বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
جمعية أهل الحديث ببنغلاديش
বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস
উচ্চারণ
  • Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith
নীতিবাক্যلَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ مُحَمَّدٌ رَّسُولُ ٱللَّٰهِ
মূলনীতিতাওহীদ ও সুন্নাহ বাস্তবায়নে তৎপর হওয়া
গঠিত১৮ এপ্রিল ১৯৪৬
প্রতিষ্ঠাতামোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী
প্রতিষ্ঠাস্থানহারাগাছ,রংপুর
সদরদপ্তরজমঈয়ত ভবন , উত্তর যাত্রাবাড়ী , ঢাকা
যে অঞ্চলে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা,ইংরেজি,আরবি
সভাপতি
অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ফারুক
সাধারণ সম্পাদক
 ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
মূল ব্যক্তিত্ব
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী , মুহাম্মদ আবদুল বারী
ওয়েবসাইটjamiyat.org.bd

বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস(আরবি:جمعية أهل الحديث ببنغلاديش) বাংলাদেশের আহলে হাদীস জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী মূল এবং সর্বপ্রাচীন সংগঠন। যার প্রতিষ্ঠা করেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী ১৯৪৬ সালে।[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯০৬ সালে ভারতবর্ষের উত্তর প্রদেশের আরায় এ উপমহাদেশের আহলে হাদীসদের প্রতিনিধিবৃন্দের ঐতিহাসিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘অল ইণ্ডিয়া আহলে হাদীস কনফারেন্স'। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯১৪ সালে বাংলার বিশিষ্ট আহলে হাদীস আলেমগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘আঞ্জুমানে আহলে হাদীস বাঙ্গালা'। পরবর্তীতে এর সাথে আসামকেও সংযুক্ত করা হয়। ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত আহলে হাদীসদের খণ্ড খণ্ড জামাআতসমূহ যখন সংকটময় সময় অতিবাহিত করছিল, সেসময় মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী সভাপতিত্বে ১৯৪৬ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ এপ্রিল রংপুর জেলার হারাগাছ বন্দরে ঐতিহাসিক এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। আর এ কনফারেন্সে গঠিত হয় 'নিখিল বঙ্গ ও আসাম জমঈয়তে আহলে হাদীস' এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী আল-কোরায়শী(রহ.)[৩][৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০][১১] কনফারেন্সের পর বাংলার তদানীন্তন রাজধানী কোলকাতার ১ নম্বর মারকুইস লেনের মিসরীগঞ্জ আহলে হাদীস জামে মাসজিদে জমঈয়তের সদর দফতর স্থাপিত হয়। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি কোলকাতার মিসরীগঞ্জ মাসজিদে অনুষ্ঠিত জেনারেল কমিটির সভায় জমঈয়তের দফতর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাবনায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই পরিপেক্ষিতে সে বছর ৭ই মার্চ পাবনায় জমঈয়তের অফিস উদ্বোধন করা হয়। দেশ ভাগের পর সংগঠনের নাম করা হয় 'পূর্ব পাক জমঈয়তে আহলে হাদীস'। অতঃপর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে নাম রাখা হয় 'বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস'। যা অদ্যবধি বিদ্যমান রয়েছে।[১][২][৫][৭][৮][১০][১১]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলোঃ

কালিমা তাইয়্যিবাকে মানবজাতির ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক, তামাদ্দুনী, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে রুপায়ন করা।[১২]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিম্ন বর্ণিত মূলনীতি সমুহ গ্রহণ করা হয়েছেঃ[১২]

  • তাওহীদ ও সুন্নাহ বাস্তবায়নে তৎপর হওয়া।
  • কুরআন ও সুন্নাহ’র নিঃশর্ত অনুসরণ করা।
  • তাকলীদ বর্জন ও ইজতিহাদ অব্যাহত রাখা।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিম্ন বর্ণিত কর্মসূচী সমুহ গ্রহণ করা হয়েছেঃ[১২]

  • আকীদাহ সংশোধন ও মৌলিক ইবাদত প্রতিষ্ঠা
  • দীন ইসলামের সঠিক প্রচার ও প্রতিষ্ঠা
  • তা’লীম ও তারবিয়াত তথা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
  • কুফর, শিরক, বিদআত ও ভ্রষ্টতা এবং ফাসাদমুক্ত ইসলামী সমাজ গঠন
  • দেশের স্বাধীনতা-অখন্ডতার হিফাযত  এবং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাজ সংস্কারমূলক কার্যক্রম পরিচালনা

