বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রবেশদ্বার:ফিলিস্তিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রবেশদ্বারএশিয়ামধ্যপ্রাচ্যফিলিস্তিন

ফিলিস্তিন প্রবেশদ্বারে স্বাগতম

ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন[i] (আরবি: فلسطين, ফিলাস্‌তীন্), সরকারিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (আরবি: دولة فلسطين, দাউলাত্ ফিলাস্‌তীন্) নামে পরিচিত, হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নির্বাসনঘোষিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিক ভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলওর নিয়ন্ত্রণ ছিল না, যদিও তারা যে অঞ্চলগুলি দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেইগুলি ইসরাইলের দখলে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, সেখানে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড (গাজা ভূখণ্ডপশ্চিম তীর) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধীন কিছু অঞ্চল এবং জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবী করে তারা।[ii]

১৯৭৪ সালে আরব লীগের শীর্ষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল যে, পিএলও ফিলিস্তিনের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং ও তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানিয়েছিল। ২২ নভেম্বর ১৯৭৪, থেকে একটি জাতি হিসেবে পিএলওকে " রাষ্ট্রহীন-সত্ত্বা " রূপে পর্যবেক্ষক অবস্থা রাখা হয়েছিল। যারা কেবলমাত্র জাতিসংঘে তাদের বক্তব্য রাখতে পারতেন, কিন্তু ভোট দেবার কোনো ক্ষমতা ছিল না। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত নিবন্ধ

মসজিদুল আকসার গম্বুজ ও মিনার

আল-আকসা মসজিদ (আরবি: ٱلْـمَـسْـجِـد الْاَقْـصَى, আইপিএ: [ʔælˈmæsdʒɪd ælˈʔɑqsˤɑ] (শুনুন), মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত) জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। এটি হারাম আল-শরিফ প্রাঙ্গনে অবস্থিত, যা "টেম্পল মাউন্ট" নামেও পরিচত। ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী নবী মুহাম্মদ মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাইমিয়ার মতে, নবী সুলায়মান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা। এই স্থানটি মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক) ছিল। হিজরতের ১৬তম বা ১৭তম মাসে কাবাকে কিবলা করার নির্দেশ আসার আগ পর্যন্ত মুসলিমরা আল-আকসা মসজিদের দিকে মুখ করেই নামাজ আদায় করতেন।

নির্বাচিত জীবনী

খলিল ইবরাহিম আল-ওয়াজির (১০ অক্টোবর ১৯৩৫ – ১৬ এপ্রিল ১৯৮৮) ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ ও যোদ্ধা। তিনি রাজনৈতিক দল ফাতাহর সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সংগঠনটির সামরিক শাখা আল-আসিফার কমান্ডার ছিলেন।

১৯৪৮-এর আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় আল-ওয়াজির রামল্লাহ থেকে নির্বাসিত হয়ে গাজায় গিয়ে একটি ক্ষুদ্র ফেদাইন দলের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। ১৯৬০-এর দশকে ফাতাহর জন্য তিনি কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী ও তৃতীয় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। আলজেরিয়ায় তিনি দলটির প্রথম ব্যুরো চালু করেন। কালো সেপ্টেম্বরের যুদ্ধে তিনি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদেরকে অস্ত্র ও সহায়তা সরবরাহ করেন। যুদ্ধে পিএলও জর্ডানের কাছে পরাজিত হলে তিনি লেবাননে চলে যান। ১৯৮২ সালে ইসরায়েল কর্তৃক লেবাননে আক্রমণের সময় ও এর আগে তিনি ইসরায়েলে কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তিনি লেবানন ত্যাগ করে প্রথমে আম্মানে ও দুই বছর পর তিউনিসে যান। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি তরুণদের সংগঠিত করেন এবং তারা প্রথম ইন্তিফাদার মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে। ১৯৮৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিউনিসে ইসরায়েলি কমান্ডোরা তাকে হত্যা করে।

নির্বাচিত চিত্র

কৃতিত্ব: চার্লস জে. শার্প

জর্ডানের দানা বায়োস্ফেয়ার রিজার্ভ থেকে তোলা ফিলিস্তিনি সানবার্ড (বৈজ্ঞানিক নাম: Cinnyris osea)-এর ছবি। প্রজাতিটি ২০১৫ সালে ফিলিস্তিনের জাতীয় পাখির স্বীকৃতি লাভ করে।

আপনি জানেন কি...

