বিধুভূষণ সেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিপ্লবী

বিধুভূষণ সেন
বিপ্লবী বিধুভূষণ সেন
বিধুভূষণ সেন
জন্ম১৯১০
মৃত্যু১৯৯৩ সালের ৮ জানুয়ারি
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়, ভারতীয়
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
পরিচিতির কারণচট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি
আন্দোলনভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • প্যায়ারিমোহন সেন (পিতা)

বিধুভূষণ সেন (১৯১০ - ১৯৯৩ সালের ৮ জানুয়ারি) ছিলেন ভারত উপমহাদেশের, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অস্ত্রাগার আক্রমণে অংশগ্রহণ করে।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

বিধুভূষণ সেন ১৯১০ সালে অবিভক্ত বাংলার চট্টগ্রাম জেলার শাকপুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম প্যায়ারিমোহন সেন। ১৯২৭ সালে সারইয়াতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে মাস্টারদা সূর্য সেনের বিপ্লবী দলের বিশিষ্ট সংগঠক তারকেশ্বর দস্তিদার বিধুভূষণ কে বিপ্লবী আদর্শের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।[২][৩]

যৌবনে, বিপ্লবী বিধুভূষণ সেন

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগারে হামলা[সম্পাদনা]

বিধুভূষণ ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম পুলিশ সদর দপ্তরের অস্ত্রাগার আক্রমণে অংশগ্রহণ করেন। অস্ত্রাগার দখল করার পর মাস্টারদা একটি স্বাধীন বিপ্লবী সরকার গঠন করেন এবং তার বাহিনী নিয়ে জালালাবাদ পাহাড়ে চলে যান। ১৯৩০ সালের ২২ এপ্রিল কমান্ডার লোকনাথ বলের নেতৃত্বে তারা ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সেই রাতেই সেন অন্যান্য বিপ্লবীদের নিয়ে রিভলবার নিয়ে গ্রামে চলে যান।

পুলিশের সন্দেহে এপ্রিল মাসে বিধুভূষণকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অস্ত্রাগার অভিযানে জড়িত থাকার প্রমাণের অভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার পর সেন আবার মাস্টারদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামি অর্ধেন্দু গুহকে মাস্টারদার নির্দেশ অনুযায়ী কারাবন্দী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করেন।

পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৩০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিধুভূষণ পুনরায় গ্রেফতার হন এবং বিনা বিচারে আট বছর বিভিন্ন বন্দি শিবিরে কাটান। কারাগারে থাকা সত্ত্বেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং বিএ ও আইন ডিগ্রি অর্জন করেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। পরে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তাকে মাসিক পেনশন প্রদান করে।

বিপ্লবী বিধুভূষণ সেন ১৯৯৩ সালের ৮ জানুয়ারি খড়দহে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. https://amritmahotsav.nic.in/district-reopsitory-detail.htm?27138
  2. বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫১২। আইএসবিএন 978-8179551356 
  3. রায়, প্রকাশ (২০২০)। বিস্মৃত বিপ্লবীচেন্নাই: নোশনপ্রেস তামিলনাড়ুআইএসবিএন 978-1-63873-011-8