বিষয়বস্তুতে চলুন

সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী
নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১০ জানুয়ারি ২০২৪
পূর্বসূরীমোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৬১
বদলগাছী উপজেলা, নওগাঁ জেলা, বাংলাদেশ
নাগরিকত্বপাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তানতিনি দুই সন্তানের জনক।
পিতামাতা
  • ব্রজেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (পিতা)
  • সবিতা চক্রবর্ত্তী (মাতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা
জীবিকাসাবেক সচিব

সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নওগাঁ জেলা শাখা এবং সাবেক সিনিয়র সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তিনি পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ছাত্রজীবন[সম্পাদনা]

বি.এ.(অনার্স), এম.এ (রাষ্ট্র বিজ্ঞান), এল-এল.বি.,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (সৈয়দ আমীর আলী হালের আবাসিক ছাত্র)[২]। তিনি নিজ গ্রামের বালুভরা রাজেন্দ্র-ব্রজকিশোরী উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাস করেন। উল্লেখ্য ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি তাঁর পিতামহ শশীভূষণ চক্রবর্ত্তীর হাতে গড়া। উনার পিতামহ ১৯০৭ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭৮ সালে নওগাঁ বিএমসি কলেজ থেকে এচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে বি.এ.(অনার্স), ১৯৮২ সালে এম এ এবং ১৯৮৪ সালে এল.এল.বি. পাস করেন। ছাত্রজীবনে তিনি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে রাকসু নির্বাচনের সময় ছানা-রানা পরিষদে সক্রিয় ছিলেন।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী ১৯৬১ সালে নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ব্রজেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী ও মাতা সবিতা চক্রবর্ত্তী, তিনি দুই সন্তানের জনক।

মাতার নাম ও পরিচয়: সবিতা চক্রবর্ত্তী (১৯২৭ -২০১৪), নাটোরের কাফুরিয়ার সম্ভ্রান্ত লাহিড়ী পরিবারে তাঁর জন্ম। নওগাঁর বালুভরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, শশীভূষণ চক্রবর্ত্তীর কনিষ্ঠ পুত্র ব্রজেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিদূষী, মমতাময়ী সবিতা চক্রবর্ত্তী মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্ব ও মহত্বের যে নিদর্শন রেখে গেছেন তা কখনোই ভোলার নয়। এলাকায় শিক্ষা-সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সমাজ কল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, সেজন্য নওগাঁ অঞ্চলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বালুভরা রাজেন্দ্র-ব্রজকিশোরী উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর ঐকান্তিক আগ্রহে এ প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিটি “সবিতা চক্রবর্ত্তী স্মৃতি গ্রন্থাগার” নামকরণ হয়। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ চারশতাধিক দেশী-বিদেশি মনীষীর ছবি সংরক্ষিত আছে। প্রতি সপ্তাহে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ইহা পরিদর্শন করে থাকেন। উল্লেখ্য, তিনি স্বাধীনতা পূর্ববর্তী এবং স্বাধীনতা উত্তর বদলগাছী থানা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে তিনি বদলগাছী থানা রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে বালুভরা গ্রামে নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন।

পিতার নাম ও পরিচয়: ব্রজেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (১৯১৪-২০০১), তিনি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বালুভরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক শশীভূষণ চক্রবর্ত্তীর কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ১৯৩১ সালে নওগাঁ কৃষ্ণধন (কে.ডি.) সরকারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন । এসময় ছাত্রাবস্থাতেই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বালুভরা অঞ্চলের অনেক হিন্দু পরিবার দেশত্যাগ করলেও তাঁর পরিবার দেশমাতৃকার টানে রয়ে যায়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সপরিবারে শরণার্থী হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সপরিবারে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। স্বাধীনতাবিরোধীরা ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছিলো, ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করেছিল। যে কারণে তাঁর পরিবার তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে কয়েক মাস বসবাসের পর নিজ জন্মভিটায় স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতায় বসবাস করার মতো ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। অতঃপর সমাজসেবায় মনোনিবেশ করেন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে এলাকার ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশুনা করতে পারে তাঁর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ঘন ঘন মিটিং সিটিং করে স্কুলের শিক্ষা-দীক্ষা, সমাজের অবহেলিত মনুষদের নিয়ে কিছু করা , এযেন নিত্যদিনের কাজ হয়ে গিয়েছিলো। সেজন্য তিনি আজীবন পরিশ্রম করে গেছেন। তিনি এলাকায় একজন সমাজ হিতৈষী ব্যক্তি হিসেবে সর্বজনবিদিত ছিলেন। তিনি ২০০১ সালে ঢাকাস্থ জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে পরলোকগমন করেন।