বিধ্বস্ত ইসরায়েলি ট্যাংকের উপর দুই জর্ডানি সেনা
বিধ্বস্ত ইসরায়েলি ট্যাংকের উপর দুই জর্ডানি সেনা

নির্বাচিত স্থান

গাজা ভূখণ্ডের মানচিত্র
গাজা ভূখণ্ড বা গাজা উপত্যকা ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত একটি স্বশাসিত ফিলিস্তিনি অঞ্চল। গাজা ভূখণ্ডের পশ্চিমে রয়েছে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে মিশরের সাথে রয়েছে ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মা) সীমান্ত, এবং উত্তরে, পূর্বে, ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ইসরাইলের সাথে আছে ৫১ কিলোমিটার (৩২ মা) সীমান্ত। এই গাজা ভূখণ্ড ও পশ্চিম তীর নিয়েই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত। ভূখণ্ডটি দৈর্ঘ্যে ৪১ কিলোমিটার (২৫ মা) এবং প্রস্থে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার (৩.৭ থেকে ৭.৫ মা)। ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার (১৪১ মা) আয়তনের এই অঞ্চলে প্রায় ১.৮৫ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যার ঘনত্বে অঞ্চলটির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।

ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজা এবং পশ্চিম তীর অঞ্চল দুটি ইসরাইলী অঞ্চল দ্বারা পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে আছে। ২০০৭ সালের গাজার যুদ্ধের পর থেকে ভূখণ্ডটি ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে, যারা ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল। এর পর থেকে অঞ্চলটি ইসরাইল ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বয়কটের মুখে রয়েছে।

নির্বাচিত উক্তি

জার্মান এবং জায়নবাদী- উভয় গোষ্ঠীই চেয়েছিল, যতটা সম্ভব অধিক সংখ্যক ইহুদি যেন ফিলিস্তিনে চলে যেতে পারে। জার্মানরা চেয়েছিল তাদেরকে পশ্চিম ইউরোপ থেকে বের করে দিতে, আর জায়নবাদীরা চেয়েছিল যত দ্রুত সম্ভব ফিলিস্তিনে ইহুদিদের সংখ্যা যাতে আরবদের ছাড়িয়ে যায়। (...) উভয় ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য ছিল জনসংখ্যায় জাতিগোষ্ঠীগুলোর অনুপাতে জোড়পূর্বক পরিবর্তন, যা এক ধরণের 'জাতিগত নির্মূলকরণ'।

বিষয়শ্রেণী

বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
বিষয়শ্রেণী ধাঁধা
উপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন

নির্বাচিত বিস্তৃত দৃশ্য

মিশরীয় উটের একটি কাফেলা
মিশরীয় উটের একটি কাফেলা
কৃতিত্ব: আমেরিকান কলোনি, জেরুসালেম

১৯১৮ সালে মিশরীয় উটের একটি কাফেলা ফিলিস্তিনের জাবালে জয়তুন পাহাড় অতিক্রম করছে।

সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার

উইকিমিডিয়া প্রকল্পসমূহ

উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলোতে এ বিষয়ে আরও তথ্য রয়েছে:


উইকিসংবাদ
সংবাদ


উইকিউক্তি
উদ্ধৃতি


উইকিসংকলন
গ্রন্থাগার


উইকিবই
পাঠ্যপুস্তক


কমন্স
মিডিয়া


উইকিঅভিধান
অভিধান


উইকিউপাত্ত
তথ্যশালা


উইকিভ্রমণ
ভ্রমণ নির্দেশিকা

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন