বিষয়বস্তুতে চলুন

শামসুল হুদা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শামসুল হুদা
জন্ম (1932-12-01) ১ ডিসেম্বর ১৯৩২ (বয়স ৯১)
পুরস্কারএকুশে পদক (২০১৪)

শামসুল হুদাঃ বাংলাদেশের একজন ভাষা সৈনিক। ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছিল।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

শামসুল হুদা ১৯৩২ সালের ১ ডিসেম্বর ফেনীর সোনাগাজীর চর চান্দিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার বাবার নাম মো. ইদ্রিস মিয়া ও মায়ের নাম রহিমা খাতুন। তিনি নোয়াখালী থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবাত পর ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

শামসুল হুদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[২] তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছিলেন। পরবর্তীতে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস ডিগ্রি লাভ করেন।[২]

ব্যক্তিজীবনে তিনি ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের একজন বীর সেনানী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ছাত্ররাজনীতির একজন খ্যাতিমান নেতা এবং কর্মজীবনের একজন সফল সরকারি কর্মকর্তা।

শামসুল হুদা ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি মজলুম নেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর স্নেহধন্য ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি ও ভাষা আদর্শের আন্দোলনে তিনি বঙ্গবন্ধু ও মজলুম নোতার আদর্শের অনুসারী ছিলেন। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারীর চরম মূহুর্ত এবং পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি ও বিজয় অর্জন পর্যন্ত দীঘ ৯ বছর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে জেল- জুলুমের শিকার হন। তিনি সে সব ব্যক্তিদের মাঝে ছিলেন যারা ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন।[৩] তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।[৩] ভাষা আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টতার জন্য তাকে সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিসের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।[২]

শামসুল হুদা ১৯৫৭ সালে জনসংযোগ অধিদপ্তরে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন তিনি।[৩] ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তার জীবনীর ওপর ভিত্তি করে ভাষাসৈনিক শামসুল হুদা : জীবনের জলছবি শিরোনামের একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছিল ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর।[৪]

শামসুল হুদা ২০১৪ সালে ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। এর পূর্বে তিনি ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকে ভূষিত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ" (PDF)সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০ 
  2. "তৃপ্ত হই এই ভেবে বাংলার কদর হয়েছে সারাবিশ্বে"বাংলানিউজ২৪.কম। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। ১৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. "বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাঠিচার্জ, এক স্কুল ছাত্রের মাথার খুলি ফেটে গেল…"ভোরের কাগজ। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. "এবার প্রচারের আলোয় ভাষাসৈনিক শামসুল হুদা"বাংলানিউজ২৪.কম। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ১৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২০