গঠনতন্ত্র[সম্পাদনা]

সংগঠনটির রয়েছে সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র।যার দ্বারাই সংগঠনটি পরিচালিত হয়।১৯৪৮ সালের পাবনা কনফারেন্সে প্রথমবারের মতো সেটা গৃহীত হয়।[১৩] সর্বেশষ ২০২১ সালের অক্টোবরে হয়ে যাওয়া দশম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রের ৮ম সংশোধিত সংস্করণ অনুমোদিত হয়।[১৪][১৫][১৬]

গঠনতন্ত্রে সর্বমোট ৩৬ টি ধারা আছে ,প্রত্যেক ধারার উপধারাও বিদ্যমান।এছাড়া রয়েছে একটি পরিশিষ্ট।

গঠনতন্ত্রের প্রথম ধারাটি নাম ও সীমানা সংক্রান্ত।সেখানে বলা হয়েছে,

"এই দ্বীনী সংগঠনের নাম হইবে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস। এই সংগঠনের কর্মতৎপরতা মূলতঃ বাংলাদেশের রাষ্ট্রসীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে।"

— গঠনতন্ত্র, পৃষ্ঠা ১০
বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিসের গঠনতন্ত্র(৮ম সংস্করণ)

ধারা সমূহ[সম্পাদনা]

  1. নাম ও সীমানা
  2. কেন্দ্রীয় দফতর
  3. মূলনীতি
  4. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  5. কর্মসূচি
  6. কর্মপদ্ধতি
  7. সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা
  8. সদস্য হওয়ার যোগ্যতা
  9. সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা
  10. নেতৃবৃন্দের যোগ্যতা,দায়িত্ব ও কর্তব্য
  11. বিভিন্ন স্তরে জমঈয়তের গঠন পদ্ধতি
  12. কেন্দ্রীয় জমঈয়তের গঠন পদ্ধতি
  13. কেন্দ্রীয় কনফারেন্স
  14. নির্বাচন বিধি
  15. বিভিন্ন স্তরের জমঈয়তসমূহের মেয়াদ
  16. সদস্যগণের রেকর্ড বই
  17. অনুমোদন
  18. শাখা জমঈয়তসমূহের কর্মসূচি
  19. এলাকা/উপজেলা জমঈয়তসমূহের কর্মসূচি
  20. জেলা জমঈয়তসমূহের কর্মসূচি
  21. কেন্দ্রীয় জমঈয়তসমূহের কর্মসূচি
  22. কেন্দ্রীয় জমঈয়তের সভার নিয়ম
  23. জেলা,এলাকা/উপজেলা ও শাখা জমঈয়তের সভার নিয়ম
  24. সাংগঠনিক আনুগত্য,দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা
  25. জমঈয়তের বিভাগসমূহ
  26. তাবলীগী কর্মসূচি
  27. শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচি
  28. আহলে হাদীস তা'লীমী বোর্ড
  29. দারুল ইফতা বা ফাতাওয়া বিভাগ
  30. শুব্বান বিভাগ
  31. আর্থিক ব্যবস্থাপনা
  32. ব্যাংক একাউন্ট ও অডিট
  33. হিসাব-নিকাশ
  34. প্রেস ও প্রকাশনা
  35. গঠনতান্ত্রিক সমস্যার সমাধান
  36. গঠনতন্ত্রের সংশোধন

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

মাসিক তর্জুমানুল হাদীস[সম্পাদনা]

মাসিক তর্জুমানুল হাদিছ প্রথম বর্ষ,প্রথম সংখ্যা ১৯৪৯।

মাসিক তর্জুমানুল হাদীস (পূর্ব নাম মাসিক তর্জুমানুল হাদিছ) বাংলাদেশ জমঈয়ত আহলে হাদীস প্রকাশিত একটি মাসিক পত্রিকা।১৩৭৯ হিজরির মুহাররাম মোতাবেক ১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে এর প্রথম সংখ্যা বের হয়।[১৭]সম্পাদক ছিলেন আব্দুল্লাহেল কাফী আল কোরায়শী।এরপর পত্রিকাটি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে। অতঃপর এটি বন্ধ থাকে দীর্ঘ সময়। এরপর ২০১৮ সাল থেকে আবারও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।[১৮]

