ফরিদপুর
ফরিদপুর | |
---|---|
শহর | |
বাংলাদেশের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৬′০৭″ উত্তর ৮৯°৪৯′৫৯″ পূর্ব / ২৩.৬০২° উত্তর ৮৯.৮৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ (প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগ) |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
উপজেলা | ফরিদপুর সদর উপজেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | ফরিদপুর পৌরসভা |
আয়তন | |
• মোট | ১৭.৩৮ বর্গকিমি (৬.৭১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা ২০২০ | |
• মোট | ১,৪৬,৯২১ |
• জনঘনত্ব | ৮,৫০০/বর্গকিমি (২২,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
ফরিদপুর বাংলাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের একটি জেলা শহর ও জেলা সদর। ফরিদপুর বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের ১৪ তম বৃহত্তর শহর। এটি ফরিদপুর জেলার সদরদপ্তর ও জেলার সবচেয়ে বড় শহর ও জনবহুল স্থান। ফরিদপুর কুমার নদীর তীরে অবস্থিত। ফরিদপুর পৌরসভার আয়তন ৬৬.৩৮ বর্গকিলোমিটার এবং মোট জনসংখ্যা ৪,৪৬,৯২১ জন। ভৌগলিকভাবে পরিপূর্ণ থাকায় এবং নিজস্ব ৫টি জেলার সাবডিভিশন হওয়ায় ফরিদপুর তথা পদ্মা বিভাগ প্রস্তাবিত৷ প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগের সদর-দপ্তর ফরিদপুর সিটি কর্পোরেশন প্রস্তাবিত রয়েছে। পল্লীকবি জসিমউদদীন ফরিদপুরের সন্তান। এছাড়াও অনেক গুণী রাজনীতিবিদ আছে এ জেলায়। পূর্বে এর নাম ছিল ফতেহাবাদ। বাংলাদেশের একমাত্র নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট এখানে অবস্থিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ফরিদপুরের পূর্বে নাম ছিল ফতেহাবাদ। ফরিদপুর নামকরণ করা হয়েছে প্রখ্যাত সাধক এবং দরবেশ খাজা মাইনউদ্দিন চিশতীর শিষ্য ও ফরিদপুরের প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ ফরিদের (শেখ ফরিদুদ্দিন) নামানুসারে।[১]
ভূগোল[সম্পাদনা]
ফরিদপুর ২৩º২৯΄ থেকে ২৩º৩৪΄ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯º৪৩΄ থেকে ৮৯º৫৬΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত এবং এর মোট আয়তন ৬৬.২৪ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ফরিদপুর শহরের মোট জনসংখ্যা ১২২,৪২৫ জন।[২] যার মধ্যে ৬২৫৩৮ জন পুরুষ এবং ৫৯,৮৮৭ জন মহিলা। এ বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা ২৭৫৭৪টি খানায় বাস করে। ২০০১ সালের এর জনসংখ্যা ছিল ১০১,০৮৪জন।[৩] জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬১৮৯ জন লোক বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০:১০৪ এবং সাক্ষরতার হার ৭৭.১% (৭ বছরের ঊর্ধ্বে)।
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
-
ফরিদপুর শহরের একাংশ
-
ফরিদপুর জেলা জর্জ কোর্ট
-
ফরিদপুর পৌরসভা
-
ফরিদপুর শহরের একাংশ
-
প্রথমে যে লাল রংয়ের ভবনটি দেখা যাচ্ছে সেটি হলো ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ফরিদপুরের সার্কিট হাউস ভবন। এর পিছনেই দেখা যাচ্ছে নবনির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন সার্কিট হাউস ভবন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "ফরিদপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য"। bfcks.com/। বৃহত্তর ফরিদপুর চাকরীজিবী কল্যাণ সমিতি। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "4.1.11 Faridpur"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ৬৮। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Bangladesh: Divisions and Urban Areas - Population Statistics, Maps, Charts, Weather and Web Information"। www.citypopulation.de। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৮।