিশ বাহিনী জয়লাভ করে ও করকারে বংশীয়দের তত্ত্বাবধানে থাকা মারাঠা বাহিনীর চরম পরাজয় ঘটে৷ পলাতক মারাঠা বাহিনী গোয়ালিয়রঝাঁসিতে আশ্রয় গ্রহণ করে৷ ব্রিটিশরা অপর দেশস্থ মারাঠি ব্রাহ্মণ বংশীয়দেরকে ঐ রাজ্য শাসনের দায়িত্ব দেন৷ ক্রমে তারা রাজা উপাধি গ্রহণ করেন৷[৪]

রাজা[সম্পাদনা]

  • ১৭৭৬ - ১৮২২ প্রথম গোবিন্দরাও
  • ১৮২২ - ১৮৩১ বলরাও
  • ১৮৩১ - ১৮৪০ দ্বিতীয় গোবিন্দরাও

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. David P. Henige (২০০৪)। Princely States of India: A Guide to Chronology and Rulers। Orchid Press। পৃষ্ঠা 36। আইএসবিএন 978-974-524-049-0 
  2. Keay, John. India: A . Grove Press Books, distributed by Publishers Group West. United States: 2000 আইএসবিএন ০-৮০২১-৩৭৯৭-০, p. 433.
  3. Great Britain India Office. The Imperial Gazetteer of India. Oxford: Clarendon Press, 1908.
  4. Princely States of India