পত্রিকাটিতে লেখালেখি করেছেন অনেক বিশিষ্ট গবেষকগণ। ঠিক এজন্যেই এটি সে সময়ের অন্যতম উচ্চাঙ্গের পত্রিকা হিসেবে বিবেচিত হতো।লেখকগণের মধ্যে আছেন,

১.মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী: তার লেখা অসংখ্য লেখনী এতে প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে,

  • ছুরাহ আল-ফাতিহার তাফছীর: এটি সুরা ফাতিহা এর একটি বিস্তারিত এবং ক্লাসিক্যাল পর্যায়ের তাফসির। এটি ৫০ এরও বেশি সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়।
  • ইবনে রুশদ: এটি ১৫তম বর্ষ, ৮ম থেকে ১১শ তম সংখ্যা, ১৯৬৯ প্রকাশিত হয় ইত্যাদি।

২.মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী: তার লেখার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,

  • ছাহাবীর সংখ্যা ও শ্রেণী: এটি ১৫তম বর্ষ, ৮ম ও ৯ম সংখ্যা ,১৯৬৯ এ প্রকাশিত হয়।
  • অমর কবি হাফেজ: এটি ১৫তম বর্ষ, ৩য় সংখ্যা, নভেম্বর ১৯৬৮ এ প্রকাশিত।


৩.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৪.মোহাম্মদ আকরম খাঁ

৫.মুহাম্মদ আবদুল বারী

৬.আফতাব আহমাদ রহমানী

৭.আবূ মুহাম্মাদ আলীমুদ্দীন

৮.ড. মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান

সাপ্তাহিক আরাফাত[সম্পাদনা]

মাসিক তর্জুমানুল হাদীস-এর প্রকাশনা অব্যাহত রেখেই ১৯৫৭ সালের ৭ অক্টোবর মুসলিম সংহতির দৃপ্ত নকীবরূপে ‘সাপ্তাহিক আরাফাত’-এর আত্মপ্রকাশ ঘটে।

অন্যান্য[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠান সমূহ[সম্পাদনা]

বাইপাইল ক্যাম্পাসের প্রকল্প সমূহ:

০১. ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বাংলাদেশ।

০২. বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস কেন্দ্রীয় ইয়াতীম খানা।

০৩. আল্লামা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রহ) মডেল মাদরাসা।

০৪. উম্মুল মুমিনীন আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা মহিলা মডেল মাদরাসা।

০৫. বাইতুল আবেদিন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।


সেবামূলক প্রতিষ্ঠান:

দুস্থ ও অসহায় মুসলিমদের পুনর্বাসন প্রকল্প:

গাজীপুরের ভাওরাইদে রয়েছে ৪ বিঘা আয়তনের একটি যমীন। এতে রয়েছে “দুস্থ ও অসহায় মুসলিম পুনর্বাসন প্রকল্প” সেখানে প্রায় ২০টি পরিবার বসবাস করছে। এখানে একটি মাসজিদ রয়েছে। মাসজিদে ছোটদের জন্য মক্তব এবং বয়স্কদের ইসলামী তা’লীম দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের উন্নয়নে আরো কিছু পরিকল্পনা জমঈয়তের হাতে রয়েছে।

জমঈয়তের শাখা, মাদরাসা, মসজিদসমূহের সংখ্যা:

সারা দেশে জমঈয়তের জেলা ভিক্তিক ৪৯টি শাখা, থানা ভিত্তিক ৪২৫ টি শাখা এবং ৬৫০০টি গ্রাম পর্যায়ের শাখা রয়েছে। সেই সঙ্গে জমঈয়তের অধিনে রয়েছে প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত আট শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এগুলোর সর্বস্তরেই রয়েছে জমঈয়তের সরাসরি তত্ত্বাবধায়ন।

মাদরাসাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

০১. মাদরাসা মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া

০২. মাদরাসা দারুস সুন্নাহ

০৩. মাদরাসাতুল হাদীস

০৪. মাদরাসা দারুল হাদীস সালাফিয়্যাহ

০৫. মাদরাসা আল মা'হাদ আস সালাফী

ইত্যাদি।

কনফারেন্স সমূহ[সম্পাদনা]

জমঈয়তে আহলে হাদীসের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম[সম্পাদনা]

নির্ভেজাল তাওহীদের দাওয়াত, শিরকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ এবং কুরআন সুন্নাহর প্রচার-প্রসারে তাবলীগী কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। জমঈয়ত ১৯৪৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্মেলন, মহাসম্মেলন, কনফারেন্স, কাউন্সিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করে দীনের দাওয়াতী কাজ পরিচালনা করে আসছে। শিক্ষামূলক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মাধ্যমে এর ধারাবাহিকতা ঐতিহ্যগতভাবে অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় জমঈয়ত এবং জেলা জমঈয়তের দায়িত্বশীলদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন ও সমন্বয়ের মাধ্যমে জমঈয়তের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন কমিটির সদস্যদেরকে নিয়ে নিয়মিত মিটিং এবং সুধী-সমাবেশের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস ইসলামী জ্ঞান-গবেষণা, দিক-নির্দেশনা ও জাতীয় সংহতির আহবায়ক সাপ্তাহিক আরাফাত নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে চলছে। পাশাপাশি আল্লামা আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী-এর কুরআন হাদীস গবেষণাপত্র মাসিক তর্জুমানুল হাদীস-এর প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও বিভিন্ন পুস্তক, মাসআলা-মাসায়েল গ্রন্থ, প্রশ্নোত্তর বিষয়ক পুস্তিকা প্রকাশ করে জমঈয়ত প্রকাশনা জগতে অবদান রাখছে। ইসলামের শিক্ষা প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে মাদরাসা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং দাঈ, আলেম, সংস্কারক ও গবেষক তৈরী করা। মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার করা এবং তত্ত্বাবধান করা। অভাবী, দরিদ্র, ইয়াতীম, বিধবাদের পাশে দাঁড়ানো এবং ঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা, ঈদ উপলক্ষ্যে অভাবী ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে খাদ্য, কুরবানির মাংস বিতরণ করা, শীতকালে শীত বস্ত্র বিতরণ করা, করোনা মহামারিতে মাস্ক ও অক্সিজেন বিতরণ করা, রোহিঙ্গাদের মাঝে খাবার ও অর্থ বিতরণ করা। আল্লাহর কিতাব, সহীহ সুন্নাত ও বিশুদ্ধ আকীদার পতাকাতলে মুসলিমদের এক্যবদ্ধ ও সুসংহত করণ। সকল প্রকার শির্ক-বিদআত, কু-সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা এবং সমস্ত ঈমান বিধ্বংসী মতবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা। ইসলামের মধ্যম পন্থার প্রতি আহব্বান করা এবং ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি, কঠোরতা ও সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যান করা এবং এর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জমঈয়তের এইসব উদার কর্মকাণ্ডে দেশের অধিকাংশ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা অব্যাহত রয়েছে।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে সংগঠনটি বেশ সোচ্চর।বিভিন্ন সময় মানবন্ধন ,প্রতিবাদসহ গণসচেতনতার জন্য নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে সংগঠনটি।[১৯][২০][২১][২২][২৩]

সভাপতিগণ[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যবধি যারা সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন:[২৪][১৪]

সভাপতির নাম সময়কাল
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী ১৯৪৬-১৯৬০
 ড. মুহাম্মদ আবদুল বারী ১৯৬০-২০০৩
প্রফেসর এ. কে. এম. শামসুল আলম ২০০৪-২০০৯
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী ২০১০-২০১৬
অধ্যাপক শাইখ মোহাম্মদ মুবারক আলী ২০১৬-২০২০
প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আযহার উদ-দীন(ভারপ্রাপ্ত) ২০২০-২০২১
অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ফারুক ২০২১-বর্তমান

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব[সম্পাদনা]

  1. আফতাব আহমাদ রহমানী
  2. ড. মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান
  3. শাইখুল হাদিস অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ
  4. আবূ মুহাম্মাদ আলীমুদ্দীন
  5. প্রফেসর এ. এইচ. এম. শামসুর রহমান
  6. শাইখ ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
  7. আল্লামা মতিউর রহমান সালাফী
  8. শাইখ মুহাম্মাদ হারুন হুসাইন
  9. শাইখ আব্দুল মোমেন বিন আব্দুস সামাদ
  10. প্রফেসর ড. আ ব ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী
  11. অধ্যাপক ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী
  12. ওবায়দুল্লাহ গযনফর
  13. আলহাজ্ব অধ্যাপক আহমাদ আলী
  14. অধ্যাপক মীর আব্দুল ওয়াহ্হাব লাবীব
  15. অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রঈসুদ্দীন

International Islami University Of Science And Technology Bangladesh (IIUSTB)[সম্পাদনা]

الجامعة الإسلامية العالمية للعلوم والتقنية ببنغلاديش ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বাংলাদেশ। (সরকার ও ইউজিসি অনুমোদিত)

বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, "International Islami University Of Science And Technology Bangladesh".


