বিষয়বস্তুতে চলুন

মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি
জন্ম (1936-03-14) ১৪ মার্চ ১৯৩৬ (বয়স ৮৮)[১]
উরুলিকুন্নাথ, পালা, কেরল, ভারত
পেশানক্কুবিদ্যা পাবাকালি অভিনয়কারী
পরিচিতির কারণনক্কুবিদ্যা পাবাকালি
দাম্পত্য সঙ্গীশিবরাম পানিকার
পুরস্কারপদ্মশ্রী

মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি নক্কুবিদ্যা পাবাকালি নামক এক ধরনের পুতুলনাচে বিশেষজ্ঞ। তিনি ২০২০ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।[২][৩][৪]

জীবনী[সম্পাদনা]

মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি আম্মা বা পঙ্কজাক্ষি মুঝিক্কল শিবরামন ১৯৩৬ সালের ১৪ই মার্চ কোট্টায়ম জেলার উরুলিকুন্নাথ, পালায় জন্মগ্রহণ করেন।[১][৫] আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁকে মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।[১] পঙ্কজাক্ষি আম্মা তাঁর মা পাপ্পিয়াম্মার কাছ থেকে নক্কুবিদ্যা শেখা শুরু করেন।[১] তিনি এগারো বছর বয়সে নক্কুবিদ্যা পাবাকালি শিখেছিলেন, পরে বিয়ের পর তিনি স্বামীর লেখা গানের সাথে তা পরিবেশন করতেন।[৬] তিনি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নক্কুবিদ্যা পাবাকালি প্রদর্শন করে গেছেন। এরপর বার্ধক্য, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণে তিনি ৭২ বছর বয়সে নক্কুবিদ্যা করা বন্ধ করে দেন।[৭] এরপর তিনি তাঁর নাতনি রেঞ্জিনিকে এই লোকশিল্প শেখান।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

পঙ্কজাক্ষি আম্মা ২০ বছর বয়সে কোট্টায়াম জেলার উঝাভুরের কাছে মনিপল্লীর শিবরাম পানিকারকে বিয়ে করেছিলেন।[৫][৮] দম্পতির তিনটি সন্তান, বিজয়ন, রাধামণি এবং শিব।[৫] তিনি এখন নিজের মেয়ে রাধামণির সাথে মনিপল্লীতে থাকেন।[৫]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

মুঝিক্কল পঙ্কজাক্ষি বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন, তার মধ্যে আছে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী (২০২০) এবং কেরল ফোকলোর একাডেমি থেকে ফেলোশিপ (২০১২)।[৬][৯] ২০০৮ সালে, কেরল পর্যটন উৎসবের অংশ হিসেবে, তিনি প্যারিসে এই কলা প্রদর্শন করেন।[১] এছাড়াও পঙ্কজাক্ষি আম্মা কেরল এবং কেরলর বাইরে অনেক জায়গায় নক্কুবিদ্যা প্রদর্শন করেছেন।[১০]

তাঁর ওপর করা কাজ[সম্পাদনা]

রেশমি রাধাকৃষ্ণনের তথ্যভিত্তিক চলচ্চিত্র নক্কুবিদ্যা, দ্য লাইফ অফ আ লোন স্ট্রিং পাপেটিয়ার, কেরলর ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি এবং শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। এটি নক্কুবিদ্যা এবং এর প্রদর্শনশিল্পী পঙ্কজাক্ষি আম্মার ওপর চিত্রায়িত।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Smt. Pankajakshi MS" (পিডিএফ)। Government of India। 
  2. "Puppetry still means the world to muthassi at 84'"Deepika JayaramThe Times of India। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১ 
  3. "Padma Shri Honour For Last Practitioner Of Kerala's Traditional Puppetry"Sanya Jain। NDTV। ৩০ জানুয়ারি ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১ 
  4. "'Nokku Vidya Paavakali is grandma's life'"The Times of India। ২৯ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২১ 
  5. Thayabji, Roopa। "'11 വയസ്സ് മുതൽ നോക്കുവിദ്യ പാവകളി പഠിച്ചുതുടങ്ങി; മച്ചിങ്ങ വീണ് മുഖത്ത് ചതവും ഈർക്കിലി കുത്തിക്കയറലും അന്ന് പതിവാണ്'; പത്മശ്രീയേക്കാൾ തിളക്കത്തോടെ പങ്കജാക്ഷിയമ്മ! | Padmasree award winner"vanitha.in (মালায়ালাম ভাষায়)। Vanitha। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০ 
  6. "പദ്‌മശ്രീയിലെ പെൺതിളക്കം-മൂഴിക്കൽ പങ്കജാക്ഷി"Kerala Women (মালায়ালাম ভাষায়)। ২০২০-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০ 
  7. "This Malayalam documentary is about a little-known puppetry form performed by women"The News Minute (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০ 
  8. Barua, Ananya (২০২১-০৬-১৮)। "The Fate of a Rare Dying Art Rests on The Lips of This 20-YO Kerala Girl"The Better India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০ 
  9. "നോക്കുവിദ്യാ പാവകളിയുടെ കലാവൈഭവത്തിന് പത്മശ്രീ പുരസ്‌കാരം"Mathrubhumi (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০ 
  10. "മൂഴിക്കല്‍ വീട്ടിലെ പത്മശ്രീ"Janmabhumi (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১০