বিষয়বস্তুতে চলুন

সূরা আনফাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল আনফাল
الأنفال
নামের অর্থযুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম
আয়াতের সংখ্যা৭৫
পারার ক্রম৯-১০
সিজদাহ্‌র সংখ্যা
শব্দের সংখ্যা১২৪৩
অক্ষরের সংখ্যা৫২৯৯
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা আরাফ
পরবর্তী সূরা →সূরা তাওবাহ্‌
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

আল আনফাল (আরবি ভাষায়: الأنفال) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৭৫ টি। আল আনফাল সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।

আয়াতসমূহ ও অর্থ[উৎস সম্পাদনা]

নামকরণ[উৎস সম্পাদনা]

এ সূরার নাম সূরা আল-আনফাল; কারণ সূরার প্রথম আয়াতেই এ শব্দটির উল্লেখ আছে, যার অর্থ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ। এর অধিকাংশ বর্ণনা এ সংক্রান্ত। কেউ কেউ এটাকে সূরা ‘বদর’ও নাম দিয়েছেন। [বুখারীঃ ৪৮৮২] কারণ, অধিকাংশ আলোচনা ছিল বদর যুদ্ধের। আবার কেউ কেউ এ সূরাকে সূরা ‘জিহাদ' নামেও অভিহিত করেছেন।

নাযিলের সময়কাল[উৎস সম্পাদনা]

এ সূরাটি দ্বিতীয় হিজরীতে বদর যুদ্ধের পর নাযিল হয়। ইসলাম ও কুফরের মধ্যে সংঘটিত এ প্রথম যুদ্ধের ওপর এতে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে ।

নাযিলের প্রেক্ষাপট[উৎস সম্পাদনা]

সত্য-মিথ্যার সংঘাত চিরন্তন।তাই মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের সংগ্রাম অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলবে।দ্বীন মহান আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট এবং প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবে না।ইসলামী জীবনবিধান প্রতিষ্ঠার আহ্বান হচ্ছে মানবজাতির পূর্ণ স্বাধীনতার বিপ্লবী ঘোষণা। সুতরাং এই ঘোষণার পর শুধু দার্শনিক আলোচনার ধারায় যথার্থ স্বাধীনতা অর্জন হবে না; স্বার্থান্বেষী ও প্রতিকূল পরিবেশের সাথে সর্বাত্মক সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া অনিবার্য। এমনকি সফলতা অর্জনের জন্য ক্রমঅগ্রসরমান অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে সেগুলো দূরীভূত করার জন্য যাবতীয় উপায়-উপকরণ প্রয়োগ করতে হবে। এতদ্সংক্রান্ত সার্বিক বিধি-বিধান এবং প্রতি উৎসাহ প্রদর্শনপূর্বক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মাদানী জীবনের প্রথম পর্যায়ে সূরাটি অবতীর্ণ হয়।

আলোচ্য বিষয়[উৎস সম্পাদনা]

এই সূরায় আল্লাহ পাক আমাদের তথা ইসলামের শত্রুর (মানুষ ও শয়তান) মোকাবেলায় মুমিনদের সদা প্রস্তুত থাকা,সন্ধি চুক্তি, শত্রু সম্পত্তি ,যুদ্ধ বন্ধীর মুক্তিপন,ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশ প্রদান দিয়েছেন ।

তথ্যসূত্র[উৎস সম্পাদনা]