র্তমান ডিপার্টমেন্টসমূহ:

ব্যাচেলর প্রোগ্রাম

1. B.A in Al Quran and Islamic Studies

2. B.Sc in Computer Science and Engineering

3. B.Sc in Electrical and Electronic Engineering

4. Bachelor of Business Administration

মাস্টার্স প্রোগ্রাম

1. M.A in Al Quran and Islamic Studies

2. Master of Business Administration

বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ:

১. মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজস্ব ৯ একর জমির উপর স্থায়ী গ্রীন ক্যাম্পাস।

২. উচ্চতর গবেষণা এবং কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা।

৩. আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা।

৪. দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা শিক্ষকমণ্ডলী।

৫. ডেডিকেটেড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব।

৬. আধুনিক মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব।

৭. শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্যাম্পাস।

৮. 'সাইলেন্ট স্টাডি' এবং 'গ্রুপ স্টাডি' সুবিধাসহ বিশাল লাইব্রেরি।

৯. ২৪x৭ সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তা প্রহরী।

১০. শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে ইনটেনসিভ কেয়ার এবং কাউন্সেলিং।

১১. ২৪x৭ বিদ্যুৎ (নিজস্ব ৫০০ কেভিএ সাব-স্টেশন এবং জেনারেটর)।

✅নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস

✅নিজস্ব খেলার মাঠ

Email: info@iiustb.ac.bd

Website: www.iiustb.ac.bd

স্থায়ী ক্যাম্পাস: বাইপাইল, আশুলিয়া, ঢাকা-১৩৪৯। (বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড থেকে আধা কি.মি. উত্তরে, ঢাকা-ইপিজেড সংলগ্ন)

গ্যালারি[সম্পাদনা]

আরও[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কাফী, মুহম্মদ আবদুল্লাহ-হিল - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  2. "পরিচিতি ও ইতিহাস"Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith। ২০২৪-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  3. "পরিচিতি ও ইতিহাস"Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  4. "কাফী, মুহম্মদ আবদুল্লাহ-হিল - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  5. আসাদুল্লাহ আল গালিব (২০১১)। আহলে হাদিস আন্দোলন:উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। হাদীছ ফাউন্ডেশন। পৃষ্ঠা ৪৬৯–৪৭২। 
  6. সাইফুদ্দীন চৌধুরী (১৯৯২)। মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী। বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ১৮। 
  7. মুহাম্মদ আতাউর রহমান। "মাসিক আত তাহরীক" (পিডিএফ)মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী আল-কোরায়শী। ২য় বর্ষ (১০ সংখ্যা): ২২–২৩। 
  8. ইফতেখারুল আলম মাসউদ (২০০৪)। "সাপ্তাহিক আরাফাত"আল্লামা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী আল-কোরায়শী(রহ.):সংগঠক ও সংস্কারক। ৪৫ তম বর্ষ (৪৬-৪৭ সংখ্যা): ৩০। 
  9. "বাকী, মুহম্মদ আবদুল্লাহিল - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  10. "Ahl-e-Hadith - Banglapedia"en.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  11. "আহল-ই-হাদীস - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  12. "লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য"Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith। ২০২৪-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  13. "পরিচিতি ও ইতিহাস"Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith। ২০২৪-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  14. ডেস্ক, ইনকিলাব। "জমঈয়তে আহলে হাদীস-এর নতুন সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ ফারুক"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  15. গঠনতন্ত্র। প্রকাশনা বিভাগঃ বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস। 
  16. "গঠনতন্ত্র"Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith। ২০২৪-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  17. "মাসিক তর্জুমানুল হাদিছ" (পিডিএফ) (১)। ১৯৪৯। 
  18. "মাসিক তর্জুমানুল হাদীস"Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith। ২০২৪-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-২৮ 
  19. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "জমঈয়তে আহলে হাদীসের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন কাল"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  20. "সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের মানববন্ধন"www.valuka.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  21. "গাইবান্ধায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন"Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  22. "বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ক চমৎকার"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২ 
  23. "সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাদিস এর মানববন্ধন"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  24. "সভাপতি ও সেক্রেটারী জেনারেল মহোদয়গণের নামের তালিকা ও কার্যকাল"Bangladesh Jamiyat Ahl-Al-Hadith। ২০২৪-০২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