স্ত্রীর নাম ও পরিচয়: রক্তিমা চক্রবর্ত্তী (শেলী), পিতা: প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং নাটোর সদরের সাবেক সংসদ সদস্য (এম,পি)। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরীকে (মরনোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়-বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেণ তাঁর কনিষ্ঠা কন্য রক্তিমা চক্রবর্ত্তী (শেলী)।

উল্লেখ্য, রক্তিমা চক্রবর্ত্তী (শেলী)- এর বড় বোন উমা চৌধুরী জলি বর্তমানে নাটোর পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র এবং নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি।

সন্তানদের নাম ও পরিচয়: (১) শোভন চক্রবর্ত্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স ও মাস্টারর্স সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে উচ্চ শিক্ষায় (গবেষনামুলক) অধ্যয়নরত।

(২) শৈব চক্রবর্ত্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ ডিপার্টমেন্টে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।

ভাইবোনদের পরিচয়: তিন ভাই এবং দুই বোন।, (১) শিপ্রা চৌধুরী (২) সজিৎ চক্রবর্ত্তী, বালুভরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। (৩) শিখা পাণ্ডে (৪) সনৎ চক্রবর্ত্তী (৫) সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী (সৌরেন) সকলেই বাংলাদেশে বসবাস করেন।

সংক্ষেপে কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী প্রশাসন ক্যাডারের সপ্তম ব্যাচের (১৯৮৫) একজন কর্মকর্তা। তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মাগুরায় কর্মজীবন শুরু করেন।

• বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদানঃ ১৫/০২/১৯৮৮;

১৯৮৮-১৯৯৬ সনঃ মাঠ পর্যায়ে (জেলা/উপজেলায়) সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে দায়িত্ব পালন;

১৯৯৭-২০০১ সনঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বর্তমান মাননীয় সংসদ সদস্য এবং তৎকালীন মাননীয় চীফ হুইপ জনাব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ মহোদয়ের সহকারী একান্ত সচিব পদে দায়িত্ব পালন (১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন হয়);

২০০১-২০০৬ সনঃ মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে দায়িত্ব পালন; উল্লেখ্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় উপসচিব পদে একাধিকবার পদোন্নতি বঞ্চিত হই। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পদোন্নতি বঞ্চিতদের আন্দোলনের ফলে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাই। *(২০০৬ সালের ডিসেম্বরে উপসচিব পদে পদোন্নতি)। উল্লেখ্য এই পদোন্নতির বিরুদ্ধে কুচক্রীমহল মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে। আমাদের বেতনভাতা বন্ধ ছিল। আমরা রিট মোকদ্দমা মোকাবেলা করে সফল হই। তবেই বেতনভাতা প্রাপ্ত হই;

২০০৭-২০০৮ সনঃপাট অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।;

• মার্চ ২০০৯ - মে/২০১২ সনঃ রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন (জেলা প্রশাসক পদে কর্মকালীন ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে অষ্ট্রেলিয়ার পার্থে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে এবং জার্মানীর বার্লিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগদান); (যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি (ফেব্রুয়ারী- ২০১২));

জুন/২০১২ - ফেব্রুয়ারী/২০১৪ সনঃ ঢাকা বিভাগে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্ম সচিব) পদে দায়িত্ব পালন;

ফেব্রুয়ারী/২০১৪ হতে যুগ্মসচিব পদে এবং পদোন্নতি পেয়ে ০৬/০৪/২০১৫ হতে ২৯/১০/২০১৭ পর্যন্ত অতিরিক্ত সচিব পদে স্থানীয় সরকার বিভাগে দায়িত্ব পালন;

• ৩০/০১/২০১৮ হতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে সচিব পদে দায়িত্ব পালন;

• ১৮/০৫/২০২০ তারিখে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সচিব পদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে দায়িত্ব পালন;[৩]

• ১৫/০৬/২০২০ তারিখ থেকে পি আর এল শুরু - ১৫/০৬/২০২১ তারিখ পি আর এল শেষ;

• মহান মুক্তিযু্দ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং নাটোর সদরের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরীর কনিষ্ঠ জামাতা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রয়াত শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরীকে স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) প্রদান করা হয় - জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা রক্তিমা চক্রবর্ত্তী (শেলী)।

