বিষয়বস্তুতে চলুন

মনসা ঘট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মনসা ঘট
বাঁকুড়ার মনসা ঘট
উৎপত্তিস্থলবরিশাল (ব্রিটিশ ভারত), পশ্চিমবঙ্গ (ভারত)
উপাদানপোড়ামাটি
আকৃতিঘট জাতীয়
রংপোড়ামাটির উপর আঁকা
ব্যবহারঘর সাজানো, পূজা
সংশ্লিষ্ট উৎসবমনসা পূজা
প্রস্তুতকারীসুনিতা পাল ও গুরুপদ পাল

মনসা ঘট নারী শক্তির প্রতীক।[১][২] বাংলাদেশের বরিশালের মনসা ঘট খুবই বিখ্যাত। বর্তমানে দেশে ভাগের পরে কলকাতা সন্নিহিত অঞ্চলে শিল্পীরা এই ঘট তৈরি করেন। মনসা ঘট শিল্পী 'সুনিতা পাল' ও 'গুরুপদ পাল' বর্তমানে এই ঘট তৈরি করেন।[১]

উপজীব্য[সম্পাদনা]

পাঁচমুড়ার মনসা ঘট

মানব সমজের গতি অর্থাৎ প্রবাহমানতার মাধ্যম হলো সৃষ্টি। এই মনসা ঘট হলো গর্ভবতী নারীর প্রতীক।[১] যেখান থেকে প্রাণ সঞ্চার হয়ে মানব জীবন ক্রম বিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে। মনসা ঘট যেমন গর্ভবতী নারীর প্রতীক তেমনই ফসলের উর্বরতার প্রতীক। যাকে প্রজনন শক্তির প্রতীক হিসাবে কল্পনা করা হয়েছে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পাঁচমুড়ার মনসা ঘট

এই মনসা ঘটের উৎপত্তি অধুনা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার দক্ষিণদাঁড়ি অঞ্চলে।[১] পরে দেশ ভাগের পর এই শিল্পীরা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। বর্তমানে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বসতি স্থাপন করে সেখানেই এই ঘট তৈরি করেন।[১] এই ঘটের উপর সর্পদেবী মনসার প্রতিকৃতি অঙ্কন করা থাকে।[১]

ধর্মীয় আচার[সম্পাদনা]

শ্রাবণ সংক্রান্তির দিন[১] এই মনসার ঘট স্থাপন করে পূজা করা হয়। কলকাতা ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে এই মনসা ঘটের চল আছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বিশ্ব বাংলা। বাংলার পুতুল (পিডিএফ)। বিশ্ব বাংলা। 
  2. অজিত মুখার্জি, AJITCOOMAR MOOKERJEE (১৯৩৯)। Folk Art of Bengal। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মুদ্রণ কক্ষ, সেনেট হাউস, কলকাতা: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৪৬। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]