বিষয়বস্তুতে চলুন

নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, গাইবান্ধা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
জমিদার বাড়ির অষ্টাদশ শতাব্দীর শিব মন্দির
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থানসাদুল্লাপুর উপজেলা
শহরসাদুল্লাপুর উপজেলা, গাইবান্ধা জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছেঅজানা
বন্ধ১৯৫০
স্বত্বাধিকারীকাশিনাথ লাহিরী
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুড়কি ও রড

নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা নামক এলাকায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি[১][২] এ জমিদারীর অন্যতম জমিদার ছিলেন তুলসী লাহিড়ী[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তনকারী জমিদার কাশিনাথ লাহিরী। কোচবিহার রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ মারা গেলে বন্দি মহারাজা ধৈয্যেন্দ্র নারায়ণের সমর্করা তার নাবালক পুত্র ধন্দ্রে নারায়ণকে (১৭৭২-৭৫) সিংহাসনে বসান। তখন নাবালক রাজার অভিভাবক রাণীমাতা কামদেশ্বরী দেবী সর্বানন্দ গোস্বামীকে নিজ উপদেষ্টা নিয়োগ করেন। এ সময়ই সর্বানন্দ গোস্বামীর পরামর্শে রাণীমাতা কাশিনাথ লাহিরীকে কোচবিহারের নতুন মহারাজার খাসনবীশ নিয়োগ করেন। এভাবেই সর্বানন্দ গোস্বামীর পৃষ্টপোষকতায় কাশীনাথ লাহিরী কোচবিহার রাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয় বন্দি মহারাজাকে মুক্ত করার জন্য সর্বানন্দ গোস্বামী ও কাশিনাথ খাসনবীশ রংপুরে এসে কোম্পানী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সামরিক সাহায্যের ব্যবস্থা করে ভুটানে বন্দী মহারাজাকে মুক্ত করেন ১৭৭৩ সালে। ফলে উভয়ের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। কাশিনাথ লাহিরী খাসনবীশ ছাড়াও রাজস্ব আদায়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব লাভ করে। এমতাবস্থায় সর্বানন্দ গোস্বামী ও কাশিনাথ লাহিরী ১৭৭৫ খৃ. থেকে ১৭৭৮ খৃ. পর্যন্ত বহু ব্রক্শ্মোত্তর সম্পত্তির মালিক হয়। এভাবে চলতে থাকে নলডাঙা জমিদার।[৩]

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

এ জমিদারদ বাড়ির দুটি মন্দির, ১টি কুয়া, বিশাল পুকুর ও প্রাচীরের সামান্য ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কিছুই নেই।

বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]

অযত্ন ও অবহেলার কারণে জমিদার বাড়ির সকল স্মৃতিচিহ্নই এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে।

গ্যালারী[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "নলডাঙ্গা ইউনিয়ন"www.noldangaup.gaibandha.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-৩১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "গাইবান্ধার যত ঐতিহাসিক স্থাপনা"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-৩১ 
  3. পরিষদ, সম্পাদনা (২০০০)। রংপুর জেলার ইতিহাস। রংপুর: জেলা প্রশাসন রংপুর। পৃষ্ঠা ৪৩৭–৪৩৮।