মহাদেবপুর-বদলগাছী এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড[সম্পাদনা]

সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তীর (সৌরেন) পিতামহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮৯০ সালের গ্রাজুয়েট শশীভূষণ চক্রবর্ত্তী (১৮৬৬-১৯৪৯) ১৯০৭ সালে বালুভরা রাজেন্দ্র-ব্রজকিশোরী উচ্চবিদ্যালয় সৃষ্টির প্রক্রিয়া নিজ বাড়িতে কো-এডুকেশনের মাধ্যমে শুরু করেন। ১৯১৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে এই প্রতিষ্ঠান; সেজন্য এই সালটাকে প্রতিষ্ঠাকাল ধরা হয়। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানশিক্ষক ছিলেন ১৯০৭ থেকে ১৯৪৫। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান রাজেন্দ্র-ব্রজকিশোরী উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ হিসেবে সুপরিচিত। উল্লেখ্য তিনি ১৯০৪-১৯০৬ সাল পর্যন্ত সোনামুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানশিক্ষক ছিলেন - (বর্তমান জয়পুরহার জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় অবস্থিত- যেখানে তাঁর ব্যবহৃত চেয়ারসহ অন্যান্য সামগ্রী সংরক্ষিত আছে)। তিনি বালুভরা পোস্ট অফিসের প্রতিষ্ঠাতা পোস্টমাস্টারও ছিলেন (১৮৯৮-১৯১০)। নওগাঁ এলাকার মানুষ গভীর শ্রদ্ধার সহিত তাঁকে স্মরণ করেন।

এ প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই সরকারি চাকুরীর পাশাপাশি নিজ এলাকাসহ বদলগাছী উপজেলার অবহেলিত অঞ্চল এবং মহাদেবপুর এলাকার অবহেলিত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ-সংযোগসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য মনোনিবেশ করি ।

• ১৯৯৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর প্রথমেই বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎসংযোগ, রাস্তাঘাট পাকাকরণ, ২০০০ সালে নিজেদের পৈতৃক ভিটায় তাঁর পিতা কর্তৃক সরকারকে রেজি: দলিল মূলে দেয়া জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ, ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করি এবং সফল হই। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের জুন পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে ।

• ২০০১ সালের জুলাই থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এলাকায় কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড হয় নাই।

• ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে (ধারাবাহিকভাবে) তিনি মহাদেবপুর ও বদলগাছী উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছি। যথা: উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ, সড়ক পাকাকরণ, একাধিক নদীর উপর বেশ কয়েকটি বড় ব্রিজ নির্মাণ, কালভার্ট স্থাপন, ব্যাপক হারে বিদ্যুৎসংযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, শহিদ মিনার স্থাপন, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, শ্মশান, গোরস্থান তৈরি/সংস্কার, গ্রোথ সেন্টারসহ হাটবাজার উন্নয়ন ইত্যাদি।

আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সদস্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ ও লালন করি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পরিছন্ন রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও জনগণের সেবা করতে চাই ।

অন্যান্য[সম্পাদনা]

• প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নওগাঁ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

• উপদেষ্টা (অবৈতনিক)- হার্ট ফেইলইউর রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ঢাকা।

• আজীবন দাতা সদস্য- বালুভরা রাজেন্দ্র-ব্রজকিশোরী উচ্চ-বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, বদলগাছী, নওগাঁ।

বদলগাছী, নওগাঁ, বালুভরা রাজেন্দ্র-ব্রজকিশোরী উচ্চ-বিদ্যালয় এন্ড কলেজে আমার-ই প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০০০ (পাঁচ হাজার) বই ও দেশ-বিদেশের ৭০০ (সাত শত) এর অধিক বিখ্যাত ব্যক্তির ছবি সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন লাইব্রেরি, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। লাইব্রেরি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রায় প্রতিদিন পরিদর্শন করে থাকেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নওগাঁ-৩ আসনে মনোনয়ন লাভ করেন।[৪][৫]

৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৩ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৮ মার্চ ২০১৯। ২২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২০ 
  2. https://www.ru.ac.bd/
  3. Dhakatimes24.com। "সিনিয়র সচিব হলেন সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী"Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০৫ 
  4. "আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা"বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২০২৩-১১-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১৫ 
  5. "প্রথমবার মনোনয়ন পেলেন ৬৫ জন"প্রথম আলো। ২০২৩-১১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১৫ 
  6. "নওগাঁয় সাবেক মন্ত্রীসহ জামানত হারালেন ১৯ প্রার্থী"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৯