বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশে ইন্টারনেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মত 'বাংলাদেশে ইন্টারনেট' এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিষ্ময়করহারে বৃদ্ধি হচ্ছে। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তিতে জনগণের প্রবেশের অধিকার এবং ব্যবহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে যার ফলে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের জুলাই নাগাদ বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লক্ষ।[১][২] বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি এবং মোট জনসংখ্যার ৬২% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ৯৩.৭০২ মিলিয়ন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৪ জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদান শুরু করে। [৩]

২০২০ সালের মে পর্যন্ত ইন্টারনেট মূলত ২ টি সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪ এবং সিমিউ-৫ দ্বারা বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়। যার ব্যান্ডউইথ সরবরাহ সক্ষমতা যথাক্রমে ৩০০ জিবিপিএস ও ১৮০০ জিবিপিএস।

বিবর্তন[সম্পাদনা]

৯০'দশকের শেষের দিকে স্থানীয় কিছু পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা বুলেটিন বোর্ড সিস্টেম (বিবিএস) পদ্ধতিতে ডায়াল-আপ এর সাহায্যে ই-মেইল ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করলেও ৫০০'শ এর অধিক ব্যবহারকারী এই সুবিধা পেত না। অন্যদিকে ব্যবহারকারী কিলোবাইট হিসেবে চার্জ প্রদান সত্ত্বেও তাদের প্রেরিত ই-মেইল স্থানান্তর করা হত আন্তর্জাতিক বিবিএস পরিষেবা প্রদানকারীর সংস্থার ডায়াল-আপ ব্যবহারের মাধ্যমে।

১৯৯৫ সালে অফলাইন ই-মেইল-এর মাধ্যমে প্রথম এদেশে সীমিত আকারে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হয় - ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত হয় - ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৬ সালে দেশে প্রথম ইন্টারনেটের জন্য ভিস্যাট স্থাপন করা হয় এবং আই.এস.এন নামক একটি আইএসপি-র মাধ্যমে অনলাইন ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তৃতি ঘটতে শুরু করে। শুরুতে এই আইএসপি গুলো ছিল শুধু বিটিটিবি-ই সরকারি মালিকানাধীন।[৪]

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের উদারনৈনিক নীতি এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তারের কল্যাণে ২০০৫ সাল নাগাদ ১৫০ এর অধিক আইএসপি-র নিবন্ধন দেয়া হয়েছে এবং বর্তমানে সরকারের টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি) এই আইএসপি সমুহ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করছে।[৫]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

২০০০ সালে বাংলাদেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১,৮৬,০০০ যা ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৬,১৭,৩০০, যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ০.৪%।

ইন্টারনেট টপ লেভেল ডোমেইন[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাল প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় এক্সটেনশন বা টপ-লেভেল ডোমেইন হল .bd এবং '.বাংলা'।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আফরিন, সুহাদা (২০২৩-০৯-০৯)। "দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আসলে কত"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৭ 
  2. হাসান, মাহমুদুল (২০২৩-১০-১৩)। "দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে"The Daily Star Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৭ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০২০ 
  4. মাসুদ হাসান চৌধুরি এবং মাহবুব মোর্শেদ (২০০৩)। "কম্পিউটার"। সিরাজুল ইসলামকম্পিউটারঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  5. "A short history of the Bangladesh ISP Industry" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ মার্চ ২০০৮ তারিখে, Internet Service Providers Association Bangladesh, accessed ডিসেম্বর ১১ , ২০১৪