বিষয়বস্তুতে চলুন

লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, পটুয়াখালী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী, পটুয়াখালী
অবস্থান

তথ্য
ধরনবেসরকারি স্কুল
নীতিবাক্যএসো শিখি, চলো সেবা করি।
প্রতিষ্ঠাকাল১৯১৬ (1916)
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল
সেশনজানুয়ারি–ডিসেম্বর
প্রধান শিক্ষকমোঃ জাকির হোসেন (সেলিম)
শিক্ষকমণ্ডলী৩০
শ্রেণী৬ষ্ঠ থেকে ১০ম
লিঙ্গছেলে
শিক্ষার্থী সংখ্যা৭৫০
ভাষাবাংলা
শিক্ষায়তন১০ একর
রং        
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট
EIIN১০২৪৮০

লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী পটুয়াখালী জেলার একটি স্বনামধন্য, ঐতিহ্যবাহী ও শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯১৬ সালের ১লা জানুয়ারি ছোট্ট একটি টিনের ঘরে ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পথ চলা শুরু বিদ্যালয়টির। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠে ৭৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনারত রয়েছে। ১৯১৬ সালে মহকুমার তৃতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী। শুরুতে বিদ্যালয়টি প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল। ১৯৭৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারী থেকে আলাদা হয়ে ‘লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ রূপ নেয়। সেটি বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত। জানা যায়, ১৯১৬ সালে বিদ্যোৎসাহী হিসেবে পরিচিত কে এম আবদুল লতিফ ছিলেন তৎকালীন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এবং একই সঙ্গে পটুয়াখালী মিউনিসিপ্যালিটির প্রশাসক। তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিদ্যাপীঠ। তিনি ছাড়াও তৎকালীন সমাজহিতৈষী রায় বাহাদুর শাম চন্দ্র সিমলাই, বিহারি লাল সেনগুপ্ত, রামধন চক্রবর্তী প্রমুখ বিদ্যালয়টি স্থাপনে ভূমিকা পালন করেন। কে এম আবদুল লতিফের নামানুসারে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদ্যালয়টি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টি শতবর্ষে পা রাখে। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়টির শতবর্ষ উদযাপন করা হয়। [১]

প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে একটি অধিবেশনে (শিফ্‌ট) শিক্ষাদান করা হয়। যা প্রতি শনি থেকে বৃহস্পতিবার (বর্তমানে রবি থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ১০.০০ থেকে বিকাল ৪.০০ পর্যন্ত চলে। প্রতিটি শ্রেণী ৪ টি শাখায় বিভক্ত। অভিজ্ঞ এবং দক্ষ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টিতে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করা হয়।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

১০৬ বছরের প্রাচীন বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবন সহ একাডেমিক ভবনের সংখ্যা ৩ টি। স্কুলে ১টি মিলনায়তন, ১টি মসজিদ, ১টি গ্যারেজ, সম্মুখে রয়েছে সুবিশাল একটি খেলার মাঠ।

শিক্ষা সুবিধাসমূহ[সম্পাদনা]

এই বিদ্যালয়ে ১ টি বিজ্ঞানাগার, ১ টি গ্রন্থাগার, ১ টি কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, ১ টি মিলনায়তন রয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করা হয়।

সহশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

শিক্ষার্থীদের জন্য চালু আছে বিভিন্ন ক্লাব; যেমনঃ

আবাসন ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা পূর্বে থাকলেও এখন নেই।

ভর্তি প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

স্কুলটিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়। সাধারণত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত বছরের নির্ধারিত সময়ে ছাত্র ভর্তি করা হয়। ভর্তিচ্ছুদের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হয়।

শিক্ষার্থীদের পোশাক[সম্পাদনা]

স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক হল সাদা শার্ট, (ফুলহাতা বা হাফহাতা দুটোই গ্রহণযোগ্য) কালো ফুল প্যান্ট এব সাদা কেড্‌স ও মোজা। শার্টের বাম পকেটে স্কুলের মনোগ্রামযুক্ত ব্যাজ।

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

খেলাধুলার ক্ষেত্রে অত্র স্কুলের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ আছে। জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শতবর্ষপূর্তি উৎসব ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর"www.prothomalo.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০২২