বিষয়বস্তুতে চলুন

হাজী মোহাম্মদ মহসিন ইমামবাড়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাজী মুহম্মদ মহসীন ইমামবাড়া
মুড়লি ইমামবাড়া
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিশিয়া ইসলাম
জেলাযশোর জেলা
পরিচালনা সংস্থাবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
অবস্থাইমামবাড়া
অবস্থান
অবস্থানযশোর সদর
রাজ্যখুলনা বিভাগ
দেশবাংলাদেশ
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীইসলামি স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠাতামন্নুজান খানম
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৮০২
সূত্র নংBD-D-22-43
ইমামবাড়ার প্রবেশপথ।

হাজী মোহাম্মদ মহসীন ইমামবাড়া বা মুড়লি ইমামবাড়া যশোর জেলায় অবস্থিত একটি ইমামবাড়া যা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পুরাকীর্তি।[১] এটি মুড়ালী নামক স্থানে অবস্থিত বলে একে মুড়লি ইমামবাড়া নামেও ডাকা হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মুড়ালীতে এ ইমামবাড়াটি তৈরি করেন হাঝি মন্নুজান খানম যিনি সম্পর্কে হাজি মোহাম্মদ মহসীনের বৈপিত্রেয়ী বোন ছিলেন। ১৭শ শতকের শেষের দিকে মন্নুজান এ অঞ্চলের সম্পত্তিগুলো পৈতৃক সূত্রে পেয়েছিলেন। পরবর্তিতে নবাব সিরাজউদদৌলা পরাজিত হলে মন্নুজান ও তার স্বামী সৈয়দপুর অঞ্চলে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন কিন্তু ১৭৬৪ সালে মন্নুজানের স্বামী মৃত্যুবরণ করেন ও পুরো সম্পত্তির মালিক হন মন্নুজান।

১৮০২ সালে তিনি মুড়ালীতে অন্যান্য স্থাপনার সাথে এই ইমামবাড়াটিও নির্মাণ করেন। ১৮০৩ সালে মন্নুজান মৃত্যুর পূর্বে এই ইমামবাড়াসহ তার সব সম্পত্তি হাজি মোহাম্মদ মহসীনকে দিয়ে দেন। ১৯শে মার্চ ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ ইমামবাড়াটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

আয়তাকার আকৃতির মুড়ালী ইমামবাড়াটি সভাকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এর মোট আয়তন উত্তর ও দক্ষিণে ১৮.২৯ মিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ১৫.২৪ মিটার। পুরো কাঠামোটি দশটি স্তম্ভের উপর ভিত্ত করে তৈরি করা হয়েছে যা ৩টি সাড়িতে বিভক্ত।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কল্যাণ। "স্মৃতির স্মারক : আড়াইশ' বছরের ঐতিহ্যবাহী যশোরের 'মুড়লি ইমামবাড়া'"। ২৬ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৬