মনসা ঘট
মনসা ঘট | |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | বরিশাল (ব্রিটিশ ভারত), পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) |
উপাদান | পোড়ামাটি |
আকৃতি | ঘট জাতীয় |
রং | পোড়ামাটির উপর আঁকা |
ব্যবহার | ঘর সাজানো, পূজা |
সংশ্লিষ্ট উৎসব | মনসা পূজা |
প্রস্তুতকারী | সুনিতা পাল ও গুরুপদ পাল |
মনসা ঘট নারী শক্তির প্রতীক।[১][২] বাংলাদেশের বরিশালের মনসা ঘট খুবই বিখ্যাত। বর্তমানে দেশে ভাগের পরে কলকাতা সন্নিহিত অঞ্চলে শিল্পীরা এই ঘট তৈরি করেন। মনসা ঘট শিল্পী 'সুনিতা পাল' ও 'গুরুপদ পাল' বর্তমানে এই ঘট তৈরি করেন।[১]
উপজীব্য[সম্পাদনা]
মানব সমজের গতি অর্থাৎ প্রবাহমানতার মাধ্যম হলো সৃষ্টি। এই মনসা ঘট হলো গর্ভবতী নারীর প্রতীক।[১] যেখান থেকে প্রাণ সঞ্চার হয়ে মানব জীবন ক্রম বিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে। মনসা ঘট যেমন গর্ভবতী নারীর প্রতীক তেমনই ফসলের উর্বরতার প্রতীক। যাকে প্রজনন শক্তির প্রতীক হিসাবে কল্পনা করা হয়েছে।[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
এই মনসা ঘটের উৎপত্তি অধুনা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার দক্ষিণদাঁড়ি অঞ্চলে।[১] পরে দেশ ভাগের পর এই শিল্পীরা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বসতি স্থাপন করে সেখানেই এই ঘট তৈরি করেন।[১] এই ঘটের উপর সর্পদেবী মনসার প্রতিকৃতি অঙ্কন করা থাকে।[১]
ধর্মীয় আচার[সম্পাদনা]
শ্রাবণ সংক্রান্তির দিন[১] এই মনসার ঘট স্থাপন করে পূজা করা হয়। কলকাতা ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে এই মনসা ঘটের চল আছে